الحكيم
اسمُ (الحكيم) اسمٌ جليل من أسماء الله الحسنى، وكلمةُ (الحكيم) في...
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, নিশ্চয় দীন সহজ-সরল। দীন নিয়ে যে বাড়াবাড়ি করে দীন তার ওপর বিজয়ী হবে (সে পরাজিত হবে)। কাজেই তোমরা সঠিক পন্থা অবলম্বন কর এবং এর নিকটবর্তী থাক, আশান্বিত থাক এবং সকাল-সন্ধ্যায় ও রাতের কিছু অংশে (ইবাদতের মাধ্যমে) সাহায্য চাও। এটি বুখারী বর্ণনা করেছেন। বুখারীর অন্য বর্ণনায় এসেছে, তোমরা যথারীতি আমল কর, ঘনিষ্ট হও। তোমরা সকালে, বিকালে এবং রাতের শেষাংশে আল্লাহর কাজ কর। মধ্যম পন্থা অবলম্বন কর, মধ্যমপন্থা অবলম্বন কর। অবশ্যই মঞ্জিলে মাকসূদে পৌঁছবে।
সহজ-সরলতা ও কোমলতা পরিহার করে কেউ দীনি কাজ করলে অবশ্যই ঐ কাজটি সম্পূর্ণ বা আংশিক পালন করতে সে অক্ষম হবে। অতএব, তোমরা দীন নিয়ে বাড়াবাড়ি না করে মধ্যপন্থা অবলম্বন করো এবং (মধ্যপন্থার) নিকটবর্তী থাকো; যদিও দীনের সব কাজ পূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে নাও পারো। অতএব, যা মধ্যপন্থার কাছাকাছি তা অনুযায়ী আমল করো, স্থায়ীভাবে সম্পন্ন করা কাজের সাওয়াব লাভে আশান্বিত থাকো; যদিও তা কম আমল হয় এবং তোমাদের (দিনের বেলার) অবসর ও (রাতের) বিশ্রামের কিছু অংশে ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহর সাহায্য চাও। ইমাম নাওয়াবী রহ. বলেছেন, হাদীসে বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণী “দীন” শব্দটি মারফু‘ হিসেবে রয়েছে, যার কর্তা উল্লেখ করা হয় নি। “দীন”কে মানসূব হিসেবেও কেউ কেউ বর্ণনা করেছেন। আবার (لن يشاد الدين أحد) এভাবেও বর্ণিত হয়েছে। আর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণী (إلا غلبه) অর্থাৎ দীন তার ওপর বিজয়ী হবে এবং সে কঠোরতা আরোপকারী দীনের মোকাবিলায় পরাজিত হবে; কারণ দীনের মধ্যে চলার অনেক পথ রয়েছে (শুধু কঠোরতাই একমাত্র পথ নয়)।