البحث

عبارات مقترحة:

النصير

كلمة (النصير) في اللغة (فعيل) بمعنى (فاعل) أي الناصر، ومعناه العون...

القابض

كلمة (القابض) في اللغة اسم فاعل من القَبْض، وهو أخذ الشيء، وهو ضد...

المليك

كلمة (المَليك) في اللغة صيغة مبالغة على وزن (فَعيل) بمعنى (فاعل)...

মাসরূক রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা আব্দুল্লাহ ইবন মাস‘ঊদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুর কাছে গেলাম। তিনি বললেন, হে মানব সকল! যে কেউ কোনো কিছু জানে সে যেন তা বলে। আর যে জানে না সে যেন বলে, আল্লাহই ভালো জানেন। কেননা এটাও জ্ঞানের অংশ যে, যে বিষয়ে জানে না সে বিষয়ে বলবে, আল্লাহ তা‘আলা ভালো জানেন। কেননা আল্লাহ তা‘আলা তাঁর নবী রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে বলেছেন: “বলুন, আমি এর মোকাবেলায় তোমাদের নিকট কোনো প্রতিদান চাই না এবং আমি মিথ্যা দাবীদারদের অন্তর্ভুক্ত নই।”

شرح الحديث :

হাদীসের অর্থ: মানুষকে যখন কোনো জিনিস সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হয় যা সে জানে, তখন সে তা মানুষকে বলে দিবে, গোপন করবে না। আর যদি তাকে এমন জিনিস সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হয় যা সে জানে না, তখন তার বলা উচিৎ: আল্লাহই ভালো জানেন, উত্তর দিতে ভণিতা করবে না। “কেননা এটাও জ্ঞানের অংশ যে, যে বিষয়ে জানবে না সে বিষয়ে বলবে, আল্লাহ ভালো জানেন।” অর্থাৎ অজানা বিষয় সম্পর্কে “আল্লাহ অধিক জ্ঞাত” বলা হচ্ছে জ্ঞানের অংশ। কেননা যে ব্যক্তি বলে, ‘আমি জানি না’, আর আসলেই সে জানে না, তবে সেই প্রকৃত জ্ঞানী। সে নিজের মূল্য জানে এবং নিজের অবস্থানও জানে যে, সে জানে না, তাই অজানা বিষয় সম্পর্কে বলে, আল্লাহই ভালো জানেন। আর হাদীসটি মুসলিমের বর্ণনায় এসেছে এভাবে: “সেই তোমাদের ভেতর প্রকৃত জ্ঞানী, যে অজানা বিষয় সম্পর্কে বলে, আল্লাহই ভালো জানেন।” অর্থাৎ ব্যক্তি নিজের জ্ঞানের প্রতি পূর্ণ সুবিচার করেছে, আর তার জন্যে অধিক মঙ্গলজনক হচ্ছে, যে বিষয়ে জানে না সে বিষয়ে বলবে: আল্লাহই অধিক জানেন। অতঃপর ইবন মাস‘ঊদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু আল্লাহর বাণী দ্বারা দলীল পেশ করেন: “বলুন, আমি এর বিনিময়ে তোমাদের কাছে কোনো প্রতিদান চাই না এবং আমি মিথ্যা দাবীদারদের অন্তর্ভুক্ত নই।” [সূরা সোয়াদ, আয়াত: ৮৬] অর্থাৎ আমি তোমাদের কাছে যে অহী নিয়ে এসেছি তার বিনিময়ে কিছু চাই না; বরং আমি তোমাদেরকে কল্যাণকর পথ প্রদর্শন করি এবং আল্লাহর দিকে আহ্বান করি। “আর আমি মিথ্যা দাবীদারদের অন্তর্ভুক্ত নই।” অর্থাৎ আমি তোমাদের প্রতি কঠোরতা আরোপকারী নই বা না জেনে বলার ব্যক্তি নই। সারকথা হলো, যে বিষয়ে ফাতওয়া দেওয়া বৈধ সেখানেই শুধু ফাতওয়া দিবে, অন্য বিষয়ে ফাতওয়া দেওয়া বৈধ নয়। বাস্তব কথা হচ্ছে, আল্লাহ যদি কারো জন্যে ইমাম বা দীনী নেতৃত্ব দেওয়ার বিষয়টি লিখে রাখেন, যিনি মানুষদেরকে ফতোয়া দিবেন ও তাদেরকে সঠিক পথ দেখাবেন, তবে তা অবশ্যই হবে। আর যদি আল্লাহ এটা না চান, তাহলে সে যতোই ফাতওয়া প্রদান করতে দুঃসাহস করুক, কখনোই উপকারে আসবে না, বরং তা তার জন্য দুনিয়া ও আখিরাতে ধ্বংস ও ক্ষতির কারণ হবে। দেখুন, মাতালি‘উল আনওয়ার ‘আলা সিহাহীল আসার (৪/৪৩৯); শরহু রিয়াদুস সালিহীন, ইবন ‘উসাইমীন (৬/৩৯১)।


ترجمة هذا الحديث متوفرة باللغات التالية