الشافي
كلمة (الشافي) في اللغة اسم فاعل من الشفاء، وهو البرء من السقم،...
আনাস ইবন মালিক রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন যে, সাহাবীগণের একটি জামা‘আত নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামের স্ত্রীদের তার গোপন ইবাদত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন। তাদের মধ্যে একজন বললেন, আমি কখনো বিবাহ করবো না, অপরজন বললেন, আমি কখনো গোস্ত খাবো না, অপর জন বললেন, আমি কখনো বিছানায় ঘুমাবো না। বিষয়টি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট পৌঁছলে, তিনি আল্লাহর হামদ ও প্রসংশা করেন এবং বলেন, ঐ সম্প্রদায়ের কি হলো যে, তারা এ ধরনের কথা বলে, কিন্তু আমি সালাত আদায় করি এবং নিদ্রাও যাই, সাওম পালন করি এবং ইফতারও করি এবং নারীদের বিয়েও করি। সুতরাং যে আমার সুন্নত হতে মুখ ফিরিয়ে নিবে, সে আমার দলভুক্ত নয়।”
এ উন্নত শরী‘আতের প্রতিষ্ঠা হচ্ছে শিথিলতা ও সহজের ওপর এবং নফসকে পবিত্র সুখ-ভোগ ও বৈধ স্বাদ আস্বাদন করানোর ভেতর, আর নফসকে কষ্ট না দেওয়া, তার উপর কঠোরতা ও কঠিন না করা এবং তাকে এ দুনিয়ার যাবতীয় কল্যাণ থেকে বঞ্চিত না করার ওপর। এ কারণেই সাহাবীগণের একটি জামা‘আতকে কল্যাণের মহব্বত ও তার প্রতি অধির আগ্রহ উদ্ভুদ্ধ করেছে যে, তারা রাসূলের গোপনীয় আমল যা একমাত্র তার স্ত্রীগণ ছাড়া আর কেউ জানে না সে সম্পর্কে তাদেরকে জিজ্ঞাসা করবেন। যখন তারা তাদেরকে বিষয়টি জানালেন, তারা তার ইবাদতকে কম মনে করলেন। আর এটি ছিল ভালো কর্মের প্রতি তাদের আগ্রহ ও সমর্থের কারণে। তখন তারা বলল, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে আমাদের কি তুলনা হতে পারে, আল্লাহ তার অতীত ও ভবিষ্যতের সব গুনাহ ক্ষমা করে দিয়েছেন? তাদের ধারণা মতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ইবাদতে কষ্ট করার কোনো প্রয়োজন নেই। তখন তাদের একজন ইবাদতের জন্য পরিপূর্ণ অবসর হতে স্ত্রী ত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিলেন। আবার কেউ গোস্ত খাওয়া ছেড়ে দেওয়ার প্রতি ঝুঁকলেন। আবার অপরজন সিদ্ধান্ত নিলেন তাহাজ্জুদ অথবা ইবাদত বন্দেগীতে সারা রাত জাগ্রত থাকার। তাদের কথা-বার্তা তাদের থেকে যিনি বড় মুত্তাকী, আল্লাহকে অধিক ভয়কারী এবং শরী‘আতের বিধান ও অবস্থা সম্পর্কে অধিক অবগত সেই সত্ত্বার কাছে পৌছে। তখন তিনি মানুষকে একত্র করে খুতবা দেন। প্রথমে আল্লাহর প্রসংশা করেন এবং তার অভ্যাস অনুযায়ী সবাইকে সম্বোধন করে ওয়ায ও দিক নির্দেশনা দেন। ফলে তিনি তাদের জানালেন যে, তিনি প্রত্যেককে তার পাওনা আদায় করেন, আল্লাহর ইবাদত করেন এবং প্রার্থিব জীবনের বৈধ স্বাদ আস্বাদন করেন। তিনি ঘুমান, সালাত আদায় করেন, সাওম পালন করেন, ইফতার করেন, বিবাহ করেন ইত্যাদি। আর যে ব্যক্তি তার উন্নত সুন্নাত থেকে বিমুখ হয়, সে তার অনুসারীদের থেকে নয়। সে বিদ‘আতীদের রাস্তা অবলম্বন করল।