البحث

عبارات مقترحة:

الغفار

كلمة (غفّار) في اللغة صيغة مبالغة من الفعل (غَفَرَ يغْفِرُ)،...

الصمد

كلمة (الصمد) في اللغة صفة من الفعل (صَمَدَ يصمُدُ) والمصدر منها:...

المقتدر

كلمة (المقتدر) في اللغة اسم فاعل من الفعل اقْتَدَر ومضارعه...

আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি তার (কোনো মুসলিম) ভাইয়ের ওপর তার সম্ভ্রম অথবা কোনো বিষয়ে যুলুম করেছে, সে যেন আজই (দুনিয়াতে) তার কাছে (ক্ষমা চেয়ে) হালাল করে নেয় ঐ দিন আসার পূর্বে যেদিন দীনার ও দিরহাম কিছুই থাকবে না। তার যদি কোন নেক আমল থাকে, তবে তার যুলুমের পরিমাণ অনুযায়ী তা থেকে নিয়ে নেওয়া হবে। আর যদি তার নেকী না থেকে, তবে তার (মযলূম) সঙ্গীর পাপরাশি নিয়ে তার (যালিমের) ওপর চাপিয়ে দেওয়া হবে।”

شرح الحديث :

হাদীসটি সামাজিক ন্যায়পরায়ণতার ওপর একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র তুলে ধরেছে, যা ইসলাম তার সন্তানদের মধ্যে প্রচার করতে খুব উৎসাহী। আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু সংবাদ দেন যে, নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যার নিকট যুলুম (মাযলামাহ) রয়েছে।” অর্থাৎ যালিম যা গ্রহণ করে বা যার পিছু নেয় তাই যুলম-মাযলামাহ। তার বাণী: “তার ভাইয়ের জন্যে” অর্থাৎ দীনি ভাই। এ অপরাধ একাধিক বিষয়কে অন্তর্ভুক্ত করে। যেমন, “তার সম্মান” এটি তার যুলুমের বর্ণনা। আর সম্মান হলো, ব্যক্তি নিজের নফস, বংশ ও মান-সম্মানের পক্ষে যা হিফাযত করে এবং যার ত্রুটি সে বরদাস্ত করে না। “অথবা কোনো বিষয়” এখানে আরেকটি বিষয়ের আলোচনা। যেমন, তার সম্পদ হনন করল অথবা তা থেকে উপকৃত হতে বারণ করল অথবা এটি খাসের পর ব্যাপকের আলোচনা। তার “হালাল করে নেওয়া” ছাড়া কোনো উপায় নেই। অর্থাৎ যালিম মাযলুম থেকে হালাল করে নিবে। আর দ্রুত করে নিবে, তার দলীল (আজই) শব্দ। অর্থাৎ দুনিয়ার জীবনে। “ঐ দিন আসার পূর্বে যেদিন দীনার ও দিরহাম কিছুই থাকবে না।” এ দ্বারা কিয়ামত দিবসের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে। তাতে এর প্রতি সতর্ক করা হয়েছে যে, দুনিয়ার জীবনে দিরহাম দীনার খরচ করে হলেও অন্যায়ের সমাধান করে নেওয়া ওয়াজিব। কারণ, হালাল না করার সুরুতে আখিরাতে নেক আমলসমূহ ছিনিয়ে নেওয়া অথবা তার গুনাহগুলো তার ওপর চাপিয়ে দেওয়া অপেক্ষা অনেক সহজ। যেমনটি ইশারা করেন তার স্বীয় বাণী দ্বারা, “তার যদি কোনো নেক আমল থাকে” যেমন অত্যাচারী মুমিন অত্যাচারিত ব্যক্তি থেকে ক্ষমাপ্রাপ্ত হয় নি, তখন ফলাফল দাঁড়াবে, “নেওয়া হবে” অর্থাৎ তার নেক আমল “তার থেকে” অন্যের ওপর অত্যাচারকারী থেকে। আর নিয়ে নেওয়া ও প্রতিশোধ গ্রহণ করা হবে “তার যুলুমের পরিমাণ অনুযায়ী” নেক আমল ও গুনাহের পরিমাণ ও ধরণ সম্পর্কে জানা আল্লাহর ইলমের ওপর সোপর্দ। আর যদি অত্যাচারী ব্যক্তি কিয়ামতের দিন মিসকিন হয়, তার সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “আর যদি তার নেকী না থাকে” অর্থাৎ না পাওয়া যায়। অর্থাৎ অবশিষ্ট কোনো নেক আমল নেই। কারণ, তখন তার হিসাব হবে কঠিন এবং তার শাস্তি হবে অধিক। তখন “তার (মযলূম) সঙ্গীর পাপরাশি নিয়ে তার (যালিমের) ওপর চাপিয়ে দেওয়া হবে।” অর্থাৎ যালেমের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হবে।


ترجمة هذا الحديث متوفرة باللغات التالية