এ সংক্ষিপ্ত পুস্তিকায় ইবনুল কাইয়্যেম রহ.-এর কিতাবুর রূহ অবলম্বনে রূহ সম্পর্কে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মাসআলা আলোচনা করা হয়েছে। পাঠক এতে নিম্নোক্ত প্রশ্নের উত্তর পাবেন, যেমন, মৃত ব্যক্তি কি জীবিত ব্যক্তির যিয়ারত ও সালাম বুঝতে পারে? না-কি বুঝে না? মৃত ব্যক্তিদের রূহ কি পরম্পর মিলিত হয়, পরম্পর সাক্ষাৎ করে ও কথাবর্তা বলে? রূহ কি জীবিত ও মৃত উভয় ধরণের মানুষের রূহের সাথে মিলিত হয়? রূহ কি মারা যায়, নাকি শুধু শরীর মারা যায়? শরীর থেকে আত্মা আলাদা হওয়ার পরে তা আবার কিভাবে উক্ত শরীরকে চিনে? কবরে প্রশ্ন-উত্তরের সময় কি মৃত ব্যক্তির রূহ ফেরত দেওয়া হয়? কবরের আযাব কি নফসের উপর হবে নাকি শরীরের উপর? নাকি উভয়ের উপর হবে? কবরের ভয়াবহ আযাব সম্পর্কে জানা এবং এর প্রতি ঈমান আনা গুরুত্বপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও আল-কুরআনে এর বর্ণনা উল্লেখ না থাকার হিকমত কী? কী কী কারণে কবরবাসীরা আযাব ভোগ করবে? কবরের আযাব থেকে নাজাত পাওয়ার উপায় কী? কবরের প্রশ্ন কি মুসলিম, মুনাফিক ও কাফির সকলের জন্য সমান? নাকি মুসলিম ও মুনাফিকের জন্য আলাদা? মুনকার ও নাকীররের প্রশ্ন কি এ উম্মতের জন্যই খাস নাকি অন্যান্য উম্মতেও জিজ্ঞাসা করে হয়েছিল? শিশুরা কি কবরে জিজ্ঞাসিত হবে? কবরের আযাব কি সর্বদা চলতে থাকবে নাকি তা মাঝে মাঝে হবে? মৃত্যুর পরে কিয়ামত পর্যন্ত রূহসমূহ কোথায় অবস্থান করে? জীবিত মানুষের আমলের দ্বারা কি মৃত ব্যক্তির রূহ উপকৃত হয়? রূহ কি কাদীম (সর্বদা ছিল, আছে, থাকবে এমন) নাকি হাদীস তথা সৃষ্ট? রূহ কি শরীর সৃষ্টির আগে সৃষ্টি করা হয়েছে নাকি শরীর আগে সৃষ্টি করা হয়েছে? নফস ও রূহ কি একই জিনিস নাকি দু’টি ভিন্ন জিনিস? নফস কি একটি নাকি তিনটি?