الرحيم
كلمة (الرحيم) في اللغة صيغة مبالغة من الرحمة على وزن (فعيل) وهي...
সাহল ইবন সা‘দ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামের সামনে পানীয় পরিবেশন করা হলে তিনি তা থেকে পান করলেন, আর তাঁর ডান দিকে ছিল একটি বালক এবং বাম দিকে ছিল কয়েকজন বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি। (নিয়ম হলো, ডান দিকে আগে দেওয়া তাই) তিনি বালকটিকে বললেন, “তুমি কি আমাকে অনুমতি দিবে, আমি ঐ বয়স্ক লোকদেরকে আগে পান করতে দিই?” বালকটি বলল, ‘আল্লাহর কসম! হে আল্লাহর রাসূল! আপনার কাছ থেকে আমার ভাগে আসা জিনিসের ক্ষেত্রে আমি কাউকে আমার ওপর অগ্রাধিকার দিব না।’ (সা‘দ বলেন,) ‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন পেয়ালাটি তার হাতে তুলে দিলেন।’
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বৃদ্ধদেরকে পানীয় আগে দেওয়ার জন্য বাচ্চাটির অনুমতি চাইলেন। আর তিনি বৃদ্ধদের খুশি করা, তাদের প্রতি মহব্বতের জানান দেওয়া ও তাদের সম্মানকে প্রাধান্য দেওয়ার জন্যই কাজটি করেন, যখন তা করায় সুন্নাহ’র কোনো প্রতিবন্ধকতা না থাকে। এতে এ সুন্নাতটিও অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায় যে, ডানে অবস্থানকারী ব্যক্তি আগে পাওয়ার বেশি হকদার। তার অনুমতি ছাড়া অন্যকে দেওয়া যাবে না। আর অনুমতি সাপেক্ষে দেওয়াতে কোনো অসুবিধা নেই। আর সে অনুমতি প্রদানে বাধ্যও নয়। যদি কোনো দীনি কল্যাণ বা আখিরাতের স্বার্থ ক্ষুন্ন হয়, তাহলে তার জন্য উচিৎ হলো অনুমতি না দেওয়া। এ বাচ্চাটি হলো, ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা।