الودود
كلمة (الودود) في اللغة صيغة مبالغة على وزن (فَعول) من الودّ وهو...
তুফাইল ইবন উবাই ইবন কা‘ব থেকে বর্ণিত, তিনি আব্দুল্লাহ ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমার কাছে আসতেন এবং সকালে তাঁর সঙ্গে বাজার যেতেন। তিনি বলেন, ‘যখন আমরা সকালে বাজারে যেতাম, তখন তিনি হকার, দোকানী, মিসকীন এবং এমন কোনো ব্যক্তির নিকট দিয়ে অতিক্রম করতেন না যাকে তিনি সালাম দিতেন না।’ তুফাইল বলেন, আমি একদিন (অভ্যাসমত) আব্দুল্লাহ ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমার নিকট গেলাম। তিনি আমাকে তাঁর সঙ্গে বাজারে যেতে বললেন। আমি বললাম, ‘আপনি বাজার গিয়ে কী করবেন? আপনি তো বেচা-কেনার জন্য থামেন না, কোনো পণ্য সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন না, তার দর-দাম জানতে চান না এবং বাজারের কোনো মজলিসে বসেনও না। আমি বলছি, এখানে আমাদের সাথে বসে যান, এখানেই কথাবার্তা বলি।’ (তুফাইলের পেট বড় ছিল সে জন্য) তিনি বললেন, ‘হে পেটওয়ালা, আমরা তো প্রত্যুষে বাজারে যাই কেবল সালাম করার উদ্দেশ্যে; যার সাথে সাক্ষাত হবে তাকেই সালাম দিব।
তুফাইল ইবন উবাই ইবন কা‘ব প্রতিদিন আব্দুল্লাহ ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমার কাছে আসতেন এবং তাঁর সঙ্গে বাজারে যেতেন। তুফাইল বলেন, ‘যখন আমরা বাজারে যেতাম, তখন আব্দুল্লাহ ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা যত হকার (কমদামি জিনিস বিক্রেতা/ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী), দোকানী (দামী জিনিস বিক্রেতা/অভিজাত ব্যবসায়ী), মিসকীন এবং যার পাশ দিয়ে অতিক্রম করতেন, তাকে সালাম দিতেন। অর্থাৎ যার সাথেই সাক্ষাত হত, তাকে তিনি সালাম দিতেন, চাই ছোট হোক বা বড় হোক ধনী হোক বা গরীব হোক। তুফাইল বলেন, সুতরাং আমি কোনো দিন তার কাছে আসলাম কোনো একটি কাজে, তিনি আমাকে তাঁর সঙ্গে বাজারে যেতে বললেন। আমি বললাম, ‘আপনি বাজার দিয়ে কী করবেন? আপনি তো বেচা-কেনার জন্য কোথাও দাঁড়ান না, অর্থাৎ কোনো কিছু বিক্রিও করেন না এবং ক্রয়ও করেন না। এমনকি কোনো পণ্য সম্পর্কে জিজ্ঞাসাও করেন না, তার দর-দাম জানতে চান না এবং বাজারে যেসব কর্ম করা হয় তার কোনোটাই আপনি করেন না। যখন বাজারে যাওয়ার কোনো কারণ না থাকে, তখন বাজারে গিয়ে কি লাভ, বিশেষভাবে যখন কোনো প্রয়োজন নেই? তিনি বললেন, ‘হে পেট ওয়ালা! (তুফাইলের পেট বুক বরাবর ছিল না, একটু বাড়তি ছিল) আমরা সকালে বাজারে যাই একমাত্র সালাম করার উদ্দেশ্যে; যার সাথে সাক্ষাত হবে তাকেই আমরা সালাম দিব। অর্থাৎ বাজারে যাওয়ার উদ্দেশ্য কেনা-কাটা ও কোথাও বসা নয়, বরং সালামের প্রসার করে নেকী উপার্জন করা। এটি ছিল ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমার মানুষের মাঝে সালাম প্রসার করার সুন্নাত বাস্তবায়নের একটি আগ্রহ। কারণ, তিনি জানতেন এটি সুবর্ণ সুযোগ। সামান্য কয়েকটি শব্দ বলতে মানুষের তেমন কষ্ট হয় না অথচ তার সাওয়াব অনেক।