الجواد
كلمة (الجواد) في اللغة صفة مشبهة على وزن (فَعال) وهو الكريم...
পঞ্চম : জাবের রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, তিনি নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে নাজ্দের (বর্তমানে রিয়াদ অঞ্চল) দিকে জিহাদে রওনা হলেন। যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম (বাড়ী) ফিরতে লাগলেন, তখন তিনিও তাঁর সঙ্গে ফিরলেন। (রাস্তায়) প্রচুর কাঁটাগাছ ভরা এক উপত্যকায় তাঁদের দুপুরের বিশ্রাম নেওয়ার সময় হল। সুতরাং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম (বিশ্রামের জন্য) নেমে পড়লেন এবং (সাহাবীগণও) গাছের ছায়ার খোঁজে তাঁরা বিক্ষিপ্ত হয়ে গেলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি বাবলার গাছের নীচে অবতরণ করলেন এবং তাতে স্বীয় তরবারি ঝুলিয়ে দিলেন, আর আমরা অল্পের জন্য ঘুমিয়ে গেলাম। অতঃপর হঠাৎ (আমরা শুনলাম যে,) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে ডাকছেন। সেখানে দেখলাম যে, একজন বেদুঈন তাঁর কাছে রয়েছে। তিনি বললেন, “আমার ঘুমের অবস্থায় এই ব্যক্তি আমার তরবারি খুলে আমার উপর ধরে আছে। অতঃপর আমি যখন জাগলাম, তখন তরবারিখানি তার হাতে খুলা অবস্থায় দেখলাম। (তারপর) সে আমাকে বলল, ‘আমা হতে তোমাকে কে বাঁচাবে?’ আমি বললাম, ‘আল্লাহ!’ এ কথা আমি তিনবার বললাম।” তিনি তাকে কোন শাস্তি দিলেন না। অতঃপর তিনি বসে গেলেন। (বুখারী ও মুসলিম২) অন্য এক বর্ণনায় আছে জাবের বলেন যে, আমরা ‘যাতুর রিকা’তে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে ছিলাম। অতঃপর (ফিরার সময়) যখন আমরা ঘন ছায়াবিশিষ্ট একটি গাছের কাছে এলাম, তখন তা রাসূলুল্লাহ-এর জন্য ছেড়ে দিলাম। (তিনি বিশ্রাম করতে লাগলেন।) ইতিমধ্যে একজন মুশরিক এল। আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর তরবারি গাছে ঝুলানো ছিল। তারপর সে তা (খাপ থেকে) বের ক’রে বলল, ‘তুমি আমাকে ভয় করছ?’ তিনি বললেন, “না।” সে বলল, ‘তোমাকে আমার হাত থেকে কে বাঁচাবে?’ তিনি বললেন, “আল্লাহ।” বর্ণনাকারী বলেন, তারপর তার হাত থেকে তরবারিটি পড়ে গেল। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম তরবারিখানি তুলে নিয়ে বললেন, “(এবার) তোমাকে আমার হাত থেকে কে বাঁচাবে?” সে বলল, ‘তুমি উত্তম তরবারিধারক হয়ে যাও।’ অতঃপর তিনি বললেন, “তুমি কি সাক্ষ্য দিচ্ছ যে, আল্লাহ ছাড়া কেউ (সত্য) উপাস্য নেই এবং আমি আল্লাহর রসূল?” সে বলল, ‘না। কিন্তু আমি তোমার কাছে অঙ্গীকার করছি যে, তোমার বিরুদ্ধে কখনো লড়বো না। আর আমি সেই সম্প্রদায়েরও সাথ দেবো না, যারা তোমার বিরুদ্ধে লড়বে।’ সুতরাং তিনি তার পথ ছেড়ে দিলেন। অতঃপর সে তার সঙ্গীদের নিকট এসে বলল, ‘আমি তোমাদের নিকটে সর্বোত্তম মানুষের কাছ থেকে এলাম।
হাদীসটিতে জাবের রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু জানান যে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে জিহাদে রওনা হলেন। সীরাতবিদগণের নিকট এ যুদ্ধ যাতুর রিকা‘ নামক যুদ্ধে পরিচিত। তারা যুদ্ধ থেকে ফেরার পথে দুপুর বেলা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম (রাস্তায়) প্রচুর কাঁটাগাছ ভরা এক উপত্যকায় বিশ্রাম নেওয়ার জন্য অবতরণ করলেন। ফলে লোকেরা সুর্য্যের গরম থেকে বাঁচার জন্য গাছের ছায়ার খোঁজে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বিক্ষিপ্ত হয়ে গেলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি ছায়াদার গাছের নিচে নামলেন। যাকে বাবলা গাছ বলা হয়। তিনি গাছের সাথে স্বীয় তরবারি ঝুলিয়ে দিলেন। তারপর তিনি ঘুমিয়ে পড়লেন আমরা ঘুমিয়ে গেলাম। এ যুদ্ধে যাদের সাথে যুদ্ধ করেন তাদের থেকে একজন লোক তাদের অজান্তে পিঁছু নিলেন। গোপনে রাসূলের তরবারী নিল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘুম থেকে জাগলেন। অতঃপর তিনি বলেন, “আমার ঘুমের অবস্থায় এই ব্যক্তি আমার তরবারি খুলে আমার উপর ধরে আছে। অতঃপর আমি যখন জাগলাম, তখন তরবারিখানি তার হাতে খুলা অবস্থায় দেখলাম। (তারপর) সে আমাকে বলল, ‘আমা হতে তোমাকে কে বাঁচাবে?’ আমি বললাম, ‘আল্লাহ!’ এ কথা আমি তিনবার বললাম।” আল্লাহ আমাকে তোমার থেকে রক্ষা করবে। এটি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আস্থা রেছে বলেছেন। তিনি আল্লাহর ওপর ভরসাকারী, তার ওয়াদার প্রতি বিশ্বাসী। তিনি তাকে কোন শাস্তি দিলেন না। অতঃপর তার হাত থেকে তরবারিটি পড়ে গেল। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম তরবারিখানি তুলে নিয়ে বললেন, “(এবার) তোমাকে আমার হাত থেকে কে বাঁচাবে?” যদি আমি তোমাকে হত্যা করতে চাই। তখন কাফির এ বলে উত্তর দিল, ‘তুমি উত্তম তরবারিধারক হয়ে যাও।’ এ দ্বার উদ্দেশ্য হলো ক্ষমা ও মাফ করা এবং অন্যায়ের বদলা ভালো কাজ দ্বারা গ্রহণ করা। অতঃপর তিনি বললেন, “তুমি কি সাক্ষ্য দিচ্ছ যে, আল্লাহ ছাড়া কেউ (সত্য) উপাস্য নেই এবং আমি আল্লাহর রসূল?” সে বলল, ‘না। কিন্তু সে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে অঙ্গীকার করে যে, সে জীবনে কখনো তার বিরুদ্ধে লড়বে না। আর সেই সম্প্রদায়েরও সাথে থাকবে না, যারা তার বিরুদ্ধে লড়বে।’ সুতরাং তিনি তার পথ ছেড়ে দিলেন। অতঃপর সে তার সঙ্গীদের নিকট এসে বলল, ‘আমি তোমাদের নিকটে সর্বোত্তম মানুষের কাছ থেকে এলাম। বাস্তবতা তাই যা এ কাফির স্বীকার করল। কারণ, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আখলাকের দিক দিয়ে সবোর্ত্তম মানুষ। এর জন্য আল্লাহর সাফাই গাওয়াই তার জন্য যথেষ্ট। আল্লাহ বলেন। নিশ্চয় তুমি মহান চরিত্রের অধিকারী।
رمضانُ شهرُ الانتصاراتِ الإسلاميةِ العظيمةِ، والفتوحاتِ الخالدةِ في قديمِ التاريخِ وحديثِهِ.
ومنْ أعظمِ تلكَ الفتوحاتِ: فتحُ مكةَ، وكان في العشرينَ من شهرِ رمضانَ في العامِ الثامنِ منَ الهجرةِ المُشَرّفةِ.
فِي هذهِ الغزوةِ دخلَ رسولُ اللهِ صلّى اللهُ عليهِ وسلمَ مكةَ في جيشٍ قِوامُه عشرةُ آلافِ مقاتلٍ، على إثْرِ نقضِ قريشٍ للعهدِ الذي أُبرمَ بينها وبينَهُ في صُلحِ الحُدَيْبِيَةِ، وبعدَ دخولِهِ مكةَ أخذَ صلىَ اللهُ عليهِ وسلمَ يطوفُ بالكعبةِ المُشرفةِ، ويَطعنُ الأصنامَ التي كانتْ حولَها بقَوسٍ في يدِهِ، وهوَ يُرددُ: «جَاءَ الْحَقُّ وَزَهَقَ الْبَاطِلُ إِنَّ الْبَاطِلَ كَانَ زَهُوقًا» (81)الإسراء، وأمرَ بتلكَ الأصنامِ فكُسِرَتْ، ولما رأى الرسولُ صناديدَ قريشٍ وقدْ طأطأوا رؤوسَهمْ ذُلاً وانكساراً سألهُم " ما تظنونَ أني فاعلٌ بكُم؟" قالوا: "خيراً، أخٌ كريمٌ وابنُ أخٍ كريمٍ"، فأعلنَ جوهرَ الرسالةِ المحمديةِ، رسالةِ الرأفةِ والرحمةِ، والعفوِ عندَ المَقدُرَةِ، بقولِه:" اليومَ أقولُ لكمْ ما قالَ أخِي يوسفُ من قبلُ: "لا تثريبَ عليكمْ اليومَ يغفرُ اللهُ لكمْ، وهو أرحمُ الراحمينْ، اذهبوا فأنتمُ الطُلَقَاءُ".