القدوس
كلمة (قُدُّوس) في اللغة صيغة مبالغة من القداسة، ومعناها في...
বারা ইবন আযেব রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে একজন আনসারী সাহাবীর জানাযায় বের হলাম। আমরা কবর পর্যন্ত পৌঁছলাম এখনো কবর খোদা হয়নি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বসলেন আমরাও তার আশপাশে বসলাম যেন আমাদের মাথার ওপর পাখি। তার হাতে একটি লাঠি ছিল যা দ্বারা তিনি মাটি খুড়তে ছিলেন। তারপর তিনি মাথা উঠালেন এবং দুইবার বা তিনবার বললেন, তোমরা আল্লাহর নিকট জাহান্নামের আযাব থেকে আশ্রয় কামনা কর। অন্য একটি বর্ণনায় বৃদ্ধি করা হয়, যখন তাকে বলা হয়, হে অমুক তোমার রব কে, তোমার দীন কি এবং তোমার নবী কি? তখন তাদের খড়মের আওয়াজ সে শুনতে পায় যখন তারা বাড়ি ফিরে যায়। হান্নাদ বলল, তিনি বলেন, দুইজন ফিরিশতা তার কাছে আসবে। তখন তারা দুইজন তাকে বসাবে এবং তাকে বলবে তোমার রব কে? সে বলবে, আমার রব আল্লাহ। তারা দুইজন বলবে, তোমার দীন কি? সে বলবে, আমার দীন ইসলাম। তারা বলবে এ লোকটি কে যাকে তোমাদের কাছে প্রেরণ করা হয়েছে? সে উত্তর দেবে তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তারা বলবে, তুমি কীভাবে জানতে পারলে? সে বলবে আল্লাহর কিতাব পড়েছি, তার প্রতি বিশ্বাস করছি এবং ঈমান এনেছি। জারীরের হাদীসে বৃদ্ধি করা হয়েছে যে, এটিই আল্লাহ তা‘আলার বাণী: “যারা ঈমান আনে আল্লাহ তাদের অটুট রাখেন”। [সূরা ইব্রাহীম, আয়াত: ২৭] অতঃপর তারা অভিন্নভাবে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আসমান থেকে একজন আহ্বানকারী আহ্বান করে বলেন, আমার বান্দা সত্য বলছে, তার জন্য জান্নাতের বিছানা বিছাও, তার জন্য জান্নাতের দিকে দরজা খুলে দাও এবং তাকে জান্নাতের পোশাক পরিধান করাও। তখন জান্নাতের সুঘ্রাণ ও সুবাতাস সে পেতে থাকবে। তিনি বলেন, তার জন্য তাতে তার চোখের দৃষ্টি পরিমাণ প্রসস্ত করা হবে। তিনি বলেন, তারপর তিনি কাফিরের মৃত্যুর আলোচনা করেন। তার দেহে তার রূহ প্রেরণ করা হবে। দুইজন ফিরিশতা এসে তাকে বসাবে এবং তারা দুইজন তাকে জিজ্ঞাসা করবে তোমার রব কে? সে বলবে হা হা আমি জানিনা। তারা জিজ্ঞাসা করবে তোমার দীন কি? সে বলবে হা হা আমি জানিনা। তারা জিজ্ঞাসা করবে এ লোকটি কে যাকে তোমার নিকট প্রেরণ করা হয়েছে? সে বলবে হা হা আমি জানিনা। তখন একজন আহ্বানকারী আসমান থেকে আহ্বান করে বলবে, লোকটি মিথ্যা বলেছিল, তাকে জাহান্নামের বিছানা বিছিয়ে দাও, জাহান্নামের পোশাক পরিয়ে দাও এবং জাহান্নামের দিকে দরজা খুলে দাও। তিনি বলেন, ফলে তার গরম ও বিষাক্ত বাতাস নিকট আসতে থাকবে। তিনি বলেন, “এবং তার ওপর তার কবরকে সংকীর্ণ করা হবে, ফলে তার হাড়গুলো একটি অপরটির ভেতর ঢুকে যাবে”। জারীরের বর্ণনা বৃদ্ধি করেছেন যে, “তারপর তার জন্য একজন অন্ধ বোবা ফিরিশতা নিয়োজিত করা হবে। তার সাথে থাকবে একটি মাথা বাঁকা লোহার লাঠি। তা দিয়ে যদি পাহাড়ে আঘাত করা হয় তবে তা মাটি হয়ে যাবে”। তিনি বলেন, “তারপর তা দ্বারা তাকে আঘাত করা হবে জীন আর ইনসান ছাড়া পশ্চিম ও পুবের মাঝে যা কিছু আছে সবাই তা শুনতে পাবে। তারপর সে মাটি হয়ে যাবে”। তিনি বলেন, “অতঃপর তার মধ্যেআবার রূহ প্রেরণ করা হবে”।
