الخالق
كلمة (خالق) في اللغة هي اسمُ فاعلٍ من (الخَلْقِ)، وهو يَرجِع إلى...
আব্দুল্লাহ ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, যখন উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু-এর কন্যা হাফসা বিধবা হলেন, তখন তিনি বললেন যে, আমি উসমান ইবনে আফ্ফান-রাদিয়াল্লাহু আনু-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলাম এবং হাফসাকে বিবাহ করার প্রস্তাব দিয়ে তাঁকে বললাম, ‘আপনি ইচ্ছা করলে আপনার বিবাহ আমি উমারের কন্যা হাফসার সাথে দিয়ে দিচ্ছি?’ তিনি বললেন, ‘আমি আমার (এ) ব্যাপারে বিবেচনা করব।’ সুতরাং আমি কয়েকটি রাত্রি অপেক্ষা করলাম। অতঃপর তিনি আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ ক’রে বললেন, ‘আমার এখন বিয়ে না করাটাই ভাল মনে করছি।’ (উমার বলেন,) অতঃপর আমি আবূ বকর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু-এর সাথে দেখা ক’রে বললাম, ‘যদি আপনি ইচ্ছা করেন, তাহলে আমি আপনার বিবাহ হাফসার সাথে দিয়ে দিই।’ আবূ বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু চুপ থাকলেন এবং কোন উত্তর দিলেন না। সুতরাং আমি উসমান অপেক্ষা তাঁর প্রতি বেশী দুঃখিত হলাম। তারপর কয়েকটি রাত্রি অপেক্ষা করলাম। অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বয়ং তাকে বিবাহের পায়গাম দিলেন। ফলে আমি হাফসার বিবাহ তাঁর সাথেই দিয়ে দিলাম। তারপর আবূ বকর আমার সাথে সাক্ষাৎ ক’রে বললেন, ‘আপনি আমাকে হাফসাকে বিবাহ করার দরখাস্ত দিয়েছিলেন এবং আমি কোন উত্তর দিইনি। সেজন্য হয়তো আপনি আমার উপর দুঃখিত হয়েছেন? আমি বললাম, ‘হ্যাঁ।’ তিনি বললেন, ‘আমার আপনাকে উত্তর না দেওয়ার কারণ এই ছিল যে, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাফসাকে বিবাহ করার ব্যাপারে আলোচনা করেছিলেন। সুতরাং আমি আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর গোপন কথা প্রকাশ করতে চাচ্ছিলাম না। যদি নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাফসাকে বর্জন করতেন, তাহলে নিশ্চয়ই আমি তাকে গ্রহণ করতাম।’
হাদীসটিতে আব্দুল্লাহ ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা সংবাদ দেন যে, উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু-এর কন্যা হাফসা খুনাইস ইবন হুযাফাহ সাহমী থেকে বিধবা হন। যিনি আব্দুল্লাহ ইবন হুযাইফার ভাই, রাসূলের একজন সাহাবী ছিলেন। মদীনায় তিনি মারা যান। তার মৃত্যু ছিল উহুদে আক্রান্ত একটি আঘাতে। এ ছাড়াও তিনি ইসলামে প্রবেশকারীদের প্রথম সারিতে ছিলেন এবং হাবশায় হিজরত করেন। উমার বলেন, “আমি উসমান ইবনে আফ্ফানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলাম”। অর্থাৎ তার স্ত্রী রুকাইয়া