المحيط
كلمة (المحيط) في اللغة اسم فاعل من الفعل أحاطَ ومضارعه يُحيط،...
কাইস ইবন আবী হাযেম থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা অসুস্থ খাব্বাব ইবন আরাত্ত রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুকে দেখতে গেলাম। তখন তিনি (চিকিৎসার জন্যে) শরীরে সাতটি ছেঁকা দিয়েছিলেন। তিনি বললেন, ‘আমাদের সাথীরা যারা (পূর্বেই) মারা গেছেন তাঁরা এমতাবস্থায় চলে গেছেন যে, দুনিয়া তাদের আমলের সওয়াব কমাতে পারে নি। আর আমরা এমন (সম্পদ) লাভ করেছি, যা মাটি ছাড়া অন্য কোথাও রাখার জায়গা পাচ্ছি না। যদি নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে মৃত্যু-কামনা করতে নিষেধ না করতেন, তাহলে আমি মৃত্যুর জন্য দো‘আ করতাম।’ (কাইস বলেন) অতঃপর আমরা অন্য এক সময় তাঁর কাছে আসলাম। তখন তিনি তাঁর (বাড়ির) দেয়াল তৈরি করছিলেন। তিনি বললেন, ‘মুসলিম ব্যক্তিকে তার সকল প্রকার ব্যয়ের ওপর সাওয়াব দান করা হয়, তবে এ মাটিতে ব্যয়কৃত জিনিস ব্যতীত।’
হাদীসটির ব্যাখ্যা হচ্ছে, খাব্বাব ইবন আরাত্ত রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুর শরীরে সাতটি লোহার গরম ছেঁকা দেওয়া হয়েছে। তারপর তার সাথীরা তাকে দেখার জন্য তার নিকট আসলেন, তিনি তাদের বললেন যে, ‘আমাদের সাথীরা যারা পূর্বেই মারা গেছেন, তারা দুনিয়ার এমন কোনো স্বাদ উপভোগ করেন নি, যাতে আখিরাতে আল্লাহ তা‘আলা তাদের জন্য যা প্রস্তুত করে রেখেছেন তাতে তাদের কোনো ঘাটতি হয়। কিন্তু তিনি এত পরিমাণ সম্পদ লাভ করেছেন যে, তার দ্বারা বাড়ি নির্মাণ করা ছাড়া কোথাও তা সংরক্ষণ করার জায়গা পাচ্ছেন না। তিনি বললেন, যদি নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে মৃত্যু কামনা করতে নিষেধ না করতেন, তাহলে আমি মৃত্যুর জন্য দো‘আ করতাম।’ তবে দীনের ব্যাপারে যখন ফিতনার সম্মুখীন হবে, তখন হাদীসে বর্ণিত বাক্য দ্বারা দো‘আ করা যাবে। আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মুসলিম ব্যক্তিকে তার সকল ব্যয়ের ওপর সাওয়াব দান করা হয়, তবে এ মাটিতে ব্যয়কৃত জিনিস ব্যতীত।’ অর্থাৎ ঘর বানাতে ব্যয় করা ছাড়া। কারণ, মানুষের থাকার জন্য যে ঘর যথেষ্ট, তা বানানোর জন্যে বেশী খরচ করার প্রয়োজন হয় না। আর যে সম্পদ প্রয়োজনের অতিরিক্ত ঘর বানানোর কাজে ব্যয় করা হয়, তার ওপর মানুষকে সাওয়াব দেওয়া হয় না। কিন্তু যদি কোনো ঘর ফকীরদের বসবাসের জন্য নির্মাণ করা হয় অথবা তার আয় আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করার জন্য বা এ ধরনের কোনো কল্যাণের জন্য বানানো হয়, তাতে অবশ্যই সাওয়াব পাবে। তবে থাকার জন্য অতিরিক্ত ঘর বানানোতে কোনো সাওয়াব হবে না। আর ছেঁকা দেওয়ার নিষেধাজ্ঞা তার জন্যে, যে বিশ্বাস করে যে, ছেঁকা দিলেই সুস্থতা লাভ হয়। আর যে বিশ্বাস করে প্রকৃত সুস্থতাদানকারী কেবল আল্লাহ, তার জন্যে ছেঁকা লাগানোতে অসুবিধা নেই অথবা যে অন্য চিকিৎসা গ্রহণ করতে সক্ষম তার জন্য ছেঁকা লাগানো নিষেধ, সে (অন্য চিকিৎসা গ্রহণ না করে ছেঁকা লাগালে) তাড়াতাড়ি করল এবং সবার শেষে ছেঁকার চিকিৎসা গ্রহণ করল না।