الصمد
كلمة (الصمد) في اللغة صفة من الفعل (صَمَدَ يصمُدُ) والمصدر منها:...
জাবের ইবন আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ফজর দুই প্রকার। এক ফজর হলো বাঘের লেজের মতো তাতে সালাত পড়া যাবে না এবং খাদ্য হারাম হবে না। আর যে ফজর আকাশে লম্বাভাবে দেখা যায় তাতে সালাত বৈধ এবং খাদ্য নিষিদ্ধ।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্রাম হুকুমের দিক বিবেচনায় ফজরকে দুইভাগে ভাগ করেছেন। এক ফজর হলো যাকে ফজরে কাযেব বলে, আকামে খুটির মতো উপরের দিকে উঁচা হয়। বাঘের লেজের মতো। কারণ, তার লেজ উপরের দিক লম্ব হয়। তাই তা নেকড়ে বাঘের লেজের সাদৃশ উপরের দিকে দীর্ঘ হওয়া বিবেচনায়। তারপর তা দূর হয়ে গেলে তার পর আসে অন্ধকার। এ সময়ে ফজর সালাত আদায় করা বৈধ নয়। সাওম পালনকারীর জন্য এ সময়ে খাওয়া ও পান করা হালাল। অর্থাৎ যে রাতে সাওম পালনের নিয়ত করে। কারণ, এটি সত্যিকার ফজর নয় যাতে ফজরের সালাত বৈধ হয় এবং সাওম পালনকারীকে খানা ও পান করা থেকে নিষেধ করা হবে। আর দ্বিতীয় ফজর যাকে সাদা ফজর বলা হয়, তা হলো যা আকাশে লম্বাভাবে দেখা যায়। অর্থাৎ উত্তর থেকে দক্ষিণ দিকে দীর্ঘ লম্বা হয়। তার পর আর কোন অন্ধকার থাকে না। বরং ধীরে ধীরে আলো বাড়তে থাকে। এমনকি তা আকাশের কিনারায় ছড়িয়ে পড়ে। এ সময়ে ফজরের সালাত আদায় করা বৈধ এবং সাওম পালনকারীর জন্য খাদ্য ও পানীয় গ্রহণ করা নিষিদ্ধ। সময়ে পেক্ষাপটে দুই ফজরের মাঝে ব্যবধান লক্ষ্য করা যায়। কখনো সময় দীর্ঘ হয় আবার কখনো সময় সংক্ষিপ্ত হয়ে থাকে এবং কখনো সময় ফজরে কাযেব দেখা যায় না। দুই ফজরের মাঝে পার্থকের সারসংক্ষেপ হলো, সাদা ফজর উত্তর থেকে দক্ষিণে দীর্ঘ হয় আর কালো ফজর তার বিপরীত। দুই: সাদা ফজরের পর কোন অন্ধাকার নেই। আর কালো ফজরের পর আবার অন্ধকার ছেয়ে যায়। তিন: সাদা ফজরের আলো আকাশের কিনারার সাথে মিলিত। আর এটি হলো আলাদা। আর তিনটি প্রার্থক্য হলো কাওনী কাদরীর দিক থেকে। আর শর‘ঈ আমলী দিক বিবেচনায় এ দুয়ের মধ্যে প্রার্থক্য হলো, কালো ফজরে ফজরের সালাত আদায় করা যাবে না আর সাদা ফজরে আদায় করা যাবে এবং সাওম পালনকারীর ওপর খানা ও পান করা নিষিদ্ধ।