বিনত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মৃত্যুর পর। উমার বলেন, “আমি তার নিকট হাফসাকে বিবাহ করার জন্য প্রস্তাব দিলাম”। এতে প্রমাণিত হয় একজন মানুষ তার নিজের মেয়েকে ভালো ও যোগ্য ব্যক্তির কাছে বিবাহের প্রস্তাব দিতে পারবে তাতে কোন দুর্বলতা বা ক্ষতি নাই। যেমনটি এ দ্বারা ইমাম বুখারী শিরোনাম করেছেন। উমার বলেন, “আমি বললাম ‘আপনি ইচ্ছা করলে আপনার বিবাহ আমি উমারের কন্যা হাফসার সাথে দিয়ে দিচ্ছি?” তিনি কথাটি শর্তের বাক্য দ্বারা ব্যক্ত করলেন। আর এ পদ্ধতি গ্রহণ করার কারণ হলো যাতে সম্বোধিত ব্যক্তি স্বাধীন থাকে। এটি বর্ণনার সৌন্দর্য ও উৎসাহী করে তুলে এবং গ্রহণ করার প্রতি আগ্রহ যোগায়। তার কন্যাকে তার দিকে নিসবত করার মধ্যে রয়েছে সংক্ষিপ্ততা। যেন তিনি বলেন, অর্থাৎ উমারের মেয়ে। আর তুমি তার অবস্থা জানো এবং তার সৎ সঙ্গ সম্পর্কে তুমি পরিচিত। তখন উসমানের উত্তর ছিল, ‘আমি আমার (এ) ব্যাপারে বিবেচনা করব।’ অর্থাৎ আমি আমার বিষয়ে চিন্তা করব এখন বিবাহ করব না দেরি করব। উমার বলেন, সুতরাং আমি কয়েকটি রাত্রি অপেক্ষা করলাম। অতঃপর তিনি আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ ক’রে বললেন, ‘আমার এখন বিয়ে না করাটাই ভাল মনে করছি।’ উসমান এ দ্বারা সাময়িক সময় উদ্দেশ্য নেন। অর্থাৎ এ সময়। এভাবে বলার কারণ হলো যাতে এ ধারণা না হয় যে, তিনি বৈরাগী হওয়া বা নারী থেকে বিরত থাকা যা নিষিদ্ধ এমন কোন বিষয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। উমার বলেন, অতঃপর আমি আবূ বকর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু-এর সাথে দেখা ক’রে বললাম, ‘যদি আপনি ইচ্ছা করেন, তাহলে আমি আপনার বিবাহ হাফসার সাথে দিয়ে দিই।’ আবূ বকর চুপ থাকলেন এবং কোন উত্তর দিলেন না। আবূ বকর ইচ্ছা করেই চুপ ছিলেন এবং এমন একটি কারণে চুপ ছিলেন যা চুপ থাকার সাথেই অধিক খাস ছিল। উমার বললেন, সুতরাং আমি উসমান অপেক্ষা তাঁর প্রতি বেশী দুঃখিত হলাম। কারণ, উসমান থেকে একটি উত্তর পাওয়া গেছে। আর সিদ্দীক কোন উত্তরই দিল না। তারপর কয়েকটি রাত্রি অপেক্ষা করলাম। অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বয়ং তাকে বিবাহের পায়গাম দিলেন। ফলে আমি হাফসার বিবাহ তাঁর সাথেই দিয়ে দিলাম। তারপর আবূ বকর আমার সাথে সাক্ষাৎ করলেন। অর্থাৎ বিবাহ সম্পন্ন হওয়ার পর এবং বাস্তবতা বর্ণনা করার ক্ষতি দূর হওয়ার পর। সিদ্দীক বললেন, নিজের অপারগতা তুলে ধরা এবং ভাইয়ের অন্তরকে খুশি করার জন্য প্রথমে ‘লা‘আল্লাকা’ ‘শব্দ নিয়ে আসলেন। এটি অনুগ্রহের জন্য ব্যবহার হয়। উমারের সুন্দর চরিত্রের ওপর ভরসা করে এ শব্দটি নিয়ে এসেছেন। এ কারণে সে ক্ষুব্ধ হবেন না। কিন্তু তার থেকে ক্ষব্ধ হওয়ার বৈধতা মানবিক স্বভাব অনুযায়ী ছিল। তাই তাকে তা বললেন। সিদ্দীক বললেন, আপনি আমাকে হাফসাকে বিবাহ করার দরখাস্ত দিয়েছিলেন এবং আমি কোন উত্তর দিইনি। সেজন্য হয়তো আপনি আমার উপর দুঃখিত হয়েছেন? তখন উমার বলল, ‘হ্যাঁ।’ এটি উমার থেকে বাস্তবাতা সম্পর্কে খবর দেওয়া এবং সততার প্রতি আমল করা। তখন আবূ বকর বললেন, ‘আমার আপনাকে উত্তর না দেওয়ার কারণ এই ছিল যে, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাফসাকে বিবাহ করার ব্যাপারে আলোচনা করছিলেন তা আমি জানতাম। অর্থাৎ তাকে বিবাহ করার ইচ্ছা আমার ছিল। হতে পারে হাফসাকে বিবাহের প্রস্তাব বিষয়ে রাসূলের আগ্রহের আলোচনা কেবল সিদ্দীকের উপস্থিতিতে ছিল আর কেউ নয়। তাই তিনি মনে করলেন এটি তার গোপন বিষয় যা প্রকাশ করা বৈধ হবে না। এ কারণে তিনি বলেন, সুতরাং আমি আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর গোপন কথা প্রকাশ করতে চাচ্ছিলাম না। যে গোপন কথাটি আমার কাছে প্রকাশ এবং আলোচনা করেছেন। যদি নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাফসাকে বর্জন করতেন, তার থেকে বিমুখ হয়ে তাহলে নিশ্চয়ই আমি তাকে গ্রহণ করতাম।’ কারণ, যার বিষয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আলোচনা করেছেন তাকে প্রস্তাব দেওয়া তার জন্য নিষিদ্ধ যে তা জানে। এতে রয়েছে উম্মাতের জন্য এবং প্রতিটি লোকের জন্য শিক্ষা। একজন লোকের জন্য উচিত হলো গোপনীয়তা রক্ষা করা এবং এ ক্ষেত্রে খুব বেশি সতর্কতা অবলম্বন করা। আশঙ্কার ক্ষেত্রে কোন প্রকার কথা না বল।
رمضانُ شهرُ الانتصاراتِ الإسلاميةِ العظيمةِ، والفتوحاتِ الخالدةِ في قديمِ التاريخِ وحديثِهِ.
ومنْ أعظمِ تلكَ الفتوحاتِ: فتحُ مكةَ، وكان في العشرينَ من شهرِ رمضانَ في العامِ الثامنِ منَ الهجرةِ المُشَرّفةِ.
فِي هذهِ الغزوةِ دخلَ رسولُ اللهِ صلّى اللهُ عليهِ وسلمَ مكةَ في جيشٍ قِوامُه عشرةُ آلافِ مقاتلٍ، على إثْرِ نقضِ قريشٍ للعهدِ الذي أُبرمَ بينها وبينَهُ في صُلحِ الحُدَيْبِيَةِ، وبعدَ دخولِهِ مكةَ أخذَ صلىَ اللهُ عليهِ وسلمَ يطوفُ بالكعبةِ المُشرفةِ، ويَطعنُ الأصنامَ التي كانتْ حولَها بقَوسٍ في يدِهِ، وهوَ يُرددُ: «جَاءَ الْحَقُّ وَزَهَقَ الْبَاطِلُ إِنَّ الْبَاطِلَ كَانَ زَهُوقًا» (81)الإسراء، وأمرَ بتلكَ الأصنامِ فكُسِرَتْ، ولما رأى الرسولُ صناديدَ قريشٍ وقدْ طأطأوا رؤوسَهمْ ذُلاً وانكساراً سألهُم " ما تظنونَ أني فاعلٌ بكُم؟" قالوا: "خيراً، أخٌ كريمٌ وابنُ أخٍ كريمٍ"، فأعلنَ جوهرَ الرسالةِ المحمديةِ، رسالةِ الرأفةِ والرحمةِ، والعفوِ عندَ المَقدُرَةِ، بقولِه:" اليومَ أقولُ لكمْ ما قالَ أخِي يوسفُ من قبلُ: "لا تثريبَ عليكمْ اليومَ يغفرُ اللهُ لكمْ، وهو أرحمُ الراحمينْ، اذهبوا فأنتمُ الطُلَقَاءُ".