القابض
كلمة (القابض) في اللغة اسم فاعل من القَبْض، وهو أخذ الشيء، وهو ضد...
আবূ সাঈদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে শোনার সাক্ষ্য দিচ্ছি না। তবে যাযেদ ইবন সাবেত আমাকে হাদীস বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, একবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার গাধার ওপর বনী নাজ্জারের বাগানে ছিলেন আমরাও তার সাথে ছিলাম। হঠাৎ গাধাটি তাকে দৌড় দিল যে, তাকে ফেলে দেওয়ার উপক্রম হলো। কারণ সেখানে ছয়টি বা পাঁচটি বা চারটি কবর ছিল। সে বলল, জারীরী এমনই বলতেন। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, কবরসমূহের বাসীন্দাদের কে চিনে? এক লোক বলল, আমি। তিনি বললেন, তারা কবে মারা গেছে? সে বলল, তারা শির্কের যুগে মারা গেছে। তখন তিনি বললেন, নিশ্চয় এ উম্মতকে কবলে শাস্তি দেওয়া হয়। যদি তোমরা ভয়ে দাফন করবে না এ আশঙ্ক না করতাম তাহলে আমি আল্লাহর নিকট দো‘আ করতাম যাতে তিনি তোমাদের কবরের শাস্তি শোনায় যা আমি শুনি। তারপর তিনি আমাদের দিকে মুখ ফিরালেন এবং বললেন, তোমরা আল্লাহর নিকট কবরের শাস্তি থেকে আশ্রয় চাও। তারা বলল, আমরা আল্লাহর নিকট কবরের আযাব থেকে আশ্রয় চাচ্ছি। বলল, তোমারা আল্লাহর নিকট জাহেরী ও বাতেনী ফিতনা থেকে আশ্রয় চাও। তারা বলল, আমরা আল্লাহ নিকট প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য ফিতনা থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাই। তোমরা আল্লাহর নিকট দাজ্জালের ফিতনা থেকে আশ্রয় চাও। তারা বলল, আমরা আল্লাহর নিকট দাজ্জালের ফিতনা থেকে আশ্রয় চাই।
যায়েদ ইবন সাবেত রাদিয়াল্লাহু বর্ণনা করেন, একদা তারা রাসূলুল্লাহর সাথে আনসারীদের একটি গোত্র যাকে বনী নাজ্জার বলা হতো তাদের বাগানে ছিলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার গাঁধার ওপর সাওয়ার ছিলেন। হঠাৎ তার গাঁধাটি রাস্তা থেকে সরে গেল এবং দৌড় দিল। সে তাকে তার পিঠ থেকে ফেলে দেওয়ার উপক্রম হলো। আর সেখানে দেখা গেল ছয়টি বা পাঁচটি বা চারটি কবর। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞাসা করলেন, কবরসমূহের বাসীন্দাদের কে চিনে? এক লোক বলল, আমি তাদেরকে চিনি। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তুমি যদি তাদের চিনে থাকো তবে বলে দেখি তারা কবে মারা গেছে? সে বলল, তারা শির্কের যুগে মারা গেছে। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, নিশ্চয় এ উম্মতকে কবরে পরীক্ষা করা হয়। অতঃপর তাদের পুরষ্কৃত বা শাস্তি প্রদান করা হয়। যদি তোমরা ভয়ে মৃতেদের দাফন করবে না এ আশঙ্ক না করতাম তাহলে আমি আল্লাহর নিকট দো‘আ করতাম যাতে তিনি তোমাদের কবরের শাস্তি শোনায় যা আমি শুনি। কারণ, যদি তোমরা তা শুনতে পাও তবে তোমরা মৃতদের চিৎকারের আওয়াজে তোমার অন্তর প্রকম্পিত হওয়ার ভয়ে অথবা আত্মীয়দের মধ্যে অপমান হওয়ার ভয় তোমরা দাফন করা ছেড়ে দিতে। তারপর তিনি আমাদের দিকে মুখ ফিরালেন এবং বললেন, তোমরা আল্লাহর নিকট চাও যাতে তিনি তোমাদের থেকে কবরের আযাব দূর করে দেয়। তারা বলল, আমরা আল্লাহকে মজবুত করে পাকড়াও করলাম এবং তার নিকট আশ্রয় চাইলাম যাতে কবরের আযাব আমাদের ঘ্রাস না করে। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমারা আল্লাহর নিকট কামনা কর যে, তিনি যেন জাহেরী ও বাতেনী ফিতনাকে তোমাদের থেকে দূরে সরিয়ে দেয়। তারা বলল, আমরা আল্লাহ নিকট প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য ফিতনা থেকে আশ্রয় চাই। তারপর তিনি বললেন, তোমরা আল্লাহর নিকট চাও যে, তিনি যেন তোমাদের থেকে মাসীহে দাজ্জালের ফিতনাকে প্রতিহত করেন। কারণ, এটি এমন একটি বড় ফিতনা যা কুফরের দিকে নিয়ে যায়। যে কুফর মানুষকে চির জাহান্নামী করে দেয়। তখন তারা বলল, আমরা আল্লাহর নিকট দাজ্জালের ফিতনা থেকে আশ্রয় চাই।