العليم
كلمة (عليم) في اللغة صيغة مبالغة من الفعل (عَلِمَ يَعلَمُ) والعلم...
যুবাইর ইবনুল আওয়াম রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, উম্মু কুলসুম বিনতে উকবা ছিলেন তার স্ত্রী। তিনি তাকে গর্ভাবস্থায় বলেন, আমাকে এক তালাক দিয়ে সন্তুষ্ট করুন। তিনি তাকে এক তালাক দিলেন, অতঃপর সালাত পড়তে চলে গেলেন। তিনি ফিরে এসে দেখেন যে, তার স্ত্রী একটি সন্তান প্রসব করেছে। যুবাইর বললেন, সে কেন আমাকে প্রতারিত করলো! আল্লাহ্ তাকেও প্রতারিত করুন। এরপর তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট উপস্থিত হলে তিনি বলেন, আল্লাহর কিতাবে বর্ণিত তার ইদ্দাত পূর্ণ হয়ে গেছে। তাকে বিবাহের প্রস্তাব দাও।
যুবাইর ইবনুল আওয়াম উম্মু কুলসুম বিনতে উকবাকে বিবাহ করেছিলেন। তিনি গর্ভাবস্থায় তাকে বললেন, «طيِّب نفسي بتطليقة» “আমাকে এক তালাক দিয়ে সন্তুষ্ট করুন।” অর্থাৎ এক তালাক দেওয়ার মাধ্যমে তুমি আমার অন্তরে খুশি প্রবেশ করাও। স্পষ্টত বুঝা যাচ্ছে যে, উম্মু কুলসুম তাকে ভালোবাসতেন না, ফলে তার বন্ধন থেকে তিনি এমনভাবে বের হতে চান, যেন পুনরায় সে তাকে স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করতে না পারে। তাই যখন তার সন্তান প্রসবের সময় কাছাকাছি হলো তখন সে তার কাছে তালাক চাইল। কারণ, সে জানত গর্ভবতী মহিলার ইদ্দত হলো সন্তান প্রসব করা। তখন সে তাকে এক তালাক দিয়ে সালাত আদায় করতে গেলেন। তিনি ফিরে এসে দেখেন যে, তার স্ত্রী একটি সন্তান প্রসব করেছে। যুবাইর বললেন, তার কি হলো? সে কেন আমাকে ধোঁকা দিল! আল্লাহ যেন তাকেও ধোঁকা দেন। ধোঁকা আল্লাহর কর্মময় সিফাতসমূহের একটি সিফাত। তবে সাধারণভাবে এ সিফাতটি দ্বারা আল্লাহকে গুণান্বিত করা যায় না। এ দ্বারা বদলা বা শাস্তি হিসেবে গুণান্বিত করা যায়। এ কথা বলা যাবে যে, যে তাকে ধোঁকা দেয় তাকে আল্লাহ ধোঁকা দেবেন। যেমন মুনাফিকদের ধোঁকা দেওয়া এবং যারা মুমিনদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে তাদের ধোঁকা দেওয়া ইত্যাদি। তাদের এ কথা দ্বারা ব্যাখ্যা প্রদান করা বৈধ হবে না যে, যুবাইর তার কথা দ্বারা এ ইচ্ছা করেছেন যে, ধোঁকা দেওয়ার কারণে আল্লাহ তাকে শাস্তি দান করুক। বরং এ সিফাতটি আল্লাহর জন্য তার অন্যান্য সিফাতের মতো কোন প্রকার বিকৃতি করা, অর্থহীন করা এবং ধরণ ও তুলনা করা ছাড়া সাব্যস্ত করা ওয়াজিব। তারপর যুবাইর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট উপস্থিত হলেন এবং তার মধ্যে ও তার স্ত্রীর মধ্যে সংঘটিত বিষয়টি তাকে অবহিত করলেন। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আল্লাহর কিতাবে বর্ণিত তার ইদ্দত পূর্ণ হয়ে গেছে। অর্থাৎ, ইদ্দত পূর্ণ হওয়ার পূর্বে যা আশা করা যেত সে ইদ্দত শেষ হয়ে গিয়েছে এবং তালাক পতিত হয়ে গেছে। তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “তাকে বিবাহের প্রস্তাব দাও।” অর্থাৎ অন্যান্য প্রস্তাবদাতাদের সাথে তুমিও তাকে প্রস্তাব দাও। যেহেতু সে ইদ্দত থেকে বের হয়ে গেছে এখন তাকে বাধ্য করার মতো কোন অধিকার তোমার নেই। (সে চাইলে তুমি তাকে বিয়ে করে আবার গ্রহণ করতে পার।)