الحفي
كلمةُ (الحَفِيِّ) في اللغة هي صفةٌ من الحفاوة، وهي الاهتمامُ...
আওফ ইবনে মালেক রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, তাবূক যুদ্ধকালে আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট উপস্থিত হলাম। তিনি একটি চামড়ার তাঁবুর ভেতরে ছিলেন। তিনি বললেন, “কিয়ামতের পূর্বেকার ছয়টি আলামত গণনা কর। একটি হচ্ছে আমার মৃত্যু। অতঃপর বাইতুল মুকাদ্দাস বিজয়। অতঃপর দু’টি মৃত্যু তোমাদের মধ্যে থেকে মেষপালের ন্যায় (অধিকহারে লোক) গ্রহণ করবে। তারপর সম্পদের প্রাচুর্য হবে, এমনকি মাথাপিছু শত দীনার (স্বর্ণমুদ্রা) পেয়েও মানুষ সন্তুষ্ট হবে না। তারপর তোমাদের মধ্যে এমন বিপর্যয় সৃষ্টি হবে, যা থেকে আরবের কোন ঘর রেহাই পাবে না। এরপর বনু আসফার (রোমক খৃস্টান)-এর সাথে তোমাদের সন্ধি হবে। কিন্তু তারা তোমাদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করবে এবং আশিটি পতাকা তলে সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে। প্রতিটি পতাকার অধীনে থাকবে বারো হাজার সৈন্য”।
আওফ ইবনে মালেক তাবূক যুদ্ধকালে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট উপস্থিত হল। তখন তিনি একটি চামড়ার তাঁবুর ভেতরে ছিলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, “কিয়ামতে পূর্বেকার আলামতসমূহ হতে ছয়টি আলামত গণনা কর। একটি হচ্ছে আমার মৃত্যু। অতঃপর বাইতুল মুকাদ্দাস বিজয়। এটি উমার রাদিয়াল্লাহু খিলাফত যুগে সংঘটিত হয়। অতঃপর তোমাদের মধ্যে একটি মহামারি ছড়িয়ে পড়বে। তখন তোমাদের মধ্যে কতক মানুষ খুব দ্রুত মারা যাবে যেমনিভাবে বকরির মধ্যে এ ধরনের মহাবারি ছড়িয়ে পড়লে সেগুলো খুব দ্রুত মারা যায়। তারপর তোমাদের সম্পদের প্রাচুর্য হবে, এমনকি মাথাপিছু শত দীনার (স্বর্ণমুদ্রা) পেয়েও মানুষ সন্তুষ্ট হবে না। সে ক্ষুব্ধ হবে। কারণ, তার দৃষ্টিতে তার পরিমাণ কম। কেউ কেউ বলেছেন, এ ধরনের অবস্থা উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহুর খিলাফত আমলে বিজয়সমূহের সময় দেখা গিয়েছিল। তারপর তোমাদের মধ্যে এমন মহা বিপর্যয় সৃষ্টি হবে, যা থেকে আরবের কোন ঘরই রেহাই পাবে না। কেউ কেউ বলেছেন, তা হলো উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহুর হত্যা এবং তারপর তাকে কেন্দ্র করে যে সব ফিতনা দেখা দিয়েছেল। এরপর মুসলিমদের মাঝে এবং বনু আসফার (রোমক খৃস্টান)-এর সাথে তোমাদের সন্ধি হবে। কিন্তু তারা চুক্তি ভঙ্গ করবে এবং মুসলিমদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করবে। ফলে মুসলিমদের সাথে যুদ্ধ করার জন্য আশিটি পতাকা তলে সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে অগ্রসর হবে। প্রতিটি পতাকার অধীনে থাকবে বারো হাজার সৈন্য। যার সমষ্টি হবে নয় লক্ষ ষাট হাজার।