الطيب
كلمة الطيب في اللغة صيغة مبالغة من الطيب الذي هو عكس الخبث، واسم...
ইবন মাস‘ঊদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক সফরে আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গে ছিলাম। তিনি প্রাকৃতিক প্রয়োজন পূরণ করতে চলে গেলেন। অতঃপর আমরা একটি লাল রঙের) পাখী দেখলাম। পাখীটির সাথে তার দুটো বাচ্চা আছে। আমরা তার বাচ্চাগুলোকে ধরে আনলাম। পাখীটি এসে (আমাদের) আশে-পাশে ঘুরতে লাগল। এমতাবস্থায় নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফিরে এলেন এবং বললেন, “বাচ্চাদের নিয়ে গিয়ে এই পাখীটিকে কে কষ্টে ফেলেছে? তাকে তার বাচ্চা ফিরিয়ে দাও।” তারপর তিনি পিঁপড়ের একটি গর্ত দেখতে পেলেন, যেটাকে আমরা জ্বালিয়ে দিয়েছিলাম। তা দেখে তিনি জিজ্ঞেস করলেন, “এ গর্তটি কে জ্বালাল?” আমরা জবাব দিলাম যে, ‘আমরা।’ তিনি বললেন, “আগুনের রব্ব (আল্লাহ) ছাড়া আগুন দিয়ে শাস্তি দেওয়া আর কারো জন্য সঙ্গত নয়।”
ইবন মাসঊদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু সংবাদ দেন, একদা তারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গে এক সফরে ছিলেন। তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পেশাব-পায়খানা করতে চলে গেলেন। অতঃপর সাহাবীগণ একটি লাল রঙের পাখী দেখতে পেলেন। এটি এক ধরনের পাখী। পাখীটির সাথে তার দুটো বাচ্চা ছিল। তাঁরা তার বাচ্চাগুলোকে ধরে ফেললেন। তখন পাখীটি এসে তাদের আশে-পাশে ঘুরতে লাগল। অর্থাৎ তাদের চতুঃপার্শ্বে। সাধারণত পাখীর বাচ্চা ধরা হলে পাখীটি বাচ্চাদের না পাওয়ার কারণে সামনে চলে আসে, ঘুরাঘুরি করে এবং চেঁচামেচি করে। তখন নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম নির্দেশ দিলেন যেন তার বাচ্চাদেরকে তার জন্য ছেড়ে দেয়। তখন তারা তার বাচ্চাদের ছেড়ে দিলেন। তারপর তিনি পিঁপড়ের একটি গ্রাম অর্থাৎ পিপড়ার গর্ত দিয়ে অতিক্রম করলেন যেটাকে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তা দেখে তিনি জিজ্ঞেস করলেন, “এ গর্তটি কে জ্বালালো?” তারা বলল, ‘আমরা, হে আল্লাহর রাসূল।’ তখন রাসূলুল্লাহু সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, “আগুনের রব (আল্লাহ) ছাড়া আগুন দিয়ে শাস্তি দেওয়া আর কারো জন্য সঙ্গত নয়।” এ ধরনের শাস্তি প্রদান থেকে তিনি নিষেধ করলেন। সুতরাং যদি তোমার আশ-পাশে পিঁপড়া থাকে সেগুলোকে তুমি আগুন দিয়ে জালিয়ে দিবে না। তুমি এমন কিছু রেখে দিবে যাতে তারা চলে যায়। যেমন, জালানির নির্যাস-প্রসিদ্ধ ছাই যখন তুমি তা মাটিতে ছিটিয়ে দিবে তখন আল্লাহর অনুমতিতে তারা এমনিতেই চলে যাবে, আর আসবে না। যদি তাদের যন্ত্রণা থেকে মেরে ফেলা ছাড়া কোনোক্রমেই রক্ষা পাওয়া না যায়, তবে শেষ পর্যন্ত তাদের অর্থাৎ পিপড়াকে মেরে ফেলাতে কোনো অসুবিধা নেই। কারণ, এ হলো তাদের কষ্টকে প্রতিহত করার জন্য। অন্যথায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পিঁপড়া হত্যা করা থেকে নিষেধ করেছেন। কিন্তু যদি তোমাকে কষ্ট দেয় এবং মেরে ফেলা ছাড়া তার কষ্ট প্রতিহত করা না যায়, তখন মেরে ফেলাতে কোনো অসুবিধা নেই।