الطيب
كلمة الطيب في اللغة صيغة مبالغة من الطيب الذي هو عكس الخبث، واسم...
মুআয রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে (ইয়ামানের শাসকরূপে) পাঠাবার সময় বলেছিলেন, “তুমি আহলে কিতাব সম্প্রদায়ের নিকট যাচ্ছ। সুতরাং তুমি তাদেরকে ‘আল্লাহ ব্যতীত কোন সত্য উপাস্য নেই এবং আমি আল্লাহর রাসূল’ এ কথার সাক্ষ্যদানের প্রতি দাওয়াত দেবে। যদি তারা এ কথা মেনে নেয়, তাহলে তাদেরকে জানিয়ে দেবে, আল্লাহ তাদের উপর প্রতি দিন ও রাতে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ফরয করেছেন। তারা যদি এ কথা মেনে নেয়, তাহলে তাদেরকে জানিয়ে দেবে যে, আল্লাহ তাদের সম্পদের ওপর সাদকাহ (যাকাত) ফরয করেছেন। তাদের মধ্যে যারা সম্পদশালী তাদের থেকে যাকাত উসূল ক’রে যারা দরিদ্র তাদের মাঝে বিতরণ করা হবে। যদি তারা এ কথা মেনে নেয়, তাহলে তুমি (যাকাত নেওয়ার সময়) তাদের উৎকৃষ্ট মাল নেওয়া থেকে দূরে থাকবে। আর অত্যাচারিতের বদ্দুআ থেকে বাঁচবে। কারণ, তার বদ্দুআ এবং আল্লাহর মাঝে কোন পর্দা নেই (অর্থাৎ, শীঘ্র কবুল হয়ে যায়)।”
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মু‘আয ইবন জাবাল রাদিয়াল্লাহু আনহুকে আল্লাহর দিকে আহ্বানকারী ও শিক্ষক রূপে (ইয়ামানের শাসকরূপে) পাঠান তখন তিনি তার জন্য একটি পরিকল্পনা একেঁ দেন যাতে তিনি তার দাওয়াতী ময়দানে তার ওপর চলেন এবং মোকাবালা করা এবং প্রশ্নসমূহের উত্তর দিতে প্রস্তুতি নিয়ে রাখেন। তিনি তাকে বলেছিলেন, “তুমি এমন একটি সম্প্রদায়ের লোকদের মুখোমুখি হবে, যারা ইয়াহুদী ও খৃষ্টানদের থেকে আলেম এবং কিতর্ককারী। অতঃপর সে যাতে অধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তারপর যেটি গুরুত্বপূর্ণ সে বিষয়ে দাওয়াত দিতে শুরু করেন তার প্রতি দিক নির্দেশনা দেন। ফলে তিনি সর্বপ্রথম মানুষকে আকীদা সংশোধনের দিকে আহবান করবেন। কারণ, এটিই হলো মূল। যখন তারা এটির প্রতি আনুগত্য দেখাবে তখন তারা তাদের সালাত কায়েম করার প্রতি দাওয়াত দেবে। কারণ, তাওহীদের পর সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ওয়াজিব হলো সালাত। তারা যদি তা কায়েম করে, তাদের মধ্যে যারা সম্পদশালী তাদেরকে নির্দেশ দেবে যে, আল্লাহর নি‘আমতের শুকরিয়া আদায় এবং গরীবদের প্রতি সহানুভুতি হিসেবে তাদের সম্পদের যাকাত তাদের দরিদ্রদের মধ্যে প্রদান করতে।তারপর তিনি উৎকৃষ্ট মাল গ্রহণ করা সম্পর্কে সতর্ক করেন। কারণ, ওয়াজিব হলো মধ্যম মাল গ্রহণ করা। তারপর তিনি তাকে ইনসাফ করা ও যুলুম না করার প্রতি উৎসাহ প্রদান করেন। যাতে মাযলুম ব্যক্তি তার জন্য বদ্দুআ না করে। কারণ, তার বদ্দুআ কবুল যোগ্য।