বারা ইবন আযেব রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন যে, তারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে একজন আনসারী সাহাবীর জানাযায় বের হলেন। দাফন করার পূর্বে তারা কবর পর্যন্ত পৌঁছলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বসলেন তারাও তার আশপাশে চুপচাপ বসলেন রাসূলের ভয়ে কেউ কথা বললেন না। তার হাতে একটি লাঠি ছিল যা দ্বারা তিনি মাটিতে আঘাত করতে ছিলেন, যেমনটি একজন চিন্তিত মানুষ করে থাকে। তারপর তিনি মাথা উঠালেন এবং দুইবার বা তিনবার বললেন, তোমরা আল্লাহর নিকট জাহান্নামের আগুন থেকে আশ্রয় কামনা কর। তারপর তিনি তাদের সংবাদ দেন যে, মৃত ব্যক্তি তাকে বিদাই জানাতে আসা লোকদের জুতার আওয়ায শুনতে পান যখন তারা বাড়িতে ফিরে যায়। আর তখন তার কাছে দুইজন ফিরিশতা আসেন এবং তারা তাকে বসান এবং তাকে বলেন তোমার রব কে? সে বলে, আমার রব আল্লাহ। তারা দুইজন বলে, তোমার দীন কি? সে বলে, আমার দীন ইসলাম। তারা বলে এ লোকটি কে যাকে তোমাদের কাছে প্রেরণ করা হয়েছে? সে উত্তর দেয় তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তারপা তারা বলে, তুমি কীভাবে জানতে পারলে? সে বলে আল্লাহর কিতাব পড়েছি, তার প্রতি বিশ্বাস করছি এবং ঈমান এনেছি। মুখ থেকে উল্লেখিত উত্তর বের হওয়াই হলো তাসবীত বা অটুট থাকা যার বর্ণনা আল্লাহর বাণীতে এসেছে: আল্লাহ বলেন, “যারা ঈমান আনে আল্লাহ তাদের প্রতিষ্ঠিত কথা দ্বারা অটুট রাখেন”। [সূরা ইব্রাহীম, আয়াত: ২৭] অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “আসমান থেকে একজন আহ্বানকারী আহ্বান করে বলেন, আমার বান্দা যা বলেছে তা সত্য বলছে, কারণ, দুনিয়াতে সে এ বিশ্বাসের ওপর ছিল। তাই সে সম্মানের অধিকারী। তোমরা তার জন্য জান্নাতের বিছানাসমূহ থেকে বিছানা বিছিয়ে দাও, তাকে জান্নাতের পোশাক পরিধান করাও এবং তার জন্য জান্নাতের দিকে দরজা খুলে দাও। তখন তার জন্য খুলে দেওয়া হবে আর জান্নাতের সুঘ্রাণ ও সুবাতাস সে পেতে থাকবে। আর তার জন্য কবরকে তার চোখের দৃষ্টির দূরত্ব পরিমাণ প্রসস্ত করা হবে। তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কাফিরের মৃত্যুর অবস্থা ও কঠিন হওয়ার বিষয়টি আলোচনা করেন। দাফন করার পর তার দেহে তার রূহ প্রেরণ করা হবে। আর দুইজন ফিরিশতা এসে তাকে বসাবে এবং তারা দুইজন তাকে জিজ্ঞাসা করবে তোমার রব কে? সে হয়রান হয়ে বলবে হা হা আমি জানিনা। তারা জিজ্ঞাসা করবে তোমার দীন কি? সে বলবে হা হা আমি জানিনা। তারা জিজ্ঞাসা করবে এ লোকটি কে যাকে তোমাদের নিকট প্রেরণ করা হয়েছে, তিনি কি নবী বা নবী নয়? সে বলবে হা হা আমি জানিনা। তখন একজন আহ্বানকারী আসমান থেকে আহ্বান করে বলবে, কাফের লোকটি ঈমান না আনা এবং অস্বীকার করার কারণে এ সব মিথ্যাচার করছিল। কারণ, আল্লাহর দীন এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নুবুওয়াত যমীনে পশ্চিম ও পূর্ব প্রান্ত পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। তাই তোমরা তাকে জাহান্নামের বিছানাসমূহ থেকে বিছানা বিছিয়ে দাও, তাকে জাহান্নামীদের পোশাক পরিয়ে দাও এবং জাহান্নামের দিকে দরজা খুলে দাও। তখন জাহান্নামের তাপ তার গায়ে লাগবে। তারপর তার ওপর কবর চাপা দেওয়া হবে ফলে একপাশের হাঁড় অপর হাড়ের মধ্যে প্রবেশ করবে এবং আপন অবস্থা থেকে সরে যাবে। তারপর তার জন্য একজন অন্ধ বোবা ফিরিশতা নিয়োজিত করা হবে, সে তার সাথে কথা বলবে না। তার সাথে থাকবে লোহাড় একটি বড় হাতুড়ি। তা দিয়ে যদি পাহাড়ে আঘাত করা হয় তবে তা মাটি হয়ে যাবে। তারপর তা দ্বারা তাকে আঘাত করা হবে জীন আর ইনসান ছাড়া পশ্চিম ও পুবের মাঝে যা কিছু আছে সবাই তা শুনতে পাবে। তারপর সে মাটি হয়ে যাবে। অতঃপর তার মধ্যে রূহ ফিরিয়ে দেওয়া হবে যেন আযাব আস্বাদ করে আর তার কবরে শাস্তি চিরকাল চলতে থাকবে।