الإله
(الإله) اسمٌ من أسماء الله تعالى؛ يعني استحقاقَه جل وعلا...
আব্দুর রহমান ইবন ‘আউফ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বের হয়ে তাঁর সদকার বাগানের দিকে গেলেন এবং সেখানে প্রবেশ করে কিবলামুখী হয়ে সিজদা করলেন।সিজদা এতো দীর্ঘ করলেন যে, আমি ভাবলাম মহান আল্লাহ হয়ত তার রূহ কবয করে নিয়েছেন। অতঃপর আমি তাঁর কাছে গিয়ে বসলাম। তিনি মাথা উঠিয়ে বললেন, তুমি কে? আমি বললাম, আমি আব্দুর রহমান। তিনি বললেন, কী ব্যাপার? আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি এতো দীর্ঘ সিজদা দিয়েছেন যে, আমি ভাবলাম মহান আল্লাহ হয়ত আপনার রূহ কবয করে নিয়েছেন।তিনি বললেন, জিবরীল আলাইহিস সালাম আমার কাছে এসে সুসংবাদ দিয়েছেন, মহান আল্লাহ বলেছেন যে, যে ব্যক্তি আপনার প্রতি দরুদ পাঠ করবে আমি (আল্লাহ) তার প্রতি দরুদ (রহমত বর্ষণ) পাঠ করব। আর যে ব্যক্তি আপনার প্রতি সালাম পেশ করবে আমি (আল্লাহ) তার প্রতি সালাম (শান্তি ও নিরাপত্তা) পেশ করব। ফলে আমি মহান আল্লাহর শুকরিয়া জ্ঞাপন করে সিজদা দিয়েছিলাম।”
উপরোক্ত হাদীস শরীফে নতুন নতুন নি‘আমত প্রাপ্তি, আনন্দদায়ক ও সুসংবাদ শ্রবণে শুকরিয়া জ্ঞাপন সিজদার প্রচলন বর্ণিত হয়েছে। যেমন, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে যা ঘটেছিল, তিনি সালাতরত অবস্থায় ছিলেন, এমনসময় জিবরীল আলাইহিস সালাম তাঁর কাছে এসে সুসংবাদ দিয়েছেন যে, তাঁর উম্মতের মধ্যে যে ব্যক্তি তাঁর প্রতি দরুদ পাঠ করবে এবং যে ব্যক্তি তাঁর প্রতি সালাম পেশ করবে আল্লাহ তার প্রতি রহমত ও শান্তি বর্ষণ করবেন। সাধারণত শুকরিয়ার সিজদা দীর্ঘ করা সুন্নাত; কারণ নবী এতো দীর্ঘ সিজদা করেছেন যে সাহাবীগণ ভেবেছিলেন তিনি মারা গেছেন।