البحث

عبارات مقترحة:

العليم

كلمة (عليم) في اللغة صيغة مبالغة من الفعل (عَلِمَ يَعلَمُ) والعلم...

القابض

كلمة (القابض) في اللغة اسم فاعل من القَبْض، وهو أخذ الشيء، وهو ضد...

‘আদী ইব্নু হাতিম রাদয়িাল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বললাম হে আল্লাহর রাসূল! আমি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর প্রেরণ করি, সে ধরে নিয়ে আসে, আমি তার ওপর আল্লাহর নাম নেই। তিনি বললনে, যখন তুমি তোমার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর শিকার ধরতে ছেড়ে দাও এবং আল্লাহর নাম নাও, তখন সে যা ধরে নিয়ে আসে তা তুমি খাও। আমি বললাম যদি সে হত্যা করে ফেলে? তিনি বললেন, যদিও হত্যা করে ফেলে। যতক্ষণ না তার সাথে অন্য কোন কুকুর অংশ গ্রহণ না করে যা প্রেরিত নয়। আমি বললাম, আমি ধারালো তীর দ্বারা শিকারীকে আঘাত করলে সে আক্রান্ত হয় তার বিধান কি? তিনি বললেন, যখন তুমি ধারালো তীর দ্বারা আঘাত করো এবং তার দেহে প্রবেশ করে রক্ত বের করে। তাহলো তুমি তা খাও। আর যদি পাশ দিয়ে আঘাত করে তবে তুমি খেয়ো না। আদী থেকে শা‘আবীর হাদীস এ ধরনেরই। তাতে বলা হয়, তবে যদি কুকুর তার অংশবিশেষ খেয়ে ফেলে, তুমি তা খাবে না। কারণ আশঙ্কা করি যে, সে তা তার নিজের জন্যই শিকার করেছে। আর যদি তোমার কুকুরের সাথে অন্য কুকুর অংশ গ্রহণ করে, তবে খেয়ো না। কারণ তুমি বিসমিল্লাহ্ বলেছ কেবল তোমার কুকুরের বেলায়, অন্য কুকুরের বেলায় বিসমিল্লাহ্ বলনি। তাতে বলা হয়, “যখন তুমি তোমার শিকারী কুকুর প্রেরণ করবে তুমি আল্লাহর নাম নিবে। যদি সে তোমার জন্য জীবিত অবস্থায় ধরে নিয়ে আসে, তবে তুমি তাকে যবেহ কর। আর যদি তুমি তাকে পাও যে মেরে ফেলছে এবং তা থেকে একটুও খায়নি, তা থেকে তুমি খাও। কারণ, কুকুরের ধরা তার জন্য একপ্রকার যবেহ। তাতে আরও বলা হয়, “যদি সে একদিন বা দুইদিন অপর বর্ণনায় দুইদিন বা তিনদিন আর তাতে তুমি কেবল তোমার তীরের আঘাতই দেখতে পাও তাহলে যদি চাও তুমি খাও। আর যদি তুমি পানিতে ডোবা অবস্থায় পাও তবে তুমি খেয়ো না। কারণ, তুমি জানো না যে পানি তাকে হত্যা করেছে নাকি তোমার তীর?

شرح الحديث :

আদী ইবন হাতিম রাদয়িাল্লাহু ‘আনহু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর যাকে তার মালিক শিকার করা শিখিয়েছেন তার দ্বারা শিকার করা জন্তুর বিধান জিজ্ঞাসা করলেন। তিনি বললনে, যখন তুমি তোমার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর শিকার ধরতে ছেড়ে দাও এবং তখন তুমি তার ওপর আল্লাহর নাম নাও, তখন সে যা ধরে নিয়ে আসে তা তুমি খাও। যদি তুমি তার সাথে অন্য কোন কুকুর না পাও। আর যদি তার সাথে তুমি অন্য কোন কুকুর পাও তাহলে তুমি খেয়ো না। কারণ, তুমি তোমার কুকুরের ওপর আল্লাহর নাম নিয়েছ অন্য কারো কুকুরের ওপর আল্লাহর নাম নাওনি। অনুরূপভাবে যখন তুমি কোন ধারালো বস্তু-তীর নিক্ষেপ করো এবং তা তাকে আঘাত করল বা তার মধ্যে প্রবেশ করার ফলে তা থেকে রক্ত প্রবাহিত হলো আল্লাহর নাম নেওয়ার শর্তে তুমি তা খাও। আর যদি তার এক পাশে আঘাত করা হয় এবং তাকে হত্যা করা হয়, তুমি খেয়ো না। কারণ, যে আঘাতের কারণে মারা গেছে। ফলে তা উপর থেকে পড়ে বা চাপা খেয়ে মরার মতো হয়ে গেছে। আর যখন স্বীয় কুকুর প্রেরণ করার পর শিকারকে জীবিত অবস্থায় পাওয়া গেল এবং কুকুর তা হত্যা করেনি তখন ওয়াজিব হলো তাকে জবেহ করা। তখন তা অবশ্যই হালাল হবে যদিও তার সাথে অন্য কোন কুকুর শরীক হয়ে থাকে। আর তীর নিক্ষেপ করে মারা জন্তুু সম্পর্কে তাকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, যখন তার ওপর আল্লাহর নাম নেওয়া হয়, তার বিধান হলো আক্রান্ত জন্তু খাওয়া হালাল। যদি এক বা দুই দিন তা খুঁজে পাওয়া না যাওয়ার পর পুণরায় পাওয়া গেলে যদি তার দেহে কেবল তার তীরের আঘাতই অবশিষ্ট থাকে তার জন্য তা থেকে খাওয়া হালাল হবে। আর যদি পানি ডুবন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়, তখন তা থেকে খাবে না। কারণ, সে জানেনা যে, জন্তুটিকে পানি হত্যা করছে নাকি তার তীরের আঘাত।


ترجمة هذا الحديث متوفرة باللغات التالية