الحيي
كلمة (الحيي ّ) في اللغة صفة على وزن (فعيل) وهو من الاستحياء الذي...
জাবির ইবন আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে মারফু‘ হিসেবে বর্ণিত, “নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুখাবারা (যমীনের নির্দিষ্ট অংশের উৎপাদিত ফসলের বিনিময়ে জমি চাষ করা, যেমন ক্ষেতের উত্তরাংশে যা উৎপাদিত হবে তা কৃষকের), মুহাকালা (গম বীজে থাকা অবস্থায় তা খড় থেকে কাটা পরিশোধিত গমের বিনিময়ে ক্রয়-বিক্রয় করা) ও মুযাবানা (গাছের ভেজা খেজুরের বিনিময় শুকনো খেজুর বিক্রি করা) এবং ফল খাওয়ার উপযুক্ত হওয়ার আগে তা বিক্রি করতে নিষেধ করেছেন। গাছে থাকা অবস্থায় ফল দিনার বা দিরহামের বিনিময়ে ছাড়া যেন বিক্রি করা না হয়; তবে ‘আরায়্যার (শুকনো খেজুরের বিনিময় ভেজা খেজুর অনুমান— প্রবল ধারণা দ্বারা পরিমাণ নির্ধারণ করে বিক্রয় করার অনুমতি দিয়েছেন”
নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফল-ফলাদির সাথে সম্পৃক্ত কয়েক ধরণের বেচা-কেনা করতে নিষেধ করেছেন। যেহেতু এতে ক্রেতা বা বিক্রেতা বা উভয়ের জন্য রয়েছে ক্ষতি। এ ধরণের বেচা-কেনার মধ্যে রয়েছে, মুখাবারা পদ্ধতিতে বেচা-কেনা। তাহলো, (সমগ্র যমীনের) ইনসাফ ভিত্তিক (গড় উৎপাদন) হিসেব না করে যমীনের নির্দিষ্ট অংশে উৎপাদিত ফসলের বিনিময়ে জমি চাষ করা। এমনিভাবে তিনি গাছের ডগায় থাকা গমের বিনিময়ে খড় মুক্ত গমের ক্রয়-বিক্রয় করতে; অনুরূপভাবে গাছের কাঁদিতে থাকা খেজুরের বিনিময় শুকনো খেজুর ক্রয়-বিক্র করতে; অনুরূপভাবে ফল উপযুক্ত হওয়ার পূর্বে ক্রয়-বিক্রয় করতে নিষেধ করেছেন, তবে তিনি শুকনো খেজুরের বিনিময় ভেজা খেজুর অনুমান করে -যা প্রবল ধারণা দ্বারা পরিমাণ নির্ধারণ করা যায়- বিক্রি করতে অনুমতি দিয়েছেন। খারাস হলো, প্রবল ধারণা দ্বারা নির্ধারণ করা। তবে তাতে শর্ত হলো, পাঁচ ওসাক বা এর কম হতে হবে। যেহেতু অন্য হাদীসে এ শর্তটি এসেছে।