الحفيظ
الحفظُ في اللغة هو مراعاةُ الشيء، والاعتناءُ به، و(الحفيظ) اسمٌ...
‘আবদুল্লাহ্ ইব্নু ‘আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি সাবালক হবার নিকটবর্তী বয়সে একদা একটি গাধীর উপর আরোহিত অবস্থায় এলাম। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন মিনায় সালাত আদায় করছিলেন তার সামনে কোন দেয়াল না রেখেই। তখন আমি কোন এক কাতারের সামনে দিয়ে অতিক্রম করলাম এবং গাধীটিকে বিচরণের জন্য ছেড়ে দিলাম। আমি কাতারের ভেতর ঢুকে পড়লাম কিন্তু এতে কেউ আমাকে নিষেধ করেননি।
আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা জানান যে, তিনি বিদায় হজে মিনাতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে উপস্থিত ছিলেন। ফলে একটি গাধীর ওপর সাওয়ার হয়ে উপস্থিত হয়ে কোন একটি কাতারের সামনে দিয়ে অতিক্রম করেন। অথচ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সাথীদের নিয়ে সালাত আদায় করছেন তার সামনে কোন দেয়াল ছিল না। তারপর তিনি উট থেকে নামেন এবং তাকে চরতে ছেড়ে দেন। আর নিজে কাতারে প্রবেশ করেন। আর জানান যে, ঐ সময় তিনি প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার কাছাকাছি হন। অর্থাৎ, যে বয়সে বারণ করা হয়। যদি সে কোন অন্যায় কর্ম করত যা মুসল্লীদের সালাতকে নষ্ট করে দেয়, তাহলে অবশ্যই তাকে নিষেধ করা হত। তা সত্বেও কেউ তাকে নিষেধ করেননি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজেও নয় এবং তার সাথীদের থেকেও কেউ নয়।