العلي
كلمة العليّ في اللغة هي صفة مشبهة من العلوّ، والصفة المشبهة تدل...
আব্দুল্লাহ ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে বর্ণিত, এক বেদুঈন মক্কার পথে তাঁর সাথে মিলিত হল। অতঃপর আব্দুল্লাহ ইবনে উমার তাকে সালাম দিলেন এবং তিনি যে গাধার উপর সাওয়ার ছিলেন তার উপর তাকে চাপিয়ে নিলেন। আর যে পাগড়ী তাঁর মাথায় ছিল, তিনি তা তাকে দিয়ে দিলেন। ইবনে দীনার বলেন, আমরা বললাম, ‘আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন, এরা তো বেদুঈন, এরা তো অল্পেই তুষ্ট হয় (ফলে এর সাথে এত কিছু করার কী প্রয়োজন)?’ আব্দুল্লাহ ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বললেন, ‘এর পিতা উমার ইবনে খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর বন্ধু ছিলেন। আর আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, “পিতার বন্ধুর সাথে সম্পর্ক বজায় রাখা সবচেয়ে বড় নেকী।” অন্য এক বর্ণনায় ইবনে দীনারের সূত্রে ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, ইবনে উমারের মক্কা যাওয়ার সময় তার সাথে একটি গাধা থাকত। তিনি যখন উটের উপরে চেপে বিরক্ত হয়ে পড়তেন, তখন (এক ঘেঁয়েমি কাটানোর জন্য) ঐ গাধার উপর চেপে বিশ্রাম নিতেন। তাঁর একটি পাগড়ী ছিল, তিনি তা মাথায় বাঁধতেন। একদিন তিনি গাধার উপর সওয়ার ছিলেন, এমতাবস্থায় এক বেদুঈন তাঁর পাশ দিয়ে অতিক্রম করল। তিনি বললেন, ‘তুমি কি অমুকের পুত্র অমুক নও?’ সে বলল, ‘অবশ্যই!’ অতঃপর তিনি তাকে গাধাটি দিয়ে বললেন, ‘এর উপর আরোহন কর’ এবং তাকে পাগড়ীটি দিয়ে বললেন, ‘এটি তোমার মাথায় বাঁধ।’ (এ দেখে) তাঁকে তাঁর কিছু সাথী-সঙ্গী বলল, ‘আল্লাহ আপনাকে ক্ষমা করুন! আপনি এই বেদুঈনকে ঐ গাধাটি দিয়ে দিলেন, যার উপর চড়ে আপনি বিশ্রাম নিতেন এবং তাকে ঐ পাগড়ীটিও দিলেন, যেটি আপনি নিজ মাথায় বাঁধতেন?’ তিনি বললেন, ‘আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, “পিতার মৃত্যুর পর তার বন্ধুদের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখা সবচেয়ে বড় নেকীর কাজ।” আর এর পিতা উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু-এর বন্ধু ছিলেন।
ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুমা যখন মক্কার দিকে হজের উদ্দেশ্যে বের হতেন তার সাথে একটি গাধা থাকতো। যখন তার বাহন উট ক্লান্ত হতো তখন তার ওপর আরোহন করতেন এবং বিশ্রাম নিতেন। একদিন একজন বেদুঈন তার সাথে সাক্ষাৎ করলে ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু তাকে জিজ্ঞাসা করল, তুমি অমুকের ছেলে উমুক। সে বলল, হ্যাঁ। সে গাধা থেকে নেমে পড়ল। আর বলল, তুমি এটি নাও এবং তার ওপর সাওয়ার হও। আর তিনি তাকে তার পাগড়ীটিও দিলেন যা তিনি নিজে পরিধান করতেন। আর সে লোকটিকে বলল, এটি তোমার মাথায় লাগাও। তারপর আব্দুল্লাহ উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুকে জিজ্ঞাসা করা হলো আল্লাহ তোমাকে সংশোধন করুক বা আল্লাহ তোমার গুনাহ ক্ষমা করুক! তারা গ্রাম্য লোক। আর গ্রাম্য লোকেরা কম জিনিষেই রাজি হয়ে যায়। অর্থাৎ তুমি কীভাবে গাঁধা থেকে পায়ে হাঁটবে। আর তুমি তাকে যে পাগড়ীটি তুমি নিজে পরিধান করত তাও দিয়ে দিলে। সে একজন গ্রাম্য লোক এর চেয়ে কম জিনিষেও খুশি হয়ে যেত। তখন তিনি বললেন, “পিতার মৃত্যুর পর তার বন্ধুদের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখা সবচেয়ে বড় নেকীর কাজ।” অর্থাৎ, যখন কোন মানুষের পিতা বা মাতা বা কোন আত্মীয় মারা যায় তখন তার বন্ধুদের সাথে সু সম্পর্ক রাখা সবচেয়ে বড় নেকী। অর্থাৎ শুধু তার বন্ধুই নয় বরং তার বন্ধুর আত্মীয়ের সাথেও সু সম্পর্ক রাখা। আর এর পিতা উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু-এর বন্ধু ছিলেন। অর্থাৎ তার পিতা উমার ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহুর। যেহেতু সে তার পিতার বন্ধু ছিল তাই তার পিতার প্রতি সম্মান দেখাতে গিয়ে তিনি তাকে সম্মান করলেন।