البحث

عبارات مقترحة:

الحفيظ

الحفظُ في اللغة هو مراعاةُ الشيء، والاعتناءُ به، و(الحفيظ) اسمٌ...

الإله

(الإله) اسمٌ من أسماء الله تعالى؛ يعني استحقاقَه جل وعلا...

المقدم

كلمة (المقدِّم) في اللغة اسم فاعل من التقديم، وهو جعل الشيء...

আবূ যার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি বললাম, তিনি বলেন, আমি বললাম, ‘হে আল্লাহ রসূল! আপনি আমাকে (কোন স্থানের সরকারী) কর্মচারী কেন নিযুক্ত করছেন না?’ তিনি নিজ হাত আমার কাঁধের উপর মেরে বললেন, “হে আবূ যার্র! তুমি দুর্বল এবং (এ পদ) আমানত ও এটা কিয়ামতের দিন অপমান ও অনুতাপের কারণ হবে। কিন্তু যে ব্যক্তি তা হকের সাথে (যোগ্যতার ভিত্তিতে) গ্রহণ করল এবং নিজ দায়িতত্ব (যথাযথভাবে) পালন করল (তার জন্য এ পদ লজ্জা ও অনুতাপের কারণ নয়)।”

شرح الحديث :

আবূ যার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন ও পদে নিয়োগ সম্পর্কে তাকে নির্দিষ্টভাবে নসিহত করেছেন। আর এটা তখন ঘটেছে যখন তিনি নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট কোন পদে নিয়োগ পেতে আবেদন করেছিলেন। নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, হে আবূ যার! তুমি দুর্বল প্রকৃতির মানুষ। এ কথায় এক ধরণের শক্তি রয়েছে, তবে আমানতের দাবি হচ্ছে মানুষ যে মানের হবে সেও সে মানের হবে। শক্তিশালী হলে শক্তিশালী আর দুর্বল হলে দুর্বল। এর দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, রাষ্ট্রীয় পদে অধিষ্ঠিত হতে হলে শক্তিশালী ও আমানতদার হওয়া শর্ত। কেননা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, এটি একটি আমানত। সুতরাং কেউ শক্তিশালী ও আমানতদার হলে তার আমীর ও গভর্নর হওয়ার যোগ্যতা রয়েছে। পক্ষান্তরে কেউ শক্তিশালী; কিন্তু আমানতদার নয় অথবা আমানতদার; কিন্তু শক্তিশালী নয় অথবা দুর্বল ও আমানতদার নয় এমন তিন ধরণের লোক আমীর হওয়া উচিত নয়। উপরোক্ত আলোচনা দ্বারা স্পষ্ট হলো যে, আমরা শক্তিশালী লোককে দায়িত্বশীল করব। কেননা এ ধরণের লোক মানুষের জন্য অধিক উপকারী। জনগণ ক্ষমতা ও শক্তির প্রয়োজন বোধ করে। আর সে যদি শক্তিশালী না হয়ে দুর্বল হয়, বিশেষ করে দীনদারীতার ব্যাপারে দুর্বল হলে সব কিছুই শেষ হয়ে যাবে। এ হাদীসটি রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব থেকে দূরে থাকার ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ দলিল; বিশেষ করে যারা দুর্বলাতার কারণে দায়িত্বপালনে অক্ষম। হাদীসে বর্ণিত অপমান ও অনুপাতের ব্যাপারে বলা হবে, “কিয়ামতের দিন এটা (পদাধিকারীর জন্য) অপমান ও অনুতাপের কারণ হয়ে দাঁড়াবে” যারা উক্ত পদের যোগ্য না হওয়া সত্ত্বেও দায়িত্ব নিয়েছে অথবা যোগ্য ছিলো; কিন্তু ন্যায়পরায়নতা ও সমতা বিধান করেনি। তাকে আল্লাহ তা‘আলা কিয়ামতের দিনে লাঞ্ছিত, অপমানিত ও অপদস্ত করবেন এবং সে তার কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত হবে। অপর দিকে যে ব্যক্তি এই পদের যোগ্য এবং সে এর হক ন্যায়পরায়নাতার সাথে যথাযথভাবে আদায় করেছে সে উক্ত আতঙ্ক ও হুমকির অন্তর্ভুক্ত নয়। এ কারণে নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে আলাদা করেছেন এবং তাদের সম্পর্কে বলেছেন, “কিন্তু যে ব্যক্তি এই পদের হক যথাযথভাবে আদায় করবে এবং দায়িত্ব ও কর্তব্য সঠিকভাবে পালন করবে তার কথা স্বতন্ত্র।” যারা এ দায়িত্ব যথাযথভাবে আদায় করবে সহীহ হাদীস অনুযায়ী তাদের জন্য রয়েছে অপরিসীম মর্যাদা। যেমন যে হাদীসে বর্ণিত আছে, “সাত ধরণের লোককে আল্লাহ (তাঁর আরশের নিচে) ছায়া দিবেন।” আরেকটি হাদীস: ন্যায়পরায়নগণ নূরের মিনারে আরোহণ করবেন। এগুলো ছাড়াও এ সম্পর্কে আরো অসংখ্য হাদীস রয়েছে।


ترجمة هذا الحديث متوفرة باللغات التالية