المحسن
كلمة (المحسن) في اللغة اسم فاعل من الإحسان، وهو إما بمعنى إحسان...
উম্মু সালামাহ রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত: একদিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর ঘরের দরজায় বাদী-বিবাদীর তর্কাতর্কি শুনতে পেয়ে তাদের নিকট বেরিয়ে আসলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, মনে রাখবে আমি তো একজন মানুষ। আমার কাছে (কোন কোন সময়) ঝগড়াকারীরা আসে। তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ অন্যের চেয়ে অধিক বাকপটু। তখন আমি মনে করি যে, সে সত্য বলেছে। তাই আমি তার পক্ষে রায় দেই। বিচারে যদি আমি ভুলবশত অন্য কোন মুসলমানের হক তাকে দিয়ে থাকি, তবে তা দোযখের টুকরা। এখন সে তা গ্রহণ করুক বা ত্যাগ করুক।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার দরজার সামনে দুই পক্ষের ঝগড়া বিবাধের বিক্ষিপ্ত আওয়াজ শুনতে পেয়ে তাদের মধ্যে মীমাংসা করার জন্য ঘর থেকে বের হয়ে আসেন। তারপর তিনি বলেন, আমি তোমাদের মতোই মানুষ। আমি গায়েব জানি না এবং আমি গোপন বিষয়ের সংবাদ দিই না যাতে তোমাদের মধ্যে কে সত্যবাদী আর কে মিথ্যাবাদী তা তোমাদের জানাবো। আমার কাছে বাদী-বিবাদী আসে যাতে আমি তাদের মধ্যে ফায়সালা করি। আর আমার ফায়সালা উভয় পক্ষ থেকে যে দলীল, প্রমাণাদি ও সপথ শুনি তার ভিত্তিতে। হতে পারে তাদের মধ্যে কেউ অধিক পন্ডিত, সাহিত্যিক ও স্পষ্টবাদী। ফলে আমি মনে করি যে সে সত্যবাদী, তখন আমি তার পক্ষে ফায়সালা দিয়ে থাকি। হতে পারে ভিতরের সত্য তার প্রতিপক্ষের জন্য। আর মনে রাখবে আমার ফায়সালা বাহ্যিক দিক বিবেচনায় গোপনীয়তার বিবেচনায় নয়। যার ফলে কোন হারাম হালাল হয়ে যায় না। এ কারণেই যদি আমি কারো জন্য অপরের হকের ফায়সালা করে দেই অথচ সে জানে যে সে অন্যায়কারী, তাহলে মনে রাখবে আমি তার জন্য জাহান্নামের একটি টুকরার ফায়সালা করলাম। সে যদি চায় তা গ্রহণ করুক অথবা ছেড়ে যাক। তার শাস্তি তার ওপরই বর্তাবে। আল্লাহ তা‘আলাই জালিমদের থেকে প্রতিশোধ গ্রহণকারী।