البارئ
(البارئ): اسمٌ من أسماء الله الحسنى، يدل على صفة (البَرْءِ)، وهو...
শাদ্দাদ ইবন আউস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে মারফু‘ হিসেবে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে দু’টি বস্তু মুখস্থ করেছি: “নিশ্চয় আল্লাহ অনুগ্রহকারী, তিনি প্রত্যেক বস্তুতে অনুগ্রহ করাকে পছন্দ করেন। অতএব, তোমরা যখন হত্যা করবে সেটাও সুন্দরভাবে করবে, আর যখন যবেহ করবে সেটাও সুন্দরভাবে করবে, তোমাদের প্রত্যেকে তার ছুরি ধার দিয়ে নিবে এবং যবেহকৃত জন্তুকে শান্ত হতে দিবে।”
শাদ্দাদ ইবন আউস-রাদিয়াল্লাহু আনহু-সংবাদ দিচ্ছেন যে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে দু’টি বিষয় শিক্ষা করেছেন: একটি তার বাণী: “নিশ্চয় আল্লাহ প্রত্যেক বস্তুতে ইহসান অবধারিত করেছেন।” মুহসিন আল্লাহর একটি সন্দুর নাম, (অনুগ্রহকারী), অর্থাৎ তিনি প্রচুর অনুগ্রহকারী, নি‘আমতদাতা, দয়াশীল ও অনুগ্রহপরায়ণ, তাই তিনি প্রত্যেক বস্তুতে অনুগ্রহ করা, নি‘আমত দেওয়া, রহম করা ও দয়াকে ভালোবাসেন। আর দ্বিতীয় বিষয়টি হচ্ছে প্রথম বিষয়ের অনিবার্য ফসল, আর সেটি হচ্ছে, “অতএব, তোমরা যখন হত্যা করবে সেটাও সুন্দরভাবে করবে, আর যখন যবেহ করবে সেটাও সুন্দরভাবে করবে, তোমাদের প্রত্যেকে তার ছুরি ধার দিয়ে নিবে এবং যবেহকৃত জন্তুকে শান্ত হতে দিবে।” অর্থাৎ যখন কোনো নফসকে হত্যা করবে, যে হত্যার উপযুক্ত হয়েছে, যেমন কাফির যোদ্ধা, অথবা মুরতাদ অথবা হত্যাকারী অথবা অন্য কেউ, তখন তোমাদের ওপর ওয়াজিব হচ্ছে হত্যার পদ্ধতি ও অবস্থা ভালোটা গ্রহণ করা। অনুরূপভাবে যখন তোমরা পশু যবেহ করবে, তোমাদের ওপর ওয়াজিব সুন্দরভাবে যবেহ করা ও পশুকে শান্ত হতে দেওয়া, ছুরি ধার দেওয়া ও দ্রুত চালনা করা ইত্যাদি। আরেকটি মুস্তাহাব হচ্ছে পশুর উপস্থিতিতে ছুরি ধার না দেওয়া এবং একটির সামনে অপরটি যবেহ না করা এবং যবেহ করার স্থানে টেনে নিয়ে না যাওয়া।