الحميد
(الحمد) في اللغة هو الثناء، والفرقُ بينه وبين (الشكر): أن (الحمد)...
আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এসে নিবেদন করল, ‘হে আল্লাহর রাসূল! আপনি বলুন, যদি কেউ আমার মাল (অবৈধভাবে) নিতে আসে তাহলে কী করতে হবে?’ তিনি বললেন, “তুমি তাকে তোমার মাল দিবে না।” পুনরায় সে নিবেদন করল, ‘যদি সে আমার সাথে লড়াই করে?’ তিনি বললেন, “তাহলে (তুমিও) তার সাথে লড়াই করবে।” সে বলল, সে যদি আমাকে হত্যা করে দেয় তাহলে আপনার মত কী?’ তিনি বললেন, “তাহলে তুমি শহীদ হয়ে যাবে।” সে আবার জিজ্ঞাসা করল, ‘আমি যদি তাকে মেরে ফেলি তাহলে এ ব্যাপারে আপনি কী মত দেন?’ তিনি বললেন, “তাহলে সে জাহান্নামে যাবে।”
এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এসে বলল, ‘হে আল্লাহর রাসূল! আপনি আমাকে বলুন, যদি কেউ আমার সম্পদ অবৈধভাবে নিতে আসে তাহলে, আমার জন্য কী করা উচিৎ হবে?’ তিনি বললেন, “তুমি তাকে তোমার সম্পদ দিবে না।” পুনরায় সে বলল, হে আল্লাহর রাসূল আপনি আমাকে বলে দিন, ‘যদি সে আমার সাথে লড়াই করে, তখন তার সাথে আমার কী করা উচিৎ হবে?’ তিনি বললেন, “তাহলে তুমি তোমার সম্পদ রক্ষা করতে তাকে প্রতিহত কর। যদিও তা লড়াইয়ের দিকে নিয়ে যায়। কিন্তু প্রথমদিকে তুমি তাকে একেরপর এক সহজ পদ্ধতিতে প্রতিরোধ করবে। যেমন, উদাহরণস্বরূপ সাহায্য চেয়ে কিংবা লাঠি দিয়ে ভয় দেখিয়ে অথবা অন্যদিকে গুলি নিক্ষেপ করে প্রতিরোধ করবে। সে বলল, ‘সে যদি আমাকে হত্যা করতে সক্ষম হয় এবং হত্যা করে তাহলে আমার গন্তব্য কী হবে? তিনি বললেন, “তাহলে তোমার জন্য শহীদ হওয়ার সাওয়াব লাভ হবে।” সে আবার জিজ্ঞাসা করল, ‘আমি যদি তার ওপর ক্ষমতাবান হই এবং আমার সম্পদ থেকে প্রতিহত করতে গিয়ে তাকে মেরে ফেলি, তাহলে তার গন্তব্য কী হবে? তিনি বললেন, “তাহলে সে যদি এ কর্মটি হালাল না মনে করে সম্পন্ন করে থাকে, তবে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত জাহান্নামে থাকবে। কিন্তু হালাল মনে করলে চিরস্থায়ী জাহান্নামী হবে। কারণ, দীনের মধ্যে এ ধরনের কর্ম হারাম হওয়ার বিষয়টি স্পষ্ট হওয়া সত্বেও সে কাজটিকে হালাল মনে করেছে।