العظيم
كلمة (عظيم) في اللغة صيغة مبالغة على وزن (فعيل) وتعني اتصاف الشيء...
আব্দুল্লাহ ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, “কোনো এক দিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের নিয়ে সালাতুল খাওফ আদায় করেন। তখন এক জামা‘আত তার সাথে সালাতে দাড়ালো এবং অপর জামা‘আত দুশমনের মুকাবালায় দাড়ালো। যারা তার সাথ ছিল তাদের নিয়ে তিনি এক রাকা‘আলা আদায় করলেন। অতঃপর তারা চলে গেল এবং অন্যরা আসলো। তারপর তাদের নিয়ে এক রাকা‘আত আদায় করলেন। আর উভয় জামা‘আত এক রাকা‘আত এক রাকা‘আত নিজেরা আদায় করে নিল”।
মুশরিকদের সাথে কোন একটি যুদ্ধে যখন মুসলিমরা তাদের দুশমন কাফিরদের মুখোমুখি হলো এবং সালাতে মাশগুল হওয়ার সময় তাদের ওপর অতর্কিত আক্রমণের আশঙ্কা করল তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সাহাবীদের নিয়ে সালাতুল খাওফ আদায় করেন। এ সময় দুশমণ কিবলা ছাড়া অন্য দিক ছিল। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবীদের দুই ভাগ করলেন। এক জামাত তার সাথে সালাতে দাঁড়ালো এবং অপর জামাত দুশমনের মুখোমুখী দাঁড়ালো তারা মুসল্লীদের পাহারা দিচ্ছিল। তারপর তিনি তার সাথে যে জামাত ছিল তাদের নিয়ে এক রাকাত সালাত আদায় করলেন। অতঃপর তারা তাদের সালাতে থাকা অবস্থায় দুশমনের মুকাবালায় চলে গেল এবং সেখানে অবস্থান নিল। আর অন্য জামা‘আত যারা এখনো সালাত আদায় করেনি তারা আসলো। তারপর তাদের নিয়ে এক রাকা‘আত সালাত আদায় করলেন। তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাম ফিরালেন। তারপর যে জামা‘আতটি তার সাথে শেষে এসে যোগ দিয়েছিল তারা দাঁড়িয়ে অবশিষ্ট রাকা‘আত আদায় করে পাহারা দেওয়ার জন্য চলে গেল। এবং প্রথম জামা‘আত তাদের যে রাকা‘আত বাকী ছিল তা আদায় করল। এটি সালাতুল খাওফের বিভিন্ন প্রদ্ধতির একটি পদ্ধতি। এ থেকে উদ্দেশ্য যেমনটি ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন, মানুষ সবাই সালাতে কিন্তু তাদের কতক কতককে পাহারা দেয়। এটি বর্ণনা করেছেন বুখরী।