المحيط
كلمة (المحيط) في اللغة اسم فاعل من الفعل أحاطَ ومضارعه يُحيط،...
আবূ মূসা আশ‘আরী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে মারফু‘ সূত্রে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “আল্লাহ তা‘আলা যখন কোনো উম্মাতের প্রতি রহমতের ইচ্ছা করেন, তখন তাদের নবীকে তাদের আগেই তুলে নেন এবং তাঁকে তাদের যুগের অগ্রগামী ও পূর্ববর্তী করেন। আর যখন কোন উম্মাতের ধ্বংস সাধনের ইচ্ছা করেন, তখন তাদের নবীর জীবিত অবস্থায় তাদের আযাব দেন এবং এ অবস্থায় তাদের ধ্বংস করেন যে, তিনি (নবী) তা দেখতে পান। অতঃপর তাদের ধ্বংস দেখে তাঁর চোখ শীতল করেন, যেহেতু তারা তাঁকে অস্বীকার করেছে ও তাঁর আদর্শ অমান্য করেছিল।”
হাদীসের অর্থ: আল্লাহ তা‘আলা যখন কোনো জাতির প্রতি রহমতের ইচ্ছা করেন, তখন তিনি তাদের নবীকে তাদের আগেই তুলে নেন এবং নবীর পরে তারা জীবিত থাকে। ফলে তিনি জান্নাতে তাদের অগ্রগামী ও পূর্ববর্তী হন এবং তার উম্মতের জন্য সুপারিশকারী হন। ‘ফারাত্ব’ শব্দের মূল অর্থ হলো যিনি পূর্বাগ্রে থেকে আগত কাফেলার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ব্যবস্থা করেন। অতঃপর শব্দটি পরবর্তীতে আগত লোকদের জন্য সুপারিশকারী অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। অন্য হাদীসে এসেছে, ‘আনা ফারাত্বুকুম আলাল হাউদ্ব’ আমি তোমাদেরকে পানি পান করনোর জন্য হাউজে আগে থেকেই অপেক্ষা করতে থাকব। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণী, “তিনি যখন কোনো জাতি ধ্বংস করার ইচ্ছা করেন, তখন তাদের নবীর জীবিত অবস্থায় তাদের আযাব দেন এবং এ অবস্থায় তাদের ধ্বংস করেন যে, তিনি (নবী) তা দেখতে পান।” যেমনটি হয়েছিল নূহ আলাইহি সালামের সাথে তার জাতির ও অন্যান্য নবীদের সাথে। এ হাদীসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি সালাম এ উম্মতের প্রতি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের রহমতের সংবাদ দিয়েছেন। তিনি নিজেই রহমতস্বরূপ। আল্লাহর সালাত ও সালাম তাঁর ওপর বর্ষিত হোক। মহান আল্লাহ বলেছেন, “আমি আপনাকে সৃষ্টিকুলের জন্য রহমতস্বরূপ প্রেরণ করেছি।” (সূরা আল-আম্বিয়া, আয়াত: ১০৭) তিনি এ উম্মতের জন্য রহমত। আল্লাহ ওয়াদা করেছেন যে, তিনি তার উম্মতের মধ্যে বিদ্যমান থাকা অবস্থায় তাদেরকে আযাব দিবেন না। আল্লাহ বলেছেন, “আর আল্লাহ এমন নন যে, তাদেরকে আযাব দেবেন এ অবস্থায় যে, আপনি তাদের মাঝে বিদ্যমান এবং আল্লাহ তাদেরকে আযাব দানকারী নন এমতাবস্থায় যে, তারা ক্ষমা প্রার্থনা করছে।” (সূরা আল-আনফাল, আয়াত: ৩৩)