الأذكار المطلقة
জাবের রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, “সর্বোত্তম যিকির হচ্ছে, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ।”  
عن جابر -رضي الله عنه- قال: سمعت رسول الله -صلى الله عليه وسلم- يقول: «أفضل الذِّكر: لا إله إلا الله».

شرح الحديث :


রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের জানাচ্ছেন যে, “সর্বোত্তম যিকির হচ্ছে, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ।” অপর একটি হাদীসে এসেছে, যে উত্তম কথাটি আমি বলেছি ও আমার পূর্বের নবীগণ বলেছেন, তা হচ্ছে: لا إله إلا الله وحده لا شريك له “একমাত্র আল্লাহ ব্যতীত কোনো সত্য ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই।” নিঃসন্দেহে বলা যায় যে, এ কালেমাটি একটি মহান ও মর্যাদাপূর্ণ কালেমা, এর দ্বারা আসমাসমূহ ও যমীন বহাল রয়েছে আর এর কারণে সমগ্র মাখলুক সৃষ্টি করা হয়েছে। এ বাক্যগুলো দিয়েই আল্লাহ তা‘আলা তাঁর রাসূলগণকে প্রেরণ করেছেন, কিতাবসমূহ নাযিল করেছেন এবং শরী‘আত প্রণয়ন করেছেন। এ কালেমার কারণেই মীযান স্থাপন করা হয়েছে, হিসাবের দফতরসমূহ খোলা হয়েছে, জান্নাত ও জাহান্নামের বাজার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এ কালেমার অর্থ, আল্লাহ ছাড়া সত্যিকার কোনো মা‘বুদ নেই। এ কালেমা কারো থেকে গ্রহণ করার শর্ত সাতটি: ইলম (যথাযথ জ্ঞান), ইয়াকীন (দৃঢ়বিশ্বাস), কবুল (মনে-প্রাণে গ্রহণ), ইনকিয়াদ (যথাযথভাবে মেনে নেওয়া), সততা (মনের সত্যতা), ইখলাস (নিষ্ঠা) ও মুহাব্বত (ভালোবাসা)। এ কালেমা সম্পর্কে পূর্বের ও পরের সকল মানুষকে জিজ্ঞেস করা হবে। সুতরাং যতক্ষণ পর্যন্ত দুটি প্রশ্ন সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত বান্দা আল্লাহর সামনে থেকে পা সরাতে পারবে না। তোমরা কিসের ইবাদত করতে? আর তোমরা রাসূলগণের আহ্বানে কী সাড়া দিয়েছ? প্রথমটির উত্তর হবে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ জেনে, মেনে ও আমলের মাধ্যমে যথাযথ বাস্তবায়ণ। আর দ্বিতীয়টির উত্তর হবে মুহাম্মদ আল্লাহর রাসূল তা জেনে, স্বীকার করে, মেনে নিয়ে ও অানুগত্যের মাধ্যমে যথার্থ বাস্তবায়ণ। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, (পাঁচটি বস্তুর ওপর ইসলামের ভিত্তি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে: এ কথার সাক্ষ্য দেওয়া যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো সত্য ইলাহ নেই, আর মুহাম্মদ আল্লাহর রাসূল...)।  

ترجمة نص هذا الحديث متوفرة باللغات التالية