القابض
كلمة (القابض) في اللغة اسم فاعل من القَبْض، وهو أخذ الشيء، وهو ضد...
আবূ সা‘ঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, একবার ঈদুল আযহা অথবা ঈদুল ফিতরের সালাত আদায়ের জন্য আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদগাহের দিকে যাচ্ছিলেন। তিনি মহিলাদের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় বললেন, হে মহিলা সমাজ! তোমরা সাদকাহ করতে থাক। কারণ, আমি দেখেছি জাহান্নামের অধিবাসীদের মধ্যে তোমরাই অধিক। তারা জিজ্ঞেস করলেন, কী কারণে, হে আল্লাহর রাসূল? তিনি বললেন, তোমরা অধিক পরিমাণে অভিশাপ দিয়ে থাক, আর স্বামীর অকৃতজ্ঞ হও। বুদ্ধি ও দীনের ব্যাপারে ত্রুটি থাকা সত্ত্বেও একজন সদাসতর্ক ব্যক্তির বুদ্ধি হরণে তোমাদের চেয়ে পারদর্শী আমি আর কাউকে দেখি নি। তারা বললেন, আমাদের দীন ও বুদ্ধির ত্রুটি কোথায়, হে আল্লাহ্র রাসূল? তিনি বললেন, একজন মহিলার সাক্ষ্য কি একজন পুরুষের সাক্ষ্যের অর্ধেক নয়? তারা উত্তর দিলেন, ‘হ্যাঁ’। তখন তিনি বললেন, এ হচ্ছে তাদের বুদ্ধির ত্রুটি। আর হায়েয অবস্থায় তারা কি সালাত ও সিয়াম থেকে বিরত থাকে না? তারা বললেন, ‘হ্যাঁ।’ তিনি বললেন, “এ হচ্ছে তাদের দীনের ত্রুটি।”
আবূ সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু সংবাদ দেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহায় ঈদগাহে বের হতেন। তিনি নারী ও পুরুষদের জন্য সাধারণ খুৎবা দেওয়ার পর মহিলাদের পাশ দিয়ে অতিক্রম করতেন। তাদেরকে তিনি বিশেষ খুৎবা দিতেন, ওয়াজ করতেন, সাদকার ব্যাপারে উৎসাহ দিতেন। কারণ, সাদকা আল্লাহর ক্ষোভকে প্রশমিত করে। এ কারণে তিনি তাদের বলেছেন, “হে মহিলা সমাজ! তোমরা সাদকাহ করতে থাক। কারণ, আমি দেখেছি জাহান্নামের অধিবাসীদের মধ্যে তোমরাই অধিক।” আল্লাহর শাস্তি থেকে নিজেদের বাঁচানোর জন্য তোমরা বেশি বেশি সাদকাহ করো। কারণ, আগুনে উঁকি দিয়েছি এবং দেখেছি যে তার অধিকাংশ অধিবাসীরা হলো নারী। তারা জিজ্ঞেস করলেন, কী কারণে, হে আল্লাহর রাসূল? অর্থাৎ কি কারণে আমরা অধিক জাহান্নামী হব? তিনি বললেন, “তোমরা অধিক পরিমাণে অভিশাপ দিয়ে থাক” অর্থাৎ তোমরা মানুষকে বেশি বেশি অভশাপ কর। এটি মানুষের প্রতি খুব খারাপ দো‘আ। কারণ, এর অর্থ হলো, আল্লাহর রহমত থেকে বিতাড়ন করা দুনিয়া ও আখিরাতের যাবতীয় কল্যাণ থেকে দূরে রাখা। আর নিঃসন্দেহে বলা যায়, এটি তার ক্ষোভের ওপর বিজয়ী ব্যাপক রহমতের পরিপন্থী। “আর তোমরা স্বামীর অকৃতজ্ঞ হও।” অর্থাৎ স্বামীর নি‘আমতকে গোপন কর, তার অনুগ্রহকে অস্বীকার কর, তার ভালো কর্মগুলোকে প্রত্যাখ্যান কর এবং তার সৌন্দর্যকে ভুলে যাও। আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস থেকে সহীহ বুখারী ও মুসলিমের একটি বর্ণনায় আছে, জিজ্ঞাসা করা হলো, তার কি আল্লাহর সাথে কুফুরী করে? তিনি বলেলেন, স্বামীর কুফুরী করে এবং ইহসানকে অস্বীকার করে। যদি তাদের কারো প্রতি এক যুগ অনুগ্রহ করো অতঃপর সে তোমার থেকে কোনো দোষ দেখে, তখন বলবে, তোমার থেকে আমি কখনো কল্যাণ দেখি নি।” “বুদ্ধি ও দীনের ব্যাপারে ত্রুটি থাকা সত্ত্বেও একজন সদাসতর্ক ব্যক্তির বুদ্ধি হরণে তোমাদের চেয়ে পারদর্শী আমি আর কাউকে দেখি নি।” অর্থাৎ একজন পুরুষের বুদ্ধি হরণে একজন নারী থেকে অধিক শক্তিশালী আমি আর কাউকে দেখি নি, যদিও পুরুষটি দৃঢ়তা ও ক্ষমতায় প্রসিদ্ধ। আর তা তার কোমলমতি প্রভাবের শক্তিশালী হওয়া, সৌন্দর্যের যাদু, তার কু-মন্ত্রণার কারণে। তাদেরকে এ গুণে গুনান্বিত করা মুবালাগা অনুযায়ী। কারণ, নিয়ম হলো সে তাদের প্রতি দূর্বল হয়। তাহলে তার বিপরীতটি তার চেয়ে অধিক উত্তম। তারা বললেন, আমাদের দীন ও বুদ্ধির ত্রুটি কোথায়, হে আল্লাহর রাসূল? অর্থাৎ তাদের কাছে বিষয়টি অজানা ছিল তাই তারা বিষয়টি তাঁর কাছে জিজ্ঞাসা করল। তিনি বললেন, একজন মহিলার সাক্ষ্য কি একজন পুরুষের সাক্ষ্যের অর্ধেক নয়? এটি সিদ্ধান্ত সম্পর্কে তাদের জিজ্ঞাসা করা। আর তা হলো নারীদের সাক্ষ্য দেওয়া পুরুষের সাক্ষ্য দেওয়ার অর্ধেক। তারা উত্তর দিল, ‘হ্যাঁ’ অর্থাৎ বিষয়টি এমনই। তখন তিনি বললেন, এ হচ্ছে তাদের বুদ্ধির ত্রুটি। অর্থাৎ তার বুদ্ধিতে কমতি কারণ, হলো তাদের সাক্ষ্য দেওয়াকে পুরুষের সাক্ষ্য দেওয়ার অর্ধেক সাব্যস্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ইঙ্গিত করা হয়েছে আল্লাহ বাণী “আর তোমরা তোমাদের পুরুষদের মধ্য থেকে দু’জন সাক্ষী রাখ। অতঃপর যদি তারা উভয়ে পুরুষ না হয়, তাহলে একজন পুরুষ ও দু’জন নারী -যাদেরকে তোমরা সাক্ষী হিসেবে পছন্দ কর। যাতে তাদের (নারীদের) একজন ভুল করলে অপরজন স্মরণ করিয়ে দেয়” দিকে। অপর একটি নারী দ্বারা তাকে সাহায্য করা প্রমাণ করে তার স্মরণ শক্তি কম হওয়ার ওপর। আর তা প্রমাণ করে যে, তার বুদ্ধি কম। আর হায়য অবস্থায় তারা কি সালাত ও সিয়াম হতে বিরত থাকে না? তারা বলল, ‘হ্যাঁ’ অর্থাৎ বিষয়টি এমনই। তিনি বললেন, “এ হচ্ছে তাদের দীনের ত্রুটি। এটি সিদ্ধান্ত বিষয়ক জিজ্ঞাসা। নারীরা তাদের মাসিকের সময় সালাত ও সাওম থেকে বিরত থাকবে। এ দু’টি হলো ইসলামের রুকনসমূহের অন্যতম দু’টি রুকন। এটি তাদের দীনের বিষয়ে দূর্বলতা। কারণ, সে সালাত ও সাওম পালন করে না। সাওমের ক্ষেত্রে রমযান মাসে মুমিনদের সাথে অংশগ্রহণ থেকে তারা বঞ্চিত হয়। তবে এ বিষয়ে তাদের দোষারোপ করা যাবে না এবং তাদের পাকড়াও করা হবে না। কারণ, এটি মূল সৃষ্টি থেকে। কিন্তু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ওপর সতর্ক করেছেন তাদের যাতে পরীক্ষায় নিপতিত না হতে হয়। এ কারণেই শাস্তি আরোপ করা হয়েছে তাদের অকৃজ্ঞ হওয়া ইত্যাদির ওপর তাদের দূর্বলতার ওপর নয়। কারণ, তা তাদের অনিইচ্ছাকৃত কোনোভাবেই তা প্রতিহত করা সম্ভব নয়।
رمضانُ شهرُ الانتصاراتِ الإسلاميةِ العظيمةِ، والفتوحاتِ الخالدةِ في قديمِ التاريخِ وحديثِهِ.
ومنْ أعظمِ تلكَ الفتوحاتِ: فتحُ مكةَ، وكان في العشرينَ من شهرِ رمضانَ في العامِ الثامنِ منَ الهجرةِ المُشَرّفةِ.
فِي هذهِ الغزوةِ دخلَ رسولُ اللهِ صلّى اللهُ عليهِ وسلمَ مكةَ في جيشٍ قِوامُه عشرةُ آلافِ مقاتلٍ، على إثْرِ نقضِ قريشٍ للعهدِ الذي أُبرمَ بينها وبينَهُ في صُلحِ الحُدَيْبِيَةِ، وبعدَ دخولِهِ مكةَ أخذَ صلىَ اللهُ عليهِ وسلمَ يطوفُ بالكعبةِ المُشرفةِ، ويَطعنُ الأصنامَ التي كانتْ حولَها بقَوسٍ في يدِهِ، وهوَ يُرددُ: «جَاءَ الْحَقُّ وَزَهَقَ الْبَاطِلُ إِنَّ الْبَاطِلَ كَانَ زَهُوقًا» (81)الإسراء، وأمرَ بتلكَ الأصنامِ فكُسِرَتْ، ولما رأى الرسولُ صناديدَ قريشٍ وقدْ طأطأوا رؤوسَهمْ ذُلاً وانكساراً سألهُم " ما تظنونَ أني فاعلٌ بكُم؟" قالوا: "خيراً، أخٌ كريمٌ وابنُ أخٍ كريمٍ"، فأعلنَ جوهرَ الرسالةِ المحمديةِ، رسالةِ الرأفةِ والرحمةِ، والعفوِ عندَ المَقدُرَةِ، بقولِه:" اليومَ أقولُ لكمْ ما قالَ أخِي يوسفُ من قبلُ: "لا تثريبَ عليكمْ اليومَ يغفرُ اللهُ لكمْ، وهو أرحمُ الراحمينْ، اذهبوا فأنتمُ الطُلَقَاءُ".