الكبير
كلمة (كبير) في اللغة صفة مشبهة باسم الفاعل، وهي من الكِبَر الذي...
হুযাইফাহ ইবনুল ইয়ামান রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা যখন আল্লাহর রাসূল-এর সঙ্গে আহারে বসতাম, তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম খাবারে হাত রেখে শুরু না করা পর্যন্ত আমরা তাতে হাত রাখতাম না (এবং আহার শুরু করতাম না)। একদা আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে খাবারে উপস্থিত ছিলাম। হঠাৎ একটি বাচ্চা মেয়ে এমনভাবে এল, যেন তাকে (পিছন থেকে) ধাক্কা দেওয়া হচ্ছিল এবং সে নিজ হাত খাবারে দিতে উদ্যত হয়েছিল, এমন অবস্থায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার হাত ধরে নিলেন। তারপর এক বেদুঈনও (তদ্রূপ দ্রুত বেগে) এল, যেন তাকে ধাক্কা মারা হচ্ছিল (সেও খাবারে হাত রাখতে উদ্যত হলে) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার হাতও ধরে নিলেন এবং বললেন, “যে খাবারে আল্লাহর নাম নেওয়া হয়নি, শয়তান সে খাদ্যকে হালাল মনে করে। আর এ মেয়েটিকে শয়তানই নিয়ে এসেছে, যাতে ওর বদৌলতে নিজের জন্য খাদ্য হালাল করতে পারে। কিন্তু আমি তার হাত ধরে ফেললাম। তারপর সে বেদুঈনকে নিয়ে এল, যাতে ওর দ্বারা খাদ্য হালাল করতে পারে। কিন্তু আমি ওর হাতও ধরে নিলাম। সেই মহান সত্তার কসম! যার হাতে আমার প্রাণ আছে, শয়তানের হাত তাদের দু’জনের হাতের সঙ্গে আমার হাতে আটকা পড়েছে”। অতঃপর তিনি ‘বিসমিল্লাহ’ বলে আহার করলেন।
হুযাইফাহ ইবনুল ইয়ামান রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা বলেন, “আমরা আল্লাহর রাসূল-এর সঙ্গে যখন আহারে বসতাম, তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম খাবারে হাত রেখে শুরু না করা পর্যন্ত আমরা তাতে হাত রাখতাম না। এটি রাসূলের প্রতি তাদের যথাযথ সম্মান দেখানোর কারণেই তারা তিনি হাত না রাখা পর্যন্ত হাত রাখতেন না। একদা আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে খাবারে উপস্থিত ছিলাম। যখন তারা খাবার শুরু করল, —অথবা তাদের জন্য খাবার পরিবেশন করা হল— হঠাৎ একটি মেয়ে আসল অর্থাৎ ছোট মেয়ে “এমনভাবে এল, যেন তাকে (পিছন থেকে) ধাক্কা দেওয়া হচ্ছিল” অর্থাৎ যেন সে দৌড়াচ্ছে। এবং আল্লাহর নাম নেওয়া ছাড়াই সে নিজ হাত খাবারে দিতে উদ্যত হয়েছিল, এমন অবস্থায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার হাত ধরে নিলেন। “তারপর এক বেদুঈনও (তদ্রূপ দ্রুত বেগে) এল, যেন তাকে ধাক্কা মারা হচ্ছিল” সেও খাবারে হাত দিল রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার হাতও ধরে নিলেন এবং বললেন, এ বেদুঈন এবং বাঁদীকে শয়তান নিয়ে এসেছে অর্থাৎ শয়তান তাদের কু-মন্ত্রণা দিয়েছে ও আসার জন্য বাধ্য করেছে। যাতে তাদের মাধ্যমে সে খাবারকে তার নিজের জন্য হালাল করে নেয় যখন তারা বিছমিল্লাহ ছাড়া খাবে। আর তারা দুইজন না জানার কারণে ছিল অপারগ। একজন ছোট হওয়ার কারণে আর অপর গ্রাম্য হওয়ার কারণে। কিন্তু শয়তান তাদের নিয়ে এসেছে, যেন তাদের খাবারে শরীক হতে পারে যখন তারা বিছমিল্লাহ না বলে খাবার শুরু করবে। তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সপথ করে বলেন যে শয়তানের হাত তাদের দুইজনের হাতের সাথে রাসূলের হাতে আবদ্ধ আছে।