الحافظ
الحفظُ في اللغة هو مراعاةُ الشيء، والاعتناءُ به، و(الحافظ) اسمٌ...
কাবশা বিনত কা‘ব ইবন মালিক রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি আবূ কাতাদা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুর পুত্রবধূ ছিলেন। তিনি বলেন, একদা আবূ কাতাদা (গৃহে) আগমন করলে আমি তাকে অযুর পানি দিলাম। এমতাবস্থায় একটি বিড়াল এসে উক্ত পানি পান করলো। বিড়ালটির পানি পান করার সুবিধার্থে আবূ কাতাদা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু পাত্রটি কাত করে ধরলেন এবং বিড়ালটি তৃপ্তি সহকারে পানি পান করল। কাবশা বলেন, তিনি আমাকে এর প্রতি তাকিয়ে থাকতে দেখে জিজ্ঞেস করলেন, হে আমার ভ্রাতুষ্পুত্রী! তুমি কি আশ্চর্যবোধ করছ? জবাবে আমি (কাবশা) বললাম, হ্যাঁ। তখন তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “নিশ্চয় বিড়াল অপবিত্র (প্রাণী) নয়। এরা তোমাদের আশেপাশে ঘুরাফেরাকারী ও তোমাদের সংশ্রবে আশ্রিত প্রাণী।”
উপরোক্ত হাদীসে এসেছে, আবূ কাতাদা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু অযু শুরু করলে একটি বিড়াল ঘরে প্রবেশ করল -সাধারণত বিড়াল গৃহে প্রবেশ করে, মানুষের সাথে মিলেমিশে থাকে এবং আশেপাশে ঘুরাফেরা করে- বিড়ালটির পানি পান করার সুবিধার্থে আবূ কাতাদা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু পাত্রটি কাত করে ধরলেন যাতে অযুর পানি থেকে পান করে। এতে তার ভ্রাতুষ্পুত্রী কাবশা আশ্চর্য হলেন। পাত্রের পানি শুধু অযু করার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছিল। সুতরাং তা স্বয়ং পবিত্র ও অন্যকে পবিত্রকারী হওয়া অত্যাবশ্যক। তখন আবূ কাতাদা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু কাবশাকে নিম্নোক্ত হাদীস বললেন যে, নিশ্চয় বিড়াল নাপাক প্রাণী নয়। সে পাত্র থেকে পানি পান করায় অবশিষ্ট পানিতে কোনো প্রভাব পড়ে নি। কেননা নিশ্চয় এরা সর্বদা মানুষের আশেপাশে ঘুরাফেরাকারী ও সংশ্রবে আশ্রিত প্রাণী।