القوي
كلمة (قوي) في اللغة صفة مشبهة على وزن (فعيل) من القرب، وهو خلاف...
আবূ মাহযূরাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “প্রথম ওয়াক্ত আল্লাহুর সন্তুষ্টি, মধ্যম ওয়াক্ত আল্লাহর রহমত এবং শেষ ওয়াক্ত আল্লাহর ক্ষমা”।
প্রথম ওয়াক্তে সালাত আদায় করা আল্লাহর সন্তুষ্টি। কোন কিছুই এর সমতুল্য হতে পারে না এবং তাতে এমন ফল রয়েছে যা কারো অন্তর কল্পনা করতে পারে না। আল্লাহ বলেন, “আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট এবং তারা তার প্রতি সন্তুষ্ট”। জান্নাতীদের যখন আল্লাহ বলেন, হে জান্নাতের অধিবাসীগণ, তখন তারা উত্তর দেবেন, লাব্বাইকা হে রব এবং সা‘দাইক। তিনি বলবেন, তোমরা কি সন্তুষ্ট? তখন তারা বলবে, আমাদের কি হয়েছে যে, আমরা সন্তুষ্ট হবো না অথচ আমাদের তুমি এমন সব নি‘আমত দান করেছো যা তোমার আর কোন মাখলুককে দেওয়া হয়নি। তখন তিন বলবেন, আমি তোমাদের এর চেয়ে উত্তম বস্তু দান করব। তারা বলবে, হে রব, এর চেয়ে উত্তম জিনিষ কি? তিনি বলবেন, তোমাদের ওপর আমার সন্তুষ্টি নাযিল করলাম, এরপর আর কখনো তোমাদের ওপর অসন্তুষ্ট হবো না। মুত্তাফাকুন আলাইহি। সুতরাং আল্লাহর সন্তুষ্টি যাবতীয় নি‘আমত থেকে উত্তম নি‘আমত। শেষ ওয়াক্ত ও প্রথম ওয়াক্তের মাঝে সালাত আদায় করা আল্লাহর রহমত, অনুগ্রহ এবং বান্দার ওপর তার ইহসান। এটি সন্তুষ্টির স্তর থেকে দূর্বল স্তর। আর শেষ ওয়াক্তে সালাত আদায় করা আল্লাহর ক্ষমা। যা কেবল কমতির কারণেই হয়ে থাকে। আর এখানে ঘাটতি হলো যে ব্যক্তি প্রথম ওয়াক্তের মধ্যে সালাত আদায় করেছে তার পিছনে পড়। ইমাম শাফে‘ঈ রহ, বলেন, আল্লাম সন্তুষ্টি তার ক্ষমার চেয়ে আমার কাছে অধিক প্রিয়। ক্ষমা সাধারণত হয়ে থাকে তাদের জন্য যার ত্রুটিকারী। সাধারণত প্রথম ওয়াক্তে সালাত আদায় করার জন্য তাড়াহুড়ো করা নীতিগতভাবে মুস্তাহাব, তবে কখনো কখনো প্রথম ওয়াক্ত থেকে দেরী করে সালাত আদায় করাও মুস্তাব হয়ে থাকে। যেমন, কঠিন গরমের সময় যুহরের সালাত। তখন ঠান্ডা হওয়া পর্যন্ত দেরী করে পড়া মুস্তাহাব। অনুরূপভাবে এশার সালাত। কারণ, এশার সালাত প্রথম ওয়াক্ত থেকে দেরী করে পড়া মুস্তাহাব। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে এটিই সুন্নাত হিসেবে প্রমাণিত। হাদীসটি দূর্বল। এ হাদীস অপেক্ষা বুখারী ও মুসলিমের হাদীস “কোন আমলটি উত্তম ? তিনি বললেন, (সময়মতো সালাত আদায় করা) সেটিই যথেষ্ট।