الحفيظ
الحفظُ في اللغة هو مراعاةُ الشيء، والاعتناءُ به، و(الحفيظ) اسمٌ...
‘আয়িশাহ্ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, “আমি নিজ হাতে নবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কুরবানীর পশুর কিলাদা পাকিয়ে দিয়েছি। এরপর আমি সেটি চিহ্নিত করলাম এবং তিনি তাকে কিলাদা পরালেন অথবা আমিই তাকে কিলাদা (মালা) পরালাম তারপর সেটি বায়তুল্লাহে পাঠিয়ে দিয়েছেন এবং তিনি মদিনায় অবস্থান করলেন। তাঁর জন্য যা হালাল ছিল এমন কিছু তিনি হারাম করেননি”।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর ঘরের সম্মান করতেন। তাই যখন তিনি স্বয়ং তাতে পৌঁছতে পারতেন না তখন তিনি তা সম্মান ও তার প্রতিবেশীর খাদ্য হিসেবে হাদী প্রেরণ করতেন। আর যখন তিনি হাদী প্রেরণ করতেন তখন তাকে হার পরাতেন এবং শি‘আর (চিহ্নিত) করতেন যাতে মানুষ বুঝতে পারে যে, এটি বাইতুল্লাহর হাদী। ফলে তারা তার সম্মান করবে এবং তার প্রতি কোন খারাপ আচরণ করবে না। তাই সংবাদের গুরুত্বের জন্য আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা উল্লেখ করেন যে, তিনি নিজ হাতে নবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কুরবানীর পশুর কিলাদা (মালা) পাকিয়ে দিয়েছেন। আর হাদী প্রেরণের পর রাসূল মদীনায় অবস্থান কালে একজন মুহরিম যে সব কর্ম থেকে দূরে থাকে যেমন, স্ত্রী, খোশবু, শিলাই যুক্ত কাপড় পরিধান করা ইত্যাদি তা থেকে তিনি বিরত থাকতেন না। বরং তিনি হালাল হিসেবেই থাকতেন এবং নিজের জন্য সবকিছুকেই হালাল জানতেন।