البحث

عبارات مقترحة:

الخالق

كلمة (خالق) في اللغة هي اسمُ فاعلٍ من (الخَلْقِ)، وهو يَرجِع إلى...

الطيب

كلمة الطيب في اللغة صيغة مبالغة من الطيب الذي هو عكس الخبث، واسم...

المتكبر

كلمة (المتكبر) في اللغة اسم فاعل من الفعل (تكبَّرَ يتكبَّرُ) وهو...

আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে মারফু‘ সূত্রে বর্ণিত, “কোনো মুসলিম কিংবা কোনো মুমিন বান্দা যখন অযু করে অতঃপর সে তার চেহারা ধৌত করে, তখন তার চেহারা হতে পানির সাথে অথবা পানির শেষ বিন্দুর সাথে সে সকল গুনাহ বের হয়ে যায় যার দিকে তার দু’চোখের দৃষ্টি পড়েছিল। আর যখন সে তার দু’হাত ধৌত করে, তখন দু’হাত থেকে পানির সাথে অথবা পানির শেষ বিন্দুর সাথে সেসব গুনাহ বের হয়ে যায় যেগুলো তার দু’হাত করেছিল। অতঃপর যখন সে তার দু’পা ধৌত করে তখন তার দু’পা থেকে পানির সাথে অথবা পানির শেষ বিন্দুর সাথে সেসব গুনাহ বের হয়ে যায় যেগুলোর দিকে তার দু’পা অগ্রসর হয়েছিল। ফলে (অযুর শেষে) লোকটি সমুদয় গুনাহ থেকে সম্পূর্ণভাবে মুক্ত হয়ে যায়”।

شرح الحديث :

শরী‘আতসম্মত অযু হচ্ছে যাতে চারটি অঙ্গকে পবিত্র করা হয়। সেগুলো হলো, মুখমণ্ডল, দু’হাত, মাথা ও দু’পা। এ পবিত্রতা বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ উভয় প্রকারের পবিত্রতাকে শামিল করে। বাহ্যিক পবিত্রতা তো স্পষ্ট। কেননা অযুতে মানুষ তার মুখমণ্ডল, দু’হাত ও দু’পা ধৌত করে এবং মাথা মাসাহ করে। অযুতে অন্যান্য অঙ্গ ধৌত করার মতোই মাথা ধৌত করার বিধানও প্রযোজ্য হওয়ার কথা; তবে আল্লাহ তা‘আলা মাথা ধৌত করার বিষয়টি বান্দার জন্য সহজ করেছেন। কেননা মাথায় চুল রয়েছে এবং এটি মানুষের শরীরের একেবারে উপরের অংশ। অতএব মাথা ধৌত করা ফরয হলে- বিশেষ করে এতে চুল থাকলে, মানুষের জন্য কষ্টকর হতো, বিশেষ করে শীতের দিনে আরো বেশি কষ্ট হতো। আল্লাহর অপরিসীম রহমত যে, তিনি মাথা ধৌত করার পরিবর্তে শুধু মাসাহ করা ফরয করেছেন। অতএব, মানুষ যখন অযু করে তখন সে অযুর অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো বাহ্যিকভাবে পবিত্রতা অর্জন করে। এটি ইসলামের পরিপূর্ণতা প্রমাণ করে। যেহেতু ইসলামের অনুসারীদের ওপর এমন সব অঙ্গ ধৌত করা ফরয করেছে যেগুলো প্রায়শঃই বাহ্যিকভাবে প্রকাশমান থাকে। অন্যদিকে অভ্যন্তরীণ পবিত্রতা (প্রত্যেক মুসলিমকে যা অর্জনের ইচ্ছা পোষণ করা উচিৎ আর তা) হলো, গুনাহ থেকে পবিত্র হওয়া। সুতরাং বান্দা যখন অযুতে মুখমণ্ডল ধৌত করে তখন চোখের দ্বারা সংঘটিত যাবতীয় গুনাহ বের হয়ে যায়। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন এখানে চোখের কথা উল্লেখ করেছেন, এ বিষয়ে আল্লাহই অধিক জ্ঞাত- তখন তিনি তা উদাহরণস্বরূপ উল্লেখ করেছেন। অন্যথায় নাকও কখনো কখনো অন্যায় করে, মুখও কখনো কখনো অন্যায় করে। যেমন মানুষ কখনো মুখে হারাম কথা বলে, নাকের দ্বারা কখনো হারাম জিনিসের গন্ধ আস্বাদন করে। তবে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এখানে চোখের কথা উল্লেখ করেছেন, যেহেতু মানুষ অধিকাংশ গুনাহ চোখের দ্বারাই করে থাকে। হাদীসে গুনাহর কাফ্ফারা বলতে সগীরা গুনাহ বুঝানো হয়েছে। কেননা কবীরা গুনাহ তাওবা ব্যতীত মাফ হয় না।


ترجمة هذا الحديث متوفرة باللغات التالية