العظيم
كلمة (عظيم) في اللغة صيغة مبالغة على وزن (فعيل) وتعني اتصاف الشيء...
ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে বর্ণিত: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুই সেজদার মাঝখানে বলতেন, “হে আল্লাহ তুমি আমাকে ক্ষমা কর, আমার প্রতি দয়া কর, আমাকে রক্ষা করো, আমাকে হিদায়াত দাও এবং আমাকে রিযিক দান করো”।
ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু সংবাদ দেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুই সেজদার মাঝখানে বলতেন, “হে আল্লাহ তুমি আমাকে ক্ষমা কর”। অর্থাৎ, তিনি দুই সেজদার মাঝখানে এ দো‘আ দ্বারা দো‘আ করতেন। এ ক্ষেত্রে ফরয সালাত বা অন্য সালাতের মধ্যে কোন প্রার্থক্য নেই। সালাত পুরোই হলো যিকির ও কুরআন তিলাওয়াত। আর “হে আল্লাহ তুমি আমাকে ক্ষমা কর” এ কথার অর্থ: আমাকে পাকড়াও না করে আমার গুনাহগুলো ঢেকে রাখ। “আর আমার প্রতি দয়া কর”। অর্থাৎ, তোমার পক্ষ থেকে আমাকে রহমত দান কর, যা গুনাহ ঢেকে রাখা ও পাঁকড়া না করাকে শামিল করে এবং এর সাথে আমাকে দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ দ্বারা অনুগ্রহ কর। “আর আমাকে নিরাপত্তা দান কর” অর্থাৎ, তুমি আমাকে আমার দীনের বিষয়ে মন্দ কর্মসমূহ ও সংশয়সমূহ থেকে আর দৈহিক বিষয়ে রোগ ও অসুস্থাতা থেকে আর আমার আকলের বিষয়ে পাগলামী ও মাতলামী থেকে নিরাপত্তা ও সুরক্ষা দান কর। আর সবচেয়ে বড় রোগ হলো অন্তরের রোগ, আর তা হয় বিভ্রান্তকর সংশয়ের মাধ্যমে বা বিধ্বংসী প্রভৃত্তির মাধ্যমে। “আর তুমি আমাকে হিদায়াত দাও”। হিদায়াত দুই প্রকার: এক, সঠিক ও সত্য পথের দিকে নির্দেশনা ও পথ দেখানো। এটি মুসলিম ও কাফির সবার জন্য হাসিল আছে। আল্লাহ বলেন, “আর কাওমে সামূদ আমি তাদের পথ দেখালাম”। [সূরা ফুস্সিলাত, আয়াত: ১৭] অর্থাৎ তাদের হকের পথ দেখালাম। দ্বিতীয়, তাওফীক ও কবুলের হিদায়াত। এটি শুধু ঈমানদারদের জন্যই হাসিল। আর এটিই এখানে উদ্দেশ্য। আর এ অর্থ হলো আমাকে হকের পথ দেখান এবং তার ওপর অটুট রাখুন। আর আপনি আমাকে রিযিক দান করুন। অর্থাৎ আমাকে এ দুনিয়ায় এমন রিযিক দান করুন যা আমাকে মানুষের কাছে মুখাপেক্ষি হওয়াতে দূরে রাখে এবং আপনি আপনার বান্দাদের থেকে যাদের প্রতি অনুগ্রহ করেছেন আখিরাতে আমাকে তাদের মতো প্রসস্থ রিযিক দান করুন।