الحفيظ
الحفظُ في اللغة هو مراعاةُ الشيء، والاعتناءُ به، و(الحفيظ) اسمٌ...
আনাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক মহিলার পাশ দিয়ে অতিক্রম করলেন। সে একটি কবরের পাশে বসে কাঁদছিল। তিনি বললেন, “তুমি আল্লাহকে ভয় কর এবং ধৈর্য ধারণ কর।” সে বলল, ‘আপনি আমার নিকট হতে দূরে সরে যান। কারণ, আমি যে বিপদে পড়েছি আপনি তাতে পড়েননি।’ সে তাঁকে চিনতে পারেনি (তাই সে চরম শোকে তাঁকে অসঙ্গত কথা বলে ফেলল)। অতঃপর তাকে বলা হল যে, ‘তিনি নাবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন।’ সুতরাং (এ কথা শুনে) সে নাবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর দুয়ারের কাছে এল। সেখানে সে দারোয়ানদেরকে পেল না। অতঃপর সে (সরাসরি প্রবেশ করে) বলল, ‘আমি আপনাকে চিনতে পারিনি।’ তিনি সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, “আঘাতের শুরুতে সবর করাটাই হল প্রকৃত সবর।” মুসলিমের একটি বর্ণনায় আছে, সে (মহিলাটি) তার মৃত শিশুর জন্য কাঁদছিল।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক মহিলার পাশ দিয়ে গেলেন, যে তার একটি মৃত বাচ্চার কবরের নিকট অবস্থান করছিল। আর সে বাচ্চাটিকে খুব মহব্বত করত। সে নিজেকে সংবরণ করতে না পেরে ঘর থেকে বের হয়ে কবরের নিকট কাঁদতে চলে গেল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে দেখে আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন ও ধৈর্য ধারণের নির্দেশ দেন। তখন সে বলল, আমার থেকে দূর হও। তুমি আমার মতো বিপদে আক্রান্ত হওনি। অতঃপর তাকে জানানো হলো যে, তিনি ছিলেন আল্লাহর রাসূল। তারপর সে লজ্জিত হলো এবং রাসূলের বাড়ীর দরজায় উপস্থিত হলেন। দরজায় কোন পাহারাদার ছিল না যারা তাকে প্রবেশে বারণ করবে। সে তাকে জানালো যে, আমি আপনাকে চিনতে পারি নাই। তখন রাসূলুল্লাহ তাকে জানালেন, যে ধৈর্যের ওপর মানুষকে সাওয়াব দেওয়া হয় সেটা হচ্ছে মুসিবত স্পর্শ করার শুরুর ধৈর্য।