الحفيظ
الحفظُ في اللغة هو مراعاةُ الشيء، والاعتناءُ به، و(الحفيظ) اسمٌ...
আদী বিন আমীরাহ আল-কিনদী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে মরফূ‘ হিসেবে বর্ণিত, আমরা তোমাদের মধ্যে যাকে কোনো কাজে নিয়োগ করি, সে আমাদের কাছে একটি সুই অথবা তার চেয়ে বেশি কিছু লুকালে, তা খিয়ানত হবে। কিয়ামতের দিন সে তা নিয়ে হাযির হবে।” এ কথা শুনে আনসারদের একজন কৃষ্ণকায় মানুষ উঠে দাঁড়ালো, যেন আমি তাকে এখন দেখছি। সে বলল, ‘হে আল্লাহর রাসূল! আপনি যে কাজের দায়িত্ব আমার ওপর অর্পণ করেছিলেন তা আমার কাছ থেকে ফিরিয়ে নেন।’ তিনি বললেন, “তোমার কি হয়েছে?” সে বলল, ‘আমি আপনাকে এ রকম কথা বলতে শুনলাম।’ তিনি বললেন, “আমি এখনো বলছি যে, যাকে আমরা কোনো কাজে নিযুক্ত করি, সে যেন অল্প-বেশি যা কিছুই হোক আমার কাছে নিয়ে আসে। অতঃপর তা হতে যা দেওয়া হয়, তা গ্রহণ করবে এবং যা নিষেধ করা হয়, তা থেকে বিরত থাকবে।”
আমরা তোমাদের মধ্যে যাকে যাকাত, গণীমত ও অন্যান্য সম্পদ জমা করার কাজে নিযুক্ত করি, অতঃপর সে তা থেকে একটি সূঁচ অথবা তার চেয়ে কম কিছু লুকালো তা খিয়ানত হবে। কিয়ামতের দিন সে তা নিয়ে হাযির হবে। এ কথা শুনে আনসারদের মধ্যে একজন মানুষ দাঁড়িয়ে তার ওপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কর্তৃক প্রদত্ত দায়িত্ব তার কাছ থেকে ফিরিয়ে নিতে অনুমতি চাইলো। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে বললেন, তোমার কি হয়েছে? সে বলল, ‘আমি আপনাকে এ রকম কথা বলতে শুনলাম।’ তিনি বললেন, “আমি এখনো বলছি যে, যাকে আমরা কোনো কাজে নিযুক্ত করি, সে যেন অল্প-বেশি যাই হোক আমার কাছে নিয়ে আসে। অতঃপর তা থেকে তাকে যা দেওয়া হবে, তাই সে গ্রহণ করবে এবং যা থেকে তাকে বিরত রাখা হবে, তা থেকে বিরত থাকবে।”