القهار
كلمة (القهّار) في اللغة صيغة مبالغة من القهر، ومعناه الإجبار،...
আবদুল্লাহ ইবন ‘আমর রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক ব্যক্তি আল্লাহর নবী -সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে বলল, আমি হিজরত ও জিহাদের ওপর আপনার হাতে বাই‘আত করলাম, যার দ্বারা আমি মহান আল্লাহর কাছে সাওয়াবের আশা করি। তিনি বললেন, ‘তোমার পিতা-মাতা কেউ জীবিত আছেন কি’? লোকটি বলল, হ্যাঁ, বরং উভয়েই জীবিত। বলল, তুমি আল্লাহর কাছ থেকে সাওয়াব পেতে চাও? বলল, হ্যাঁ, তাহলে তুমি তোমার মাতা-পিতার নিকট ফিরে যাও এবং তাদের সাথে উত্তম সাহচর্য অবলম্বন কর। বুখারী ও মুসলিমের অপর এক বর্ণনায় এসেছে, এক ব্যক্তি এসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে জিহাদে যাওয়ার অনুমতি চাইল। তখন তিনি বললেন, তোমার পিতা-মাতা জীবিত আছেন কি? সে বলল, হ্যাঁ। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘তবে তুমি তাঁদের খেদমতে জিহাদ কর’।
এক লোক নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এসে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ ও হিজরত করার আগ্রহ ও ভালোবাসা প্রকাশ করেন। লোকটি বাড়িতে তার মাতা-পিতা উভয়কে রেখে এসেছে। আবূ দাউদের বর্ণনায় এসেছে, “তারা দুইজন ক্রন্দন করছিলেন” সন্তানের ধ্বংস হওয়ার আশংকায়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, “তোমার মাতা-পিতার মধ্য থেকে কেউ জীবিত আছেন কি?” সে বলল, হ্যাঁ। উভয়েই জীবিত। তিনি বললেন, তুমি কি আল্লাহর কাছে পুরস্কার চাও? সে বলল, হ্যাঁ। তিনি বললেন, তাহলে তুমি তোমার মাতা-পিতার নিকট ফিরে যাও এবং তাদের উভয়ের সাথে উত্তম সাহচর্য অবলম্বন কর। আবূ দাউদের বর্ণনায় এসেছে, তিনি বলেছেন, “তাদের নিকট ফিরে যাও যেভাবে তুমি তাদের কাঁদিয়েছ সেভাবে তুমি তাদের মুখে হাসি ফোটাও।” রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার জন্য যা করা উত্তম ও জরুরী তা করার জন্যই তাকে ফেরত পাঠালেন। আর তা হলো স্বীয় মাতা-পিতার নিকট ফিরে যাওয়া তাদের খিদমতের জন্য। কারণ, মাতা-পিতাকে সন্তুষ্ট করা, তাদের আনুগত্য করা এবং তাদের খিদমতে নিয়োজিত থাকা আত্মার জিহাদ। যেমনটি সহীহ বুখারি ও সহীহ মুসলিমের বর্ণনায় আরও স্পষ্ট করা হয়েছে: “তুমি তাদের খিদমতে জিহাদ কর।” অপর একটি হাদীসে এ কথা স্পষ্ট করা হয়েছে যে, মাতা-পিতার সাথে ভালো ব্যবহার করা, তাদের আনুগত্য করা এবং তাদের প্রতি দয়া করা আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করা থেকে উত্তম। যেমন, আব্দুল্লাহ ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত একটি বর্ণনায় এসেছে, এক লোক রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এসে সর্বোত্তম আমল সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে, উত্তরে তিনি বললেন, “সালাত” লোকটি বলল, তারপর কোনটি? রাসূল বললেন, “জিহাদ”। লোকটি বলল, আমার মাতা-পিতা উভয়েই জীবিত। বললেন, তাহলে “তোমার জন্য মাতা-পিতার সাথে ভালো ব্যবহার করাই (জিহাদের চেয়ে) উত্তম কাজ হবে।” বর্ণনায় ইবন হিব্বান। এ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, মাতা-পিতার খিদমত করা জিহাদ অপেক্ষা উত্তম। তবে জিহাদ যদি ফরযে আইন হয়, তখন জিহাদ করাকেই মাতা-পিতার খিদমতের ওপর প্রাধান্য দিতে হবে। কারণ তখন তা-ই সুনির্দিষ্ট হয়ে যাবে।