الوكيل
كلمة (الوكيل) في اللغة صفة مشبهة على وزن (فعيل) بمعنى (مفعول) أي:...
আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে মারফু‘ সূত্রে বর্ণিত, জাহান্নাম প্রবৃত্তি দিয়ে বেষ্টিত। আর জান্নাত বেষ্টিত দুঃখ-ক্লেশ দিয়ে। মুসলিমের বর্ণনায় «حُجِبت» শব্দের পরিবর্তে «حُفَّت» শব্দ এসেছে।
হাদীসের অর্থ হলো, জান্নাতে পৌঁছার পথ মানুষের অপছন্দনীয় জিনিস দ্বারা বেষ্টিত; কেননা অন্তরের বিষয়ে মূলনীতি হলো সে সর্বদা আরাম-আয়েশের দিকে ঝুঁকে থাকে। এমনিভাবে হারাম কাজে লিপ্ত হওয়া ও আল্লাহর আনুগত্য থেকে দূরে সরে যাওয়ার দ্বারা যখন ব্যক্তি তার নিজের ও জাহান্নামের মাঝের পর্দা সরিয়ে ফেলবে তখনই সে জাহান্নামে যাবে। সুতরাং কোনো ব্যক্তি পর্দা উন্মোচিত করলেই সে পর্দাবৃত স্থানে পৌঁছতে পারে। আর জান্নাতের পর্দা উন্মোচন হয় অপছন্দনীয় ও কষ্টকর কাজে ঝাঁপিয়ে পড়লে (অর্থাৎ কষ্টকর কাজ সম্পাদন করলে) আর জাহান্নামের পর্দা উন্মোচিত হয় প্রবৃত্তির কাজে লিপ্ত হলে। নফসের অপছন্দনীয় কাজ হলো ইবাদতে কঠোর পরিশ্রম, নিয়মিতভাবে তা পালন, ইবাদত করতে কষ্ট সহ্য ও ধৈর্য ধারণ, রাগ সংবরণ, ক্ষমা, সহনশীলতা, সততা, অসদাচরণকারীর প্রতি ইহসান ও প্রবৃত্তি অনুসরণ থেকে ধৈর্য ধারণ করা ইত্যাদি। মানুষের নফস কখনও কখনও নিয়মিতভাবে সালাত আদায় করতে অপছন্দ করতে পারে; কেননা এতে রয়েছে কঠোর পরিশ্রম ও দুনিয়াবী বিষয়ের প্রতি নফসের যে বিশাল কামনা রয়েছে তা থেকে তাকে বিচ্ছিন্নকরণ। আবার নফস কখনও জিহাদ, সম্পদ দান ইত্যাদি করতে অপছন্দ করে; কেননা নফস সম্পদের প্রতি আকৃষ্ট। এছাড়াও অন্যান্য আনুগত্যের কাজ করতে নফস অপছন্দ করে। মানুষ যদি তার প্রবৃত্তির কামনা ছিন্ন করে নফসের চাহিদা বিরোধী কর্ম সম্পাদন করতে পারে এবং আল্লাহর আদেশসমূহ মান্য করে এবং তাঁর নিষেধসমূহ থেকে বিরত থাকে তাহলে এগুলো জান্নাতে যাওয়ার কারণ হবে এবং জাহান্নাম থেকে দূরে রাখবে। অন্যদিকে যেসব প্রবৃত্তির কারণে মানুষের জাহান্নামে যাওয়া আবশ্যক হয় তা হলো হারাম প্রবৃত্তিসমূহ। যেমন, মদ, যিনা, পরনারীর দিকে দৃষ্টি দেওয়া, আমোদ-প্রমোদ ইত্যাদি। তবে বৈধ প্রবৃত্তি এসবের অন্তর্ভুক্ত হবে না; কিন্তু অতিরিক্ত করা মাকরূহ যাতে এগুলো হারামের দিকে নিয়ে না যায় অথবা অন্তর কঠিন না হয়ে যায় বা ইবাদত থেকে অমনোযোগী না করে অথবা দুনিয়াদারী অর্জনে ব্যস্ত না হয়ে পড়ে।