الآخر
(الآخِر) كلمة تدل على الترتيب، وهو اسمٌ من أسماء الله الحسنى،...
আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “তোমরা স্ত্রীদের জন্য মঙ্গলকামী হও। কারণ নারীকে পাঁজরের (বাঁকা) হাড় থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। আর পাঁজরের হাড়ের সবচেয়ে বেশী বাঁকা হল তার উপরের অংশ। যদি তুমি এটাকে সোজা করতে চাও, তাহলে ভেঙ্গে ফেলবে। আর যদি তাকে ছেড়ে দাও তাহলে তো বাঁকাই থাকবে। তাই তোমরা নারীদের জন্য মঙ্গলকামী হও।” অন্য এক বর্ণনায় আছে, “মহিলা পাঁজরের হাড়ের মত। যদি তুমি তাকে সোজা করতে চাও, তবে তুমি তা ভেঙ্গে ফেলবে। আর যদি তুমি তার দ্বারা উপকৃত হতে চাও, তাহলে তার এ বাঁকা অবস্থাতেই হতে হবে।” অপর এক বর্ণনায় আছে, “মহিলাকে পাঁজরের বাঁকা হাড় থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। সে কখনই একভাবে তোমার জন্য সোজা থাকবে না। এতএব তুমি যদি তার থেকে উপকৃত হতে চাও, তাহলে তার এ বাঁকা অবস্থাতেই হতে হবে। আর যদি তুমি তা সোজা করতে চাও, তাহলে তা ভেঙ্গে ফেলবে। আর তাকে ভেঙ্গে ফেলা হল তালাক দেওয়া।”
আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু সংবাদ দেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম নারীদের সাথে লেন-দেন করা বিষয়ে বলেছেন, আমি তোমাদের যে অসিয়ত করি তা তোমরা কবুল করো। আর তা হলো তোমরা নারীদের কল্যাকামী হও। কারণ, নারীরা জ্ঞানে দুর্বল, দীনের বিষয়ে দুর্বল, চিন্তায় দূর্বল এবং যাবতীয় সব বিষয়ে তারা দুর্বল। কারণ, তাদেরকে পাঁজরের হাঁড় থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। আর তা এভাবে যে, আল্লাহ আদম আলাইহিস সালামকে পিতা মাতা ছাড়া মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন। তিনি কুন বলেছেন আর হয়ে গেছেন। আর আল্লাহ যখন তার থেকে এ সৃষ্টিকে বিস্তৃত করতে চাইলেন, তার থেকে তার স্ত্রীকে সৃষ্টি করলেন। তিনি তাকে তার পাঁজরের বাঁকা হাড় থেকে সৃষ্টি করেছেন। আর বাঁকা হাড়ের অবস্থা হলো যদি তুমি তা থেকে বাঁকা অবস্থায় রেখে উপকার লাভ করতে চাও করতে পারবে, আর যদি তাকে তুমি সোজা করতে যাও তা ভেঙ্গে যাবে। এ সব নারীরাও তাই। বাঁকা অবস্থায় যদি মানুষ তাদের উপভোগ করতে চায়, উপভোগ করবে; যা সহজ হয় তার প্রতি সন্তুষ্ট থাকবে। আর যদি সোজা করতে চায়, তবে তা সোজা হবে না এবং তা সম্ভব নয়। সে যদিও দীনের বিষয়ে সোজা হবে, তবে সে তার স্বভাবে চাহিদা বিষয়ে সোজা হবে না। সে প্রতিটি বিষয়ে কখনো তার স্বামী ইচ্ছা অনুযায়ী হবে না। বরং তার থেকে অনিয়ম, ও ত্রুটি হবেই। তাতে যে ত্রুটি রয়েছে তুমি তা নিয়েই তার সাথে থাকবে। তুমি যদি তাকে ঠিক করতে যাও, তাকে তুমি ভেঙ্গে ফেলবে। আর তার ভেঙ্গে ফেলা হলো তাকে তালাক দেওয়া। এর অর্থ হলো, যদি তোমার চাওয়া অনুযায়ী তাকে সংশোধন করার ইচ্ছা করো, তা সম্ভব হবে না। তখন তুমি তার কাছ থেকে কষ্ট পাবে এবং তাকে তালাক দেবে।