البحث

عبارات مقترحة:

البر

البِرُّ في اللغة معناه الإحسان، و(البَرُّ) صفةٌ منه، وهو اسمٌ من...

الصمد

كلمة (الصمد) في اللغة صفة من الفعل (صَمَدَ يصمُدُ) والمصدر منها:...

ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, যখন (মরণ রোগে) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কষ্ট বেড়ে গেল, তখন তাঁকে (জামা‘আত সহকারে) নামায পড়ার ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হল। তিনি বললেন, ‘‘তোমরা আবূ বকরকে নামায পড়াতে বল।’’ আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বললেন, ‘আবূ বকর নরম মনের মানুষ, কুরআন পড়লেই তিনি কান্না সামলাতে পারেন না।’ কিন্তু পুনরায় তিনি বললেন, ‘‘তাকে নামায পড়াতে বল।’’ আয়েশা থেকে অন্য এক বর্ণনায় আছে, তিনি বলেন, আমি বললাম, ‘আবূ বকর যখন আপনার জায়গায় দাঁড়াবেন, তখন তিনি কান্নার কারণে লোকদেরকে (কুরআন) শুনাতে পারবেন না।’

شرح الحديث :

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ব্যথা যখন কঠিন আকার ধারণ করলে যখন তিনি সালাতে লোকদের ইমামতি করতে পারছিলেন না, তখন উপস্থিত লোকদেরকে আদেশ করলেন, তারা যেন আবু বকর রাযিয়াল্লাহু আনহুকে ইমামতি করতে বলে। তিনি কুরআন তিলাওয়াতের সময় অনেক কাঁদতেন। তাই আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা এটিকে অযুহাত বানিয়ে তাঁকে সালাতে ইমামতি করা থেকে বিরত রাখতে চাইলেন। কিন্তু অধ্যায়ের হাদীছে এটিই নেই যে, কুরআন তিলাওয়াতই ছিল তার কান্নার প্রধান কারণ। বরং তার কান্নার কারণ ছিল, যা প্রথমে উল্লেখ করা হয়েছে। মানুষ তার পিতাকে কুলক্ষণ মনে করবে ভেবে তিনি অন্তরে যা গোপন করেছেন তার বিপরীত প্রকাশ করেছেন। যেমন, সহীহ মুসলিমের বর্ণনায় এসেছে, “তিনি বলেছেন, আল্লাহর কসম! রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জায়গায় সর্বপ্রথম যিনি দাঁড়াবেন তাকে মানুষ খারাপ ভাববে মনে করেই আমি তার ইমামতি অপছন্দ করেছি। তাই দু’বার অথবা তিনবার তাঁর কথায় আপত্তি করেছি। তিনি বললেন, “আবু বকরই যেন লোকদের নিয়ে সালাত আদায় করে। আর তোমরা ইউসুফের নারীদের মতোই।” এখানে " صواحب يوسف " দ্বারা উদ্দেশ্য অন্তরে যা আছে তার বিপরীত প্রকাশ করার ক্ষেত্রে তারা ইউসুফের নারীদের মতো। এখানে যদিও বহু বচনের শব্দ ব্যবহার করা হলেও তা দ্বারা শুধু আয়েশা উদ্দেশ্য। যেমন, ইউসুফের নারীদের দ্বারা উদ্দেশ্য শুধু জুলাইখা। হাফিয ইবনে হাজার আসকালানী রাহিমাহুল্লাহ এরূপই বলেছেন। জুলাইখা ছিল তৎকালীন মিসরের আজিজের স্ত্রী।


ترجمة هذا الحديث متوفرة باللغات التالية