البارئ
(البارئ): اسمٌ من أسماء الله الحسنى، يدل على صفة (البَرْءِ)، وهو...
আবূ যার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, একদা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন, “হে আবূ যার! আমি তোমাকে দুর্বল দেখছি এবং আমি তোমার জন্য তাই ভালবাসি, যা আমি নিজের জন্য ভালবাসি। (সুতরাং) তুমি অবশ্যই দু’জনের নেতা হয়ো না এবং এতীমের মালের তত্ত্বাবধায়ক হয়ো না।”
আবূ যার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু সংবাদ দেন, একদা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, “আমি তোমাকে দুর্বল দেখছি এবং আমি তোমার জন্য তাই ভালবাসি, যা আমি নিজের জন্য ভালবাসি। (সুতরাং) তুমি অবশ্যই দু’জনের নেতা হয়ো না এবং এতীমের মালের তত্ত্বাবধায়ক হয়ো না।” এ চারটি বাক্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবূ যারকে বলেন, প্রথম: তাকে তিনি বলেন, আমি তোমাকে দুর্বল দেখছি। এ বিশেষণটি ছিল বাস্তব সম্মত, তার ভিত্তিতে তাকে উপদেশ দেওয়া হয়েছে। কোন লোককে এ ধরনের কথা বলাতে কোন অসুবিধা নেই যখন তা হবে কল্যাণের উদ্দেশ্যে খাট করা বা দোষারোপের উদ্দেশ্যে নয়। তাই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমি তোমাকে দুর্বল দেখছি। দ্বিতীয় বাক্য: তিনি বলেন, আমি তোমার জন্য তাই ভালোবাসি যা আমি আমার নিজের জন্য পছন্দ করি। এটি রাসূলের উত্তম চরিত্রের অংশ। প্রথম বাক্যে যেহেতু সংশোধন ছিল পরের বাক্যে তিনি বলেন, আমি তোমার জন্য তাই ভালোবাসি যা আমি আমার নিজের জন্য পছন্দ করি। অর্থাৎ আমি তোমাকে কথাগুলো এ কারণেই বলছি যে, আমি তোমার জন্য তাই ভালোবাসি যা আমি আমার নিজের জন্য পছন্দ করি। তৃতীয়: তুমি দুইজনের ওপরও আমীর হয়ো না। অর্থাৎ তুমি দুই জনের ওপর আমীর হয়ো না। আর যদি বেশি হয় তাহলে আগেই হবে না। মোট কথা, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে আমীর হতে নিষেধ করেছেন। কারণ সে দূর্বল। আর আমীর হওয়ার জন্য শক্তিশালী আমানতদার লোক দরকার। যাতে তার কর্তৃত্ব ও শক্ত কথার প্রতিফলণ ঘটে। মানুষের সামনে সে দূর্বল হতে পারবে না। কারণ, যখন মানুষ কাউকে দুর্বল মনে করবে তখন তাদের সামনে তার সম্মান থাকবে না এবং মুর্খরা তার ওপর প্রাধান্য বিস্তার করবে। কিন্তু যখন সে শক্তিশালী হবে আল্লাহর সীমা লঙ্ঘন না করবে আল্লাহ তাকে যে ক্ষমতা দিয়েছে তাতে কোন কমতি করবে না সেই প্রকৃত আমীর। চতুর্থ: ইয়াতীমের মালের তত্বাবধায়ক হবে না। প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার পূর্বে যার পিতা মারা যায় তাকে ইয়াতীম বলে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইয়াতীমের মালের তত্বাবধায়ক হতে নিষেধ করেছেন। কারণ, ইয়াতীমের মালের সংরক্ষণ করা ও যত্ন করার প্রয়োজন পড়ে। আর আবূ যার দূর্বল সে এ সম্পদকে যথাযথ সংরক্ষণ করতে পারবে না। এ কারণেই তিনি বলেন, তুমি ইয়াতীমের মালের তত্বাবধায়ক হয়ো না। অর্থাৎ তুমি অভিভাবক হয়ো না, তুমি তা অপরের জন্য ছেড়ে দাও। এতে আবূ যারকে ছোট করে দেখা হয়নি। কারণ, পরহেজগারী ও দীনদারীর সাথে সাথে আবু যার ভালো কাজের আদেশ ও অসৎ কর্ম থেকে নিষেধ করতেন। তবে তিনি একটি ব্যাপারে দুর্বল ছিলেন। আর তা হলো অভিভাবকত্ব ও নেতৃত্ব।