القريب
كلمة (قريب) في اللغة صفة مشبهة على وزن (فاعل) من القرب، وهو خلاف...
আবূ উমামাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু কর্তৃক বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন দস্তরখানা গুটাতেন, তখন এই দো‘আ পড়তেন: আল্লাহর জন্য অগণিত পবিত্র ও বরকতপূর্ণ প্রশংসা। এ প্রশংসাই যথেষ্ট নয় এবং এটাই শেষ নয়। হে আমাদের রব! তার থেকে আমরা অমুখাপেক্ষী নয়।
হাদীসের অর্থ: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াল্লাম স্বীয় কথা ও কর্ম দ্বারা সাহাবীগণকে সুন্নাত শেখাতেন। খানা খাওয়া শেষ করার পর তার থেকে বর্ণিত যিকিরসমূহ হলো, “যখন দস্তরখান উঠানো হতো” অর্থাৎ যখন খাওয়া থেকে অবসর হতেন এবং তার সামনে থেকে খাওয়ার প্লেট উঠানো আরম্ভ করত তখন তিনি বলতেন। “আলহামদু লিল্লাহ’ অর্থাৎ প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা সবই বাস্তবে একক আল্লাহর জন্য আর কারো জন্য নয়। “অধিক প্রশংসা” অর্থাৎ অধিক প্রশংসা যা তার মহত্ব, সৌন্দর্য ও কামালিয়্যাতের সাথে প্রযোজ্য। এত বেশি কৃতজ্ঞতা তার জন্য যা তার অগণিত নি‘আমত এবং অন্তহীন করুণার সমান হয়। আর যদি তোমরা আল্লাহর নি‘আমতসমূহ গণনা কর, তবে তোমরা তা শেষ করতে পারবে না। আর তার কথা ‘পবিত্র’ অর্থাৎ লৌকিকতা ও সুখ্যাতি মুক্ত। ‘মুবারক’ যা কবুল করা হয় ফিরানো হয় না। কারণ, বরকত অর্থ কল্যাণ। আর যে আমল কবুল করা হয় না তার মধ্যে কোনো কল্যাণ নেই। “গায়রা মাকফিয়্যিন” অর্থাৎ আমরা তার প্রশংসা করি যে অবস্থায় তিনিই তার বান্দাদের জন্য যথেষ্ট, তার মাখলুক থেকে কেউ তার জন্য যথেষ্ট নয়। কারণ, তিনি কারো মুখাপেক্ষী নন। ‘এবং ছেড়ে দেওয়া নয়’ এটি অপর একটি অবস্থা বা হাল। অর্থাৎ আমরা তার প্রশংসা করব যে অবস্থায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয় নি। অর্থাৎ আমাদের কেউ তাকে ছেড়ে দেয় না। কারণ, আমরা সবাই তার প্রতি মুখাপেক্ষী। (খণ্ড ৫/১৫২)।