الله
أسماء الله الحسنى وصفاته أصل الإيمان، وهي نوع من أنواع التوحيد...
আব্দুল্লাহ ইবনে উত্বাহ্ ইবনে মাসঊদ বলেন, আমি উমার ইবনে খাত্তাবকে বলতে শুনেছি, ‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে কিছু লোককে অহী দ্বারা পাকড়াও করা হত। কিন্তু অহী এখন বন্ধ হয়ে গেছে। (সুতরাং) এখন আমরা তোমাদের বাহ্যিক কার্যকলাপ দেখে তোমাদেরকে পাকড়াও করব। অতঃপর যে ব্যক্তি আমাদের জন্য ভাল কাজ প্রকাশ করবে, তাকে আমরা নিরাপত্তা দেব এবং তাকে আমরা নিকটে করব। আর তাদের অন্তরের অবস্থার সাথে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। আল্লাহই তার অন্তরের হিসাব নেবেন। আর যে ব্যক্তি আমাদের জন্য মন্দ কাজ প্রকাশ করবে, তাকে আমরা নিরাপত্তা দেব না এবং তাকে সত্যবাদীও মনে করব না; যদিও সে বলে আমার ভিতর (নিয়ত) ভাল।’
উমার ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু এমন ব্যক্তির কথা আলোচনা করলেন, যে অহী নাযিলের যুগে কিছু গোপন করত। অহীর কারণে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে তার বিষয়টি গোপন থাকত না। কতক লোক রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের যুগে মুনাফিক ছিল। তারা ভালো প্রকাশ করত; কিন্তু তারা মন্দ গোপন করত। তবে আল্লাহ তাআলা তার রাসূলের উপর অহী নাযিল করে তাদেরকে অপমান করতেন। কিন্তু যখন অহী বন্ধ হয়ে গেল তখন কে মুনাফিক জানার পথ বন্ধ হয়ে গেল। কারণ, নিফাক থাকে অন্তরে, তাই তিনি বললেন, আমরা তোমাদেরকে তার দ্বারাই জবাবদিহি করব, যা আমাদের সামনে প্রকাশ পায়। অতএব যে আমাদের সামনে ভালো প্রকাশ করবে, আমরা তার সাথে ভালো ব্যবহার করব, যদিও সে অন্তরে খারাপ গোপন রাখে। আর সে খারাপ প্রকাশ করবে, তা প্রকাশ করার কারণে আমরা তার সাথে খারাপ আচরণ করব। তবে তার নিয়মতের ব্যাপার আল্লাহর উপর সোপর্দ। যিনি মানুষের নফসের ওয়াসওয়াসা জানেন।