الأحد
كلمة (الأحد) في اللغة لها معنيانِ؛ أحدهما: أولُ العَدَد،...
আবূ যার জুনদুব ইবন জুনাদাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে মারফূ‘ হিসেবে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট কিছু গণীমতের সম্পদ একত্র হলো। তিনি বললেন, হে আবূ যার! তুমি গ্রামে যাও। তখন আমি রাবযাহ গ্রামে গেলাম। তখন আমার গোসল ফরয হতো। এ অবস্থায় আমি সেখানে পাঁচ ও ছয় দিন থাকতাম। তারপর আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট আসি। তিনি বলেন, হে আবূ যার! আমি চুপ রইলাম। “তোমার মা তোমাকে গুম করুক, হে আবূ যার তোমার মায়ের জন্য ধ্বংস” অতঃপর তিনি আমার জন্য একজন কালো বাদি ডাকালেন। সে একটি বড় পাত্র নিয়ে আসল যাতে রয়েছে পানি। সে আমাকে একটি কাপড় দিয়ে আড়াল করল আর আমি সাওয়ারী দ্বারা পর্দা করলাম। তারপর গোসল করলাম। তখন মনে হলো যেন, আমি আমার থেকে পাহাড় সরালাম। তখন বলল, পানি না পাওয়া গেলে পবিত্র মাটি একজন মুসলিমের পবিত্রতা যদিও দশ বছর হয়। যখন তুমি পানি পাবে তখন তুমি শরীরকে পানি দ্বারা ধুইয়ে নাও। কারণ, এটি উত্তম।”
এ হাদীসটি এ শরী‘আতের একটি সহজ নিদর্শন তুলে ধরেছে। আর তা হলো পানি না থাকা অবস্থায় তায়াম্মুম দ্বারা পবিত্রতা অর্জন করা। “পবিত্র মাটি” অর্থাৎ যমীনের উপরি ভাগের পবিত্র মাটি ইত্যাদি। এ নামকরণ করার কারণ হলো, মানুষ তার উপর আরোহন করে ও চলে। “মুসলিমের পবিত্রতা” এ কথার মধ্যে রয়েছে পবিত্রতার ক্ষেত্রে পবিত্র মাটিকে পানির সাথে তুলনা করা। তাই শরী‘আত প্রণেতা তায়াম্মুমের ওপর অযু শব্দ ব্যবহার করেছেন। কারণ, তা তার স্থলাভিষিক্ত হওয়ার কারণে। সহজ বিধানটি ততদিন থাকবে যতদিন অপারগতা পাওয়া যাবে। এ কারণে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যদিও দশ বছর পানি পাওয়া না যায় অথবা বিশ বছর অথবা ত্রিশ বছর বা তার চেয়েও বেশি। সুতরাং দশ দ্বারা উদ্দেশ্য অধিক বোঝানো সংখ্যা বোঝানো নয়। অনুরূপভাবে যদি পানি পাওয়াও যায় কিন্তু পানি ব্যবহারে শর‘ঈ বা দৈহিক কোনো অসুবিধা রয়েছে। এতে প্রতীয়মান হয় যে, তায়াম্মুম অযুর স্থলাভিষিক্ত। যদিও তার দ্বারা দুর্বল পবিত্রতা হয় কিন্তু ওয়াক্ত চলে যাওয়ার পূর্বে সালাত আদায়ের জন্য এটি জরুরি পবিত্রতা। তারপরও যখন পানি পাওয়া যায় ও তা ব্যবহারে সক্ষম হয় তখন তায়াম্মুম করার অনুমতি শেষ হয়ে যায়। এ কারণে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবূ যারকে পবিত্রতার ক্ষেত্রে মূলের দিকে ফিরে যাওয়ার দিক নির্দেশনা দেন। আর তা হলো পানি ব্যবহার করা। তিনি বলেন, যখন তুমি পানি পাবে তখন তুমি পানি তোমার শরীরে পৌঁছাও। তা দ্বারা তুমি অযু বা গোসল করে নাও। তিরমিযীর বর্ণনায় এসেছে: যখন পানি পাওয়া যাবে সে যেন তার চামড়ায় পানি স্পর্শ করে। কারণ, তা অধিক উত্তম। এ দ্বারা বুঝা যায় যে, পানি পাওয়া তায়াম্মুমকে ভঙ্গ করে দেয় যদি সে তা ব্যবহারে সক্ষম হয়। কারণ, ব্যবহার করতে সক্ষম হওয়া পানি পাওয়ার উদ্দেশ্য।