উমার ইবন খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে মারফূ হিসেবে বর্ণিত: “তোমরা আমার বিষয়ে বাড়াবাড়ি করো না, যেমনটি খৃষ্টানরা ইবন মারইয়্যাম সম্পর্কে বাড়াবাড়ি করেছিল। আমি তার বান্দা। তাই তোমরা বল, আল্লাহর বান্দা ও তার রাসূল”।
شرح الحديث :
আল্লাহ তা‘আলার তাওহীদের ওপর আল্লাহর নবীর আগ্রহ এবং তার উম্মতের ওপর শির্কের আশঙ্কা থেকে, যাতে অতীতের উম্মতগণ পতিত হয়েছিল, তিনি স্বীয় উম্মতকে তার সম্পর্কে বাড়াবাড়ি এবং তার প্রসংশা করার ক্ষেত্রে সীমা লঙ্ঘন করা থেকে সতর্ক করেন। যেমন, আল্লাহর গুণসমূহ এবং বিশেষ কর্মসমূহ দ্বারা তাকে গুনান্বিত করা। যেমন খৃষ্টানরা ঈসাকে ইলাহ ও নবী সাব্যস্ত করে বাড়াবাড়ি করেছিল। ফলে তারা শির্কে নিপতিত হলো। যেমন, আল্লাহ তা‘আলা বলেন, “যারা বলেছিল নিশ্চয় আল্লাহ হলো মাসীহ ইবন মারইয়াম তারা কুফরী করল। আর মাসীহ বলল, হে বনী ইসরাঈল তোমরা আল্লাহর ইবাদত কর যিনি আমার রব এবং তোমাদের রব। আর অবশ্যই যে আল্লাহর সাথে শির্ক করে আল্লাহ তা‘আলা তার ওপর জান্নাতকে হারাম করে দিয়েছেন। আর তার ঠিকানা হলো জাহান্নাম। আর জালেমদের কোন সাহায্যকারী নেই। অতঃপর তিনি বলেন, আমি কেবলই তার বান্দা। অতএব তুমি বল, মুহাম্মাদ আল্লাহর বান্দা ও তার রাসূল। অর্থাৎ, তোমরা আমাকে আল্লাহর বান্দা ও রাসূল হিসেবে আখ্যায়িত কর, যেমনিভাবে আল্লাহ তা‘আলা আমাকে তা দ্বারা আখ্যায়িত করেছেন। আমার বিষয়ে তোমরা উবূদিয়্যাতের সীমা অতিক্রম করে আমাকে উলুহিয়্যাত বা রুবুবিয়্যাতের স্থানে নিয়ে যাবে না যেমনটি খৃষ্টানরা করেছিল। কারণ, নবীদের পাওনা হলো গোলামী এবং রিসালাত। আর উলুহিয়্যাতের অধিকার একমাত্র একক আল্লাহর জন্য। এ সতর্ক সত্বেও কতক মানুষ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা থেকে ভয় দেখিয়েছেন তাতে পড়ে গেছেন। সুতরাং তুমি তাদের অর্ন্তভুক্ত হওয়া থেকে সতর্ক হও।