حق الإمام على الرعية
আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আন্হা থেকে মারফু হিসেবে বর্ণিত, “যখন আল্লাহ কোন শাসকের মঙ্গল চান, তখন তিনি তার জন্য সত্যনিষ্ঠ (শুভাকাঙ্খী) একজন মন্ত্রী নিযুক্ত ক’রে দেন। শাসক (কোন কথা) ভুলে গেলে সে তাকে তা স্মরণ করিয়ে দেয় এবং স্মরণ থাকলে তারা তাকে সাহায্য করে। আর যখন আল্লাহ তার অন্য কিছু (অমঙ্গল) চান, তখন তার জন্য মন্দ মন্ত্রী নিযুক্ত ক’রে দেন। শাসক বিস্মৃত হলে সে তাকে স্মরণ করিয়ে দেয় না এবং স্মরণ থাকলে তারা তাকে সাহায্য করে না।”  
عن عائشة -رضي الله عنها- مرفوعًا: «إِذَا أَرَادَ اللهُ بِالأمِيرِ خَيرًا، جَعَلَ لَهُ وَزِيرَ صِدقٍ، إِنْ نَسِيَ ذَكَّرَهُ، وَإِنْ ذَكَرَ أَعَانَهُ، وَإِذَا أَرَادَ بِهِ غَيرَ ذَلِكَ جَعَلَ لَهُ وَزِيرَ سُوءٍ، إِنْ نَسِيَ لَمْ يُذَكِّرهُ، وَإِنْ ذَكَرَ لَمْ يُعِنْهُ».

شرح الحديث :


রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যখন আল্লাহ আমীরের ভালো চান। এখানে এরাদা (অর্থাৎ চাওয়া) দ্বারা উদ্দেশ্য ইরাদায়ে কাওনী. কাদারী (অর্থাৎ পার্থিব স্বার্থ সংশ্লিষ্ট তাকদীর)। এ কারণেই তাতে—এই চাওয়াতে— ভালো ও মন্দ একাধিক বিষয় রয়েছে। কারণ, আল্লাহ কখনো এই এরাদাকে মহব্বত করে এবং কখনো তাকে ঘৃণা করেন। ফলে এই ইরাদাহ ব্যাপকতার কারণে ইরাদায়ে শর‘ঈয়াহ যাকে আল্লাহ মহব্বত করেন তাকও সামিল করে। আর এ কল্যাণকে এ বলে ব্যাখ্যা করা হয়েছে যে, আমীরের জন্য একজন সত্যবাদী ওযীরের তাওফীক দেওয়া যাতে দুনিয়া আখিরাত উভয় জাহানে তার কল্যাণ হয়। এমনিভাবে এর ব্যখ্যা জান্নাত দ্বারাও করা হয়ে থাকে। তার বাণী: “সত্যবাদী মন্ত্রী নিয়োজিত করেন” আল্লাহ তা‘আলা তার কথা, কাজে, প্রকাশ্যে ও গোপনে একজন সত্যবাদী মন্ত্রী নিযুক্ত করেন। এখানে তাকে সততার দিকে নিসবত করা হয়েছে। কারণ, সাথী হওয়া ইত্যাদি ক্ষেত্রে সততাই মূল। “যদি আমীর ভুলে যায়”—ভুলে যাওয়া মানুষের স্বভাব—অর্থাৎ, যদি আমীর প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো ভুলে যায় অথবা শর‘ঈ কোন বিধানের বিষয়ে অজ্ঞ থাকে অথবা কোন অত্যাচারিত লোকের ফায়সালা অথবা জন কল্যাণকর কোন বিষয় ভুলে গেছে তা এ সৎ মন্ত্রী স্মরণ করিয়ে দেয় এবং তাকে দিক নির্দেশনা দেয়। আর যদি আমীরের স্মরণ থাকে, তবে সে তাকে কথা, কাজ বা মতামত দিয়ে সাহায্য করে। আর যদি তার সাথে অন্য কিছু অর্থাৎ অমঙ্গল ইচ্ছা করেন, এভাবে ব্যক্ত করা দ্বারা খারাপ কর্ম থেকে বিরত থাকার প্রতি ইশারা করা হয়েছে। কারণ, যখন সে খারাপ কর্ম ঘৃণিত বা মন্দ হওয়ার কারণে তার নাম নেওয়া থেকেই বিরত থাকে, তাহলে খারাপ কর্ম থেকে বিরত থাকা আরও অধিক শ্রেয়। আর এখানে ইসম ইশারাহ যালিকা যা দূরের অর্থ বুঝায় নিয়ে আসা দ্বারা, ভালো কর্ম মহান, তার মর্যাদা উচ্চ হওয়া এবং তা তালাশ করা ও লাভ করতে স্বচেষ্ট হওয়ার প্রতি উৎসাহ প্রদানের ইশারা করা হয়েছে। ফলাফল হল, “তার জন্য অসৎ মন্ত্রী নিয়োগ করা হয়”। অর্থাৎ, কথা কর্মে উল্লেখিত গুণের বিপরীত। যদি সে ভুলে যায় তখন সে প্রয়োজনীয় বিষয় ছেড়ে দেয়। সে তা তাকে স্মরণ করিয়ে দেয় না। কারণ, তার অন্তরে নূর নেই যা তাকে তার ওপর উঠাবে। আর যদি স্মরণ থাকে তাকে সাহায্য করে না। বরং তার স্বভাব ও কর্ম খারাপ হওয়ার কারণে তাকে তা থেকে দূরে সরানোর চেষ্টা করে।  

ترجمة نص هذا الحديث متوفرة باللغات التالية