القهار
كلمة (القهّار) في اللغة صيغة مبالغة من القهر، ومعناه الإجبار،...
আবূ উসাইদ আস সা‘আদী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা আমরা রাসূলুল্লাহর নিকট বসে ছিলাম তখন বনু সালমার একজন ব্যক্তি তার নিকট এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! মাতা-পিতার মৃত্যুর পর তাদের সাথে ভালো ব্যবহার করার আর কোন সুযোগ আছে কি যার দ্বারা আমি তাদের সাথে ভালো ব্যবহার করব? তখন তিনি বললেন, হ্যাঁ, তাদের জন্য দো‘আ করা, ক্ষমা চাওয়া, তাদের পরে তাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করা এবং আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা যা তাদের বাদ দিয়ে বজায় রাখা যায় না। আর তাদের বন্ধুদের সম্মান করা।
হাদীসটি ইশারা করে যে, মাতা-পিতার সাথে সৎব্যবহার করা তাদের সাথেই সীমাবদ্ধ নয়। বরং তা তাদের বন্ধু-বান্ধব ও প্রিয়জনদের পর্যন্ত বিস্তার লাভ করে। আর তা তাদের জীবিত থাকার সাথে সম্পৃক্ত নয় বরং তা তাদের মৃত্যুর পরও চলতে থাকবে। সাহাবীর প্রশ্ন—মাতা-পিতার মৃত্যুর পর তাদের সাথে ভালো ব্যবহার করার আর কোন সুযোগ আছে কিনা যা দ্বারা আমি তাদের সাথে ভালো ব্যবহার করব?—প্রমাণ করে যে, লোকটি মাতা-পিতার সাথে সৎ ব্যবহারকারী ছিলেন। যেমনটি প্রমান করে ভালো কর্মের প্রতি তার মহব্বত ও প্রস্তুতির ওপর। সৎ ব্যবহারে কতক পদ্ধতি যা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আলোচনা করেছেন। এক- তাদের জন্য দো‘আ করা। এখানে সালাত অর্থ দো‘আ। দুই- তাদের জন্য ক্ষমা চাওয়া। আর তা হলো মানুষ তার মাতা-পিতার জন্য ক্ষমা চাইবে, যেমন বলবে হে আল্লাহ তুমি আমাকে এবং আমার মাতা-পিতাকে ক্ষমা করে দাও ইত্যাদি। আর তিন- তাদের প্রতিশ্রুতি অর্থাৎ তাদের অসিয়ত বাস্তবায়ন করা। চার-তাদের জন্য দান করা। কারণ, সাদকা মাতা-পিতার উপকারে আসে। অনুরূপভাবে তাদের বন্ধুদের সম্মান করা অর্থাৎ যদি তার কোন বন্ধু থাকে তাকে সম্মান কর কারণ, এটি তার সাথেই সৎ ব্যবহার করা। পাঁচ-মাতা-পিতার আত্মীয়ের সাথে সু-সম্পর্ক স্থাপন করা। কারণ, এটি তাদের সাথে সৎ ব্যবহার। এ হলো পাঁচটি বস্তু: দো‘আ করা, ক্ষমা চাওয়া, তাদের বন্ধুদের সম্মান করা, তাদের প্রতিশ্রুটি বাস্তবায়ন করা, তাদের আত্মীয়ের সাথে সু-সম্পর্ক বজায় রাখা। তাদের মারা যাওয়ার পর এগুলোই মা-বাবা সাথে ভালো ব্যবহার করার শামিল।