الحكم
كلمة (الحَكَم) في اللغة صفة مشبهة على وزن (فَعَل) كـ (بَطَل) وهي من...
আবূ মাসঊদ উকবাহ ইবনে আমের আল-আনসারী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “জামা‘আতের ইমামতি ঐ ব্যক্তি করবে, যে তাদের মধ্যে সবচেয়ে ভাল কুরআন পড়তে জানে। যদি তারা পড়াতে সমান হয়, তাহলে তাদের মধ্যে যে সুন্নাহ (হাদীস) বেশী জানে সে (ইমামতি করবে)। অতঃপর তারা যদি সুন্নাহতে সমান হয়, তাহলে তাদের মধ্যে সর্বাগ্রে হিজরতকারী। যদি হিজরতে সমান হয়, তাহলে তাদের মধ্যে বয়োজ্যেষ্ঠ (ইমামতি করবে)। আর কোন ব্যক্তি যেন কোন ব্যক্তির নেতৃত্ব স্থলে ইমামতি না করে এবং গৃহে তার বিশেষ আসনে তার বিনা অনুমতিতে না বসে।”
হাদীস শরীফটি কয়েকটি বর্ণনা করেন: এক: যে ব্যক্তি কুরআনের বেশি হিফাযতকারী তিনিই ইমামতির বেশি হকদার। তবে তাকে অবশ্যই সালাতের মাসায়েল সম্পর্কে জানতে হবে। কারণ, সালাতের মাসায়েল জানে না এমন ব্যক্তির জন্য সালাতের ইমামতি বৈধ নয়। তারা যদি হিফযে সবাই সমান হন তখন যিনি সুন্নাহ সম্পর্কে বেশি জ্ঞান রাখেন তিনি। তাতেও যদি তারা সমান হন, তাহলে তাদরে মধ্যে যিনি আগে হিজরত করেছেন তিনি ইমামতির বেশি হকদার। তাতেও যদি তারা সমান হয়, তাহলে তাদের মধ্যে যিনি আগে ইসলাম গ্রহণ করেছেন তিনি অধিক হকদার। দুই: ইমামতিতে মেহমান বাড়ির মালিকের অনুমতি ছাড়া আগ বাড়ে ইমামতি করতে যাবে না। তবে যদি অনুমতি দেয় তখন ভিন্ন কথা। সুতরাং বাড়ির মালিক মেহমানের চেয়ে অধিক হকদার। তিন: বাড়ি ওয়ালার বিশেষ আসনে তার অনুমতি ছাড়া বসবে